মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।
এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।
আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
মিজানুর রহমান
ইংরেজি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।
এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।
আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।
মিজানুর রহমান
ইংরেজি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া