মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশের পাঠ্যবই এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। কী ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশ। যেখানে এখনো দেশের অনেক বিদ্যালয়ে সব বই দেয়া যায়নি সেখানে কালোবাজারে বই বিক্রি করা কতটা দুঃসাহসের পরিচয়Ñ সেটাই এখন ভেবে দেখতে হবে। তবে তাদের উদ্দেশ্যে কী? নৈরাজ্য নাকি বাণিজ্য তাও বিষদভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। ২০১০ সাল থেকেই ১ম থেকে ১০ শ্রেণীর পাঠ্যবই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বই দিয়ে উৎসব আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এ বছর নতুন সিলেবাস তৈরি করতেই সময় অনেকটা গেছে। তার ওপর আবার কার্যাদেশ দিতেও অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। তবে অনেক ছাপাখানার বিরুদ্ধে কাগজের নিম্নমান ব্যবহার করায় অনেক নতুন বই বাতিল করা হয়েছে। তাতেও বাঁধে আবার বিপত্তি। তবে কালোবাজারে যে এখনই বিক্রি শুরু হয়েছে তা-ই নয়। ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাবাজারে বই পাওয়া যাচ্ছে।
বই পেতে দেরি হবে জানতে পেরে অনেক অভিভাবক আগেই টাকা দিয়ে বই সংগ্রহ করে রেখেছেন। আবার অনেক জায়গায় বইয়ের ফটোকপি উচ্চ দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কালোবাজারের সিন্ডিকেটধারীদের আইনের কঠোরতা প্রদর্শনে শিথিলতা দেখানোর কোন অবকাশ নেই। তাহলে ভবিষ্যতে নিয়মের তোয়াক্কা না করে এভাবেই বাহিরে বই বিক্রি হতে থাকবে। সরকারের বিনামূল্যের বই অনেক গরিব ছাত্র- ছাত্রীদের কিনতে গিয়ে পড়াশোনাই বন্ধ হবে। তাই বলবো- দেশের চাহিদা অনুসারে আগে থেকেই বই ছাপানোর কার্যাদেশ যাতে দেয়া হয়। তাহলে বছরের শেষে এসে ছাপাখানার অরাজকতার মুখোমখি হতে হবে না।
মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফা বাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের পাঠ্যবই এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। কী ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে দেশ। যেখানে এখনো দেশের অনেক বিদ্যালয়ে সব বই দেয়া যায়নি সেখানে কালোবাজারে বই বিক্রি করা কতটা দুঃসাহসের পরিচয়Ñ সেটাই এখন ভেবে দেখতে হবে। তবে তাদের উদ্দেশ্যে কী? নৈরাজ্য নাকি বাণিজ্য তাও বিষদভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। ২০১০ সাল থেকেই ১ম থেকে ১০ শ্রেণীর পাঠ্যবই বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বই দিয়ে উৎসব আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এ বছর নতুন সিলেবাস তৈরি করতেই সময় অনেকটা গেছে। তার ওপর আবার কার্যাদেশ দিতেও অনেক সময়ক্ষেপণ হয়েছে। তবে অনেক ছাপাখানার বিরুদ্ধে কাগজের নিম্নমান ব্যবহার করায় অনেক নতুন বই বাতিল করা হয়েছে। তাতেও বাঁধে আবার বিপত্তি। তবে কালোবাজারে যে এখনই বিক্রি শুরু হয়েছে তা-ই নয়। ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাবাজারে বই পাওয়া যাচ্ছে।
বই পেতে দেরি হবে জানতে পেরে অনেক অভিভাবক আগেই টাকা দিয়ে বই সংগ্রহ করে রেখেছেন। আবার অনেক জায়গায় বইয়ের ফটোকপি উচ্চ দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কালোবাজারের সিন্ডিকেটধারীদের আইনের কঠোরতা প্রদর্শনে শিথিলতা দেখানোর কোন অবকাশ নেই। তাহলে ভবিষ্যতে নিয়মের তোয়াক্কা না করে এভাবেই বাহিরে বই বিক্রি হতে থাকবে। সরকারের বিনামূল্যের বই অনেক গরিব ছাত্র- ছাত্রীদের কিনতে গিয়ে পড়াশোনাই বন্ধ হবে। তাই বলবো- দেশের চাহিদা অনুসারে আগে থেকেই বই ছাপানোর কার্যাদেশ যাতে দেয়া হয়। তাহলে বছরের শেষে এসে ছাপাখানার অরাজকতার মুখোমখি হতে হবে না।
মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফা বাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ।