alt

চিঠিপত্র

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

: সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘ইংরেজি’ যেন একটি আতঙ্কের নাম। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে মহামারীর মতো ইংরেজি ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একাংশের মাঝেও উক্ত ভীতি বিদ্যমান।

ইংরেজি ভীতির বেশ কিছু কারণ থাকলেও উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ রয়েছে; এর মাঝে অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ধারণা, যা নিতান্তই ভুল। ইংরেজি, শব্দটি শুনলেই আমাদের কল্পনায় আসে — অনধিক পাঁচ শত পৃষ্ঠা সম্পন্ন একটি মোটা বই, যা আগা হতে গোড়া অবধি একগুচ্ছ ইংরেজি ব্যাকরণিক নিয়ম দ্বারা পরিপূর্ণ। ইংরেজিকে একটি ভাষা হিসেবে গ্রহণ না করে আমরা পুঞ্জীভূত ব্যাকরণিক নিয়ম হিসেবে গ্রহণ করেছি।

ইংরেজি ভীতির আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছেÑ আমরা শেখার জন্য না শিখে শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিখি। আমরা জানি না বিগত সময়ের লব্ধ ইংরেজি জ্ঞান কী করে প্রয়োগ করব। ইংরেজি পরীক্ষায় আকর্ষণীয় নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়াই সেটিকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা নয়। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সিংহভাগ শিক্ষার্থীই বইয়ের বাইরে নতুন কোন পড়া পারবে না, নতুন কোন ইংরেজি বাক্য গঠন, কিংবা বাংলা হতে ইংরেজি অনুবাদ পারবে না। বেশ কিছু বছর আগে ভাইরাল হওয়া ‘আই অ্যাম জিপিএ ফাইভ’ উক্ত বাক্যের সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রিক ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করা হতে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে কি আমাদের পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে না? আমরা যখন ইংরেজিকে ভাষা হিসেবে গ্রহণ করব, একগুচ্ছ নিয়মের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাস্তবতা মিলিয়ে ইংরেজি শিখব, তখন ইংরেজিকে সহজ মনে হবে; সেই সঙ্গে পরীক্ষার পড়াও পূর্ণ হয়ে যাবে। এতে একবার শিখেই বারবার পরীক্ষা দেওয়া যায়, প্রত্যেকবার পরীক্ষার পূর্বে বই হাতে নিয়ে চুল ছিঁড়তে হয় না। শুধু নিয়মিত অনুশীলন করলেই তা আয়ত্তে থাকে।

নিজ মনের দুর্বলতা দূর করতে হবে। ‘আমি পারব না, আমার দ্বারা সম্ভব নয়’ থেকে ‘আমি পারবই’-তে আসতে হবে। যদি মনে করা হয়, ‘ইংরেজি ভুল বললে কিংবা লিখলে অন্যদের সামনে লজ্জিত হতে হবে’ আর এই ভয়ে যদি ইংরেজি বলা বা লেখার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তবে জীবনভর এমনই থাকতে হবে। তখন অবস্থাটি অনেকটা এরকম হবে যে, পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাইকেল চালানো শিখব না। অথচ সাইকেল চালানো শিখতে হলে গুটিকয়েকবার আছাড় খেতেই হয়। ছোটকালে পড়ে যাওয়ার ভয়ে হাঁটতে না শিখতে দিলে বিশের কোঠা পার করলেও আমাদের হাঁটা হতো না। জাতীয় কবি বলেছেন- ‘ভুলের মধ্য দিয়ে গেলে তবেই সত্যকে পাওয়া যায়’। সুতরাং ভুল করে বিচলিত হওয়া যাবে না। ভুল থেকে এমনভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যেন পুনরায় ভুলটি না হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে একপর্যায়ে ভুলের মাত্রা একেবারে হ্রাস পেয়ে যাবে। ফলে যে কেউ হয়ে উঠতে পারবে ইংরেজিতে সেরা।

হিমেল আহমেদ

হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৯।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

শীতের সবজি সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

বিনোদপুর বাজারে ব্যানার অপসারণের দাবি

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হোক

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

tab

চিঠিপত্র

শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভীতি দূর হোক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

‘ইংরেজি’ যেন একটি আতঙ্কের নাম। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে মহামারীর মতো ইংরেজি ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের একাংশের মাঝেও উক্ত ভীতি বিদ্যমান।

ইংরেজি ভীতির বেশ কিছু কারণ থাকলেও উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ রয়েছে; এর মাঝে অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ধারণা, যা নিতান্তই ভুল। ইংরেজি, শব্দটি শুনলেই আমাদের কল্পনায় আসে — অনধিক পাঁচ শত পৃষ্ঠা সম্পন্ন একটি মোটা বই, যা আগা হতে গোড়া অবধি একগুচ্ছ ইংরেজি ব্যাকরণিক নিয়ম দ্বারা পরিপূর্ণ। ইংরেজিকে একটি ভাষা হিসেবে গ্রহণ না করে আমরা পুঞ্জীভূত ব্যাকরণিক নিয়ম হিসেবে গ্রহণ করেছি।

ইংরেজি ভীতির আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছেÑ আমরা শেখার জন্য না শিখে শুধু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শিখি। আমরা জানি না বিগত সময়ের লব্ধ ইংরেজি জ্ঞান কী করে প্রয়োগ করব। ইংরেজি পরীক্ষায় আকর্ষণীয় নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়াই সেটিকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা নয়। মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সিংহভাগ শিক্ষার্থীই বইয়ের বাইরে নতুন কোন পড়া পারবে না, নতুন কোন ইংরেজি বাক্য গঠন, কিংবা বাংলা হতে ইংরেজি অনুবাদ পারবে না। বেশ কিছু বছর আগে ভাইরাল হওয়া ‘আই অ্যাম জিপিএ ফাইভ’ উক্ত বাক্যের সত্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রিক ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করা হতে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে কি আমাদের পরীক্ষার জন্য পড়তে হবে না? আমরা যখন ইংরেজিকে ভাষা হিসেবে গ্রহণ করব, একগুচ্ছ নিয়মের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাস্তবতা মিলিয়ে ইংরেজি শিখব, তখন ইংরেজিকে সহজ মনে হবে; সেই সঙ্গে পরীক্ষার পড়াও পূর্ণ হয়ে যাবে। এতে একবার শিখেই বারবার পরীক্ষা দেওয়া যায়, প্রত্যেকবার পরীক্ষার পূর্বে বই হাতে নিয়ে চুল ছিঁড়তে হয় না। শুধু নিয়মিত অনুশীলন করলেই তা আয়ত্তে থাকে।

নিজ মনের দুর্বলতা দূর করতে হবে। ‘আমি পারব না, আমার দ্বারা সম্ভব নয়’ থেকে ‘আমি পারবই’-তে আসতে হবে। যদি মনে করা হয়, ‘ইংরেজি ভুল বললে কিংবা লিখলে অন্যদের সামনে লজ্জিত হতে হবে’ আর এই ভয়ে যদি ইংরেজি বলা বা লেখার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ না করা হয়, তবে জীবনভর এমনই থাকতে হবে। তখন অবস্থাটি অনেকটা এরকম হবে যে, পড়ে যাওয়ার ভয়ে সাইকেল চালানো শিখব না। অথচ সাইকেল চালানো শিখতে হলে গুটিকয়েকবার আছাড় খেতেই হয়। ছোটকালে পড়ে যাওয়ার ভয়ে হাঁটতে না শিখতে দিলে বিশের কোঠা পার করলেও আমাদের হাঁটা হতো না। জাতীয় কবি বলেছেন- ‘ভুলের মধ্য দিয়ে গেলে তবেই সত্যকে পাওয়া যায়’। সুতরাং ভুল করে বিচলিত হওয়া যাবে না। ভুল থেকে এমনভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যেন পুনরায় ভুলটি না হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে একপর্যায়ে ভুলের মাত্রা একেবারে হ্রাস পেয়ে যাবে। ফলে যে কেউ হয়ে উঠতে পারবে ইংরেজিতে সেরা।

হিমেল আহমেদ

হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৯।

back to top