alt

চিঠিপত্র

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।

এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।

আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

শীতের সবজি সহজলভ্য করতে পদক্ষেপ প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

বিনোদপুর বাজারে ব্যানার অপসারণের দাবি

অভয়ারণ্যে মানুষের আনাগোনা

ঢাকা কলেজের শৌচাগারের বেহাল দশা

অভিভাবকদের প্রতি একটি ছোট্ট নিবেদন

নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপের স্বাক্ষরতার হার বাড়ানো সময়ের দাবি

হোসেনপুর টু টোক সড়কের বেহাল অবস্থা

পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হোক

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

tab

চিঠিপত্র

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে কোটা পদ্ধতি চালু করেছে, যা প্রশংসনীয়। কিন্তু তাদের চলাচল ও শিক্ষার পরিবেশ এখনও পর্যাপ্ত সহায়ক নয়। বিশেষত, তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা এক বড় চ্যালেঞ্জ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ট্রান্সপোর্ট নেই, বাসে বিশেষ সিট থাকলেও সেটি অন্যরা দখল করে থাকে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মুখীন হতে হয় অমানবিক পরিস্থিতির। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছি, যেখানে এক প্রতিবন্ধী ছাত্র, যার হাত নেই, দাঁড়িয়ে ছিল। কেউই তাকে নিজের আসন ছেড়ে দেয়নি। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।

এমন পরিস্থিতি রোধে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বাস বা চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। বাসে বিশেষ চিহ্নিত আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা যেতে পারে।

আমাদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের মতোই এক সমাজের অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ানো মানবিকতার মূল দিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী এবং সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে তাদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে।

মিজানুর রহমান

ইংরেজি বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

back to top