alt

চিঠিপত্র

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

: রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সবে মাত্র বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। স্কুল- কলেজ ভেদে পরিক্ষা চলমান থাকলেও দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বার্ষিক পরীক্ষা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হলেই পরবর্তী শ্রেণীর পড়া আগে থেকে কমপ্লিট রাখতে অভিভাবকরা আগে থেকেই যুদ্ধে নামিয়ে দেয় সন্তানদের । বিশেষ করে প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক লেভেলের পরিক্ষা শেষ হওয়া পর- অভিভাবকরা পরবর্তী শ্রেণীর গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে এগিয়ে রাখতে ডিসেম্বরের বন্ধেও পড়ার জন্য প্রেসার দিয়ে থাকে। সবকিছুর মূলে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

ডিসেম্বরের দিনগুলো শৈশবের জন্য আনন্দঘন দিন।

সারা বছর ধরে পড়াশোনা করার পর একটু হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে যখন বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্লাস করা, স্কুল শেষে প্রাইভেট / কোচিং পড়া, রাত জেগে পড়া কমপ্লিট করে পর দিন আবার স্কুল কলেজ। এই চক্র থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হলে। গ্রাম অঞ্চলসহ বিশেষ করে শহুরে অভিভাবকরা এই সময়ে সন্তানদের পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে চায়। এতে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক বিকাশ নিজের অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করতে শুরু করে এই (গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) বিষয়গুলো কঠিন, আগে থেকে না পড়লে পারা সম্ভব না। মানসিক ভাবে তারা দুর্বল হয়ে যায়। সারাবছর ভীতি কাজ করে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক সময়, এ সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগালে পড়াশোনা সঠিকভাবে হবেই তো সেই সাথে অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনেও মনোনিবেশ করা যাবে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি ও বিকাশে অভিভাবকরা বন্ধের এই সময়গুলোতে নানাভাবে ব্যয় করতে পারে। ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবমুখী জীবনাচরণ দেখানো-সেখান থেকে তারা জীবন সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা যাবে। যেমনঃ শহরের বস্তি বা ছিন্নমূল মানুষের জীবন কাছ থেকে অনুধাবন করানো, কায়িকশ্রমে করে এমন মানুষদের কাজ সম্পর্কে মনোভাবের পরিচয় করিয়ে দেওয়া, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম শেখানো, জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিতে পরে ইত্যাদি।

পরিক্ষায় উত্তীর্ণ না কিংবা রেজাল্ট কিছুটা কম আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোচনীয় আচরন না করা, এতে শিক্ষার্থী দূর্বল হয়ে যায়। মনের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে- তাকে দিয়ে কিছুই হবে না।

শৈশব মানুষের মস্তিষ্ক গঠনের আর্দশ সময়। এ সময়টায় মানুষ যা পায়- শিখে, সারা জীবন সেটা আঁকড়ে ধরে। চর্চা করে থাকে। নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, পরোপকার সুলভ মনোভাব গঠনের আর্দশ সময় শৈশবের দিনগুলো।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সবে মাত্র বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে শিক্ষার্থীদের। স্কুল- কলেজ ভেদে পরিক্ষা চলমান থাকলেও দুই-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে বার্ষিক পরীক্ষা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শেষ হলেই পরবর্তী শ্রেণীর পড়া আগে থেকে কমপ্লিট রাখতে অভিভাবকরা আগে থেকেই যুদ্ধে নামিয়ে দেয় সন্তানদের । বিশেষ করে প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক লেভেলের পরিক্ষা শেষ হওয়া পর- অভিভাবকরা পরবর্তী শ্রেণীর গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে এগিয়ে রাখতে ডিসেম্বরের বন্ধেও পড়ার জন্য প্রেসার দিয়ে থাকে। সবকিছুর মূলে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।

ডিসেম্বরের দিনগুলো শৈশবের জন্য আনন্দঘন দিন।

সারা বছর ধরে পড়াশোনা করার পর একটু হাফ ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে যখন বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্লাস করা, স্কুল শেষে প্রাইভেট / কোচিং পড়া, রাত জেগে পড়া কমপ্লিট করে পর দিন আবার স্কুল কলেজ। এই চক্র থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে বার্ষিক পরিক্ষা শেষ হলে। গ্রাম অঞ্চলসহ বিশেষ করে শহুরে অভিভাবকরা এই সময়ে সন্তানদের পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করতে চায়। এতে অভিভাবকরা সন্তানের মানসিক বিকাশ নিজের অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করতে শুরু করে এই (গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান) বিষয়গুলো কঠিন, আগে থেকে না পড়লে পারা সম্ভব না। মানসিক ভাবে তারা দুর্বল হয়ে যায়। সারাবছর ভীতি কাজ করে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত ব্যাপক সময়, এ সময়টা সঠিকভাবে কাজে লাগালে পড়াশোনা সঠিকভাবে হবেই তো সেই সাথে অতিরিক্ত জ্ঞান অর্জনেও মনোনিবেশ করা যাবে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি ও বিকাশে অভিভাবকরা বন্ধের এই সময়গুলোতে নানাভাবে ব্যয় করতে পারে। ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, বাস্তবমুখী জীবনাচরণ দেখানো-সেখান থেকে তারা জীবন সম্পর্কে মূল্যবান ধারণা যাবে। যেমনঃ শহরের বস্তি বা ছিন্নমূল মানুষের জীবন কাছ থেকে অনুধাবন করানো, কায়িকশ্রমে করে এমন মানুষদের কাজ সম্পর্কে মনোভাবের পরিচয় করিয়ে দেওয়া, স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম শেখানো, জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিতে পরে ইত্যাদি।

পরিক্ষায় উত্তীর্ণ না কিংবা রেজাল্ট কিছুটা কম আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে অশোচনীয় আচরন না করা, এতে শিক্ষার্থী দূর্বল হয়ে যায়। মনের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে- তাকে দিয়ে কিছুই হবে না।

শৈশব মানুষের মস্তিষ্ক গঠনের আর্দশ সময়। এ সময়টায় মানুষ যা পায়- শিখে, সারা জীবন সেটা আঁকড়ে ধরে। চর্চা করে থাকে। নীতিনৈতিকতা, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, পরোপকার সুলভ মনোভাব গঠনের আর্দশ সময় শৈশবের দিনগুলো।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

back to top