alt

চিঠিপত্র

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

: শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা নিত্যদিনের কাজগুলো সহজতর এবং দ্রুততর করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করি। রান্নার কাজে মাইক্রোওয়েভ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, যোগাযোগের জন্য স্মার্টফোন, কেনাকাটার জন্য ই-কমার্স সাইট এবং যাতায়াতের জন্য রাইড শেয়ারিং অ্যাপের ব্যবহার আমাদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করছে। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা, ব্যাংকিং, এমনকি সামাজিক যোগাযোগÑ সবকিছুই এখন প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত।

তবে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তির এই ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অলসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে আগে মানুষ শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করত, সেখানে এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে মানুষকে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে। যেমন- বাজারে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁটার বা সাইকেল চালানোর পরিবর্তে অটোমেটিক যানবাহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। এমনকি সহজ যোগ-বিয়োগের জন্যও ক্যালকুলেটরের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে গতিশীল করেছে ঠিকই কিন্তু এর কারণে আমরা শারীরিকভাবে কম সক্রিয় এবং অলস হয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থায় প্রয়োজন, প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নিজের শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা ধরে রাখা। প্রযুক্তি যেন আমাদের সহযোগী হয়, অধিপতি নয়Ñ এমন ভারসাম্য রক্ষা করাই সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই কমবেশি সাইবার স্পেসের অংশ, এবং স্বাভাবিকভাবেই সাইবার সিকিউরিটির অন্তর্ভুক্ত। তবে এই বিষয়টি আমরা সবাই জানি কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি বলতে মূলত ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য ও ডিভাইসগুলোকে সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা বোঝায়। এটি শুধু বড় প্রতিষ্ঠান বা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বিষয় নয়, বরং প্রতিটি সাধারণ ব্যবহারকারীও এর আওতাভূক্ত। আমরা ই-মেইল ব্যবহার করি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলি, অনলাইনে কেনাকাটা করি কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করি। এসব প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের তথ্য সাইবার অপরাধীদের হুমকির মুখে থাকতে পারে।

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় ভূমিকা সাইবার অপরাধের প্রকোপ কমাতে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিবেশকে নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

হালিমা আক্তার হানী

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমরা নিত্যদিনের কাজগুলো সহজতর এবং দ্রুততর করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করি। রান্নার কাজে মাইক্রোওয়েভ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, যোগাযোগের জন্য স্মার্টফোন, কেনাকাটার জন্য ই-কমার্স সাইট এবং যাতায়াতের জন্য রাইড শেয়ারিং অ্যাপের ব্যবহার আমাদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করছে। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা, ব্যাংকিং, এমনকি সামাজিক যোগাযোগÑ সবকিছুই এখন প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত।

তবে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তির এই ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অলসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে আগে মানুষ শারীরিক শ্রমের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করত, সেখানে এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে মানুষকে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে। যেমন- বাজারে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁটার বা সাইকেল চালানোর পরিবর্তে অটোমেটিক যানবাহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। এমনকি সহজ যোগ-বিয়োগের জন্যও ক্যালকুলেটরের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে গতিশীল করেছে ঠিকই কিন্তু এর কারণে আমরা শারীরিকভাবে কম সক্রিয় এবং অলস হয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থায় প্রয়োজন, প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নিজের শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা ধরে রাখা। প্রযুক্তি যেন আমাদের সহযোগী হয়, অধিপতি নয়Ñ এমন ভারসাম্য রক্ষা করাই সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই কমবেশি সাইবার স্পেসের অংশ, এবং স্বাভাবিকভাবেই সাইবার সিকিউরিটির অন্তর্ভুক্ত। তবে এই বিষয়টি আমরা সবাই জানি কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি বলতে মূলত ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য ও ডিভাইসগুলোকে সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা বোঝায়। এটি শুধু বড় প্রতিষ্ঠান বা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বিষয় নয়, বরং প্রতিটি সাধারণ ব্যবহারকারীও এর আওতাভূক্ত। আমরা ই-মেইল ব্যবহার করি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলি, অনলাইনে কেনাকাটা করি কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করি। এসব প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের তথ্য সাইবার অপরাধীদের হুমকির মুখে থাকতে পারে।

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সক্রিয় ভূমিকা সাইবার অপরাধের প্রকোপ কমাতে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিবেশকে নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

হালিমা আক্তার হানী

শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ

back to top