alt

চিঠিপত্র

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোগীকে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম বিতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যিনি করে থাকেন তিনি হলেন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭ হাজার ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট কর্মরত আছেন। আবার পর্দার পেছনে থেকে রোগ নির্ণয়ের মত সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যারা করে থাকে তাদের নাম মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। এই পেশাটির সঙ্গে পূর্বে মানুষ পরিচিত না হলেও কোভিড-১৯ এ তাদের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। মানুষের শরীরের রক্ত, প্রসাব, ফ্লুইড কিংবা এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই মেশিনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করে থাকেন। কিন্তু ডাক্তার নার্সের ফোকাসে গুরুত্বপূর্ণ পেশাটি বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন ডাক্তার নিয়োগ দিলে তিনজন নার্স, ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিতে হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশে ৩০ হাজার ডাক্তার, ৮০ হাজার নার্সের বিপরীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত মাত্র ৭ হাজার। অথচ এই সংখ্যাটি হতে পারত দেড় লাখের মতো।

সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অভাবে সুইপার দিয়ে ল্যাব টেস্টের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-মেডিকেল টেকনোলজি ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সদ্বয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অধিভুক্ত। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য স্বাস্থ্য শিক্ষার ডিপ্লোমা কোর্স দুটি সম্পন্ন করে সরকারি চাকরি জীবনে প্রবেশ করতে হয় ১১তম বেতনস্কেলে। অথচ সমমানের ৪ বছরের ডিপ্লোমা করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারা ১৯৯৪ সালে, ডিপ্লোমা নার্স ২০১১ সালে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ২০১৮ সালে ১০ম গ্রেড পেয়েছে। তারপরও মানুষ এবং পেশার স্বার্থে আমরা বরাবরই উদার ও নির্ভীক যেমনটা দেখা গিয়েছিল কোভিড-১৯ এ।

সরকার সমমর্যাদা ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার কারণে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেডের সোনালি সূর্য এখনও উদিত হয়নি। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রাণের দাবি ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করে তাদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে সহায়তা করুন।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

ফার্মাসিস্ট

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

রোগীকে সঠিক ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম বিতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যিনি করে থাকেন তিনি হলেন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭ হাজার ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট কর্মরত আছেন। আবার পর্দার পেছনে থেকে রোগ নির্ণয়ের মত সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যারা করে থাকে তাদের নাম মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। এই পেশাটির সঙ্গে পূর্বে মানুষ পরিচিত না হলেও কোভিড-১৯ এ তাদের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। মানুষের শরীরের রক্ত, প্রসাব, ফ্লুইড কিংবা এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই মেশিনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করে থাকেন। কিন্তু ডাক্তার নার্সের ফোকাসে গুরুত্বপূর্ণ পেশাটি বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন ডাক্তার নিয়োগ দিলে তিনজন নার্স, ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিতে হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশে ৩০ হাজার ডাক্তার, ৮০ হাজার নার্সের বিপরীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত মাত্র ৭ হাজার। অথচ এই সংখ্যাটি হতে পারত দেড় লাখের মতো।

সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অভাবে সুইপার দিয়ে ল্যাব টেস্টের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-মেডিকেল টেকনোলজি ডিপ্লোমা-ইন-ফার্মেসি কোর্সদ্বয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অধিভুক্ত। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য স্বাস্থ্য শিক্ষার ডিপ্লোমা কোর্স দুটি সম্পন্ন করে সরকারি চাকরি জীবনে প্রবেশ করতে হয় ১১তম বেতনস্কেলে। অথচ সমমানের ৪ বছরের ডিপ্লোমা করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারা ১৯৯৪ সালে, ডিপ্লোমা নার্স ২০১১ সালে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ২০১৮ সালে ১০ম গ্রেড পেয়েছে। তারপরও মানুষ এবং পেশার স্বার্থে আমরা বরাবরই উদার ও নির্ভীক যেমনটা দেখা গিয়েছিল কোভিড-১৯ এ।

সরকার সমমর্যাদা ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার কারণে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেডের সোনালি সূর্য এখনও উদিত হয়নি। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রাণের দাবি ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করে তাদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে সহায়তা করুন।

মোতাছিম বিল্লাহ মুন্না

ফার্মাসিস্ট

back to top