মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শীতার্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসুন
তীব্র শীতে ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের অনাথ পথশিশু, খেটে খাওয়া মানুষ আর অসহায় বয়োবৃদ্ধদের নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র কিনে নিচ্ছেন।
শীতবস্ত্র ও গরম কাপড়ের অভাবে যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে শীতার্ত ব্যক্তিদের দিন কাটছে-এ অবস্থার শিগগিরই অবসান ঘটাতে হবে। শীতের প্রভাবে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যারা শীতজনিত রোগব্যাধিতে ভুগছে, তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধপথ্য ও সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা একান্ত প্রয়োজন। যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাদের দুরবস্থা যে সর্বাধিক, সে কথা বলাই বাহুল্য। বিত্তবান মানুষ শীতবস্ত্র ব্যবহার করে পরিত্রাণ পেলেও দরিদ্র লোকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হাড় কাঁপানো শীতে যে বিপুল জনগোষ্ঠী অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনযাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো সামর্থ্যবান নাগরিকের দায়িত্ব। রাষ্ট্রেরও উচিত নিজস্ব তহবিল থেকে সব অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা।
ফেরদৌস ওয়াহিদ
কেরানীরহাট, রংপুর
২০২০ সাল : প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি
সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেল ২০২০ সাল। বছরের শুরুতে উড়েছিল জয়ের নিশান। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। ভেবেছিলাম, জয় দিয়ে শুরু, বছরটা ভালোই কাটবে। কিন্তু না, মার্চ মাসেই আকাশে ঘণীভূত হয়েছে কালো মেঘ, করোনাভাইরাস। এ মহামারী তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। তবু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। স্বপ্ন দেখেছি জয়ের।
বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতু সংযুক্ত হয়েছে পদ্মার দুই পাড়ে। গত ১৩ নভেম্বর নড়াইলের কিশোর সাদাত সাইবার বুলিং ও সাইবার ক্রাইম রোধে অসামান্য অবদানের জন্য ছোটদের নোবেল জয় করে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারত থেকে তথা এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে ওপরে আছে বাংলাদেশ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। তারা আরও বলেছে যে, যদি এভাবে জিডিপির হার বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বৃহৎ ২৫তম অর্থনীতির দেশ। এটা আমাদের সবার জন্য একটা আনন্দের সংবাদ।
সবকিছু মিলিয়ে ২০২০ ভোলার নয়, বছরটি ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবেই।
জসীম উদ্দিন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০১ জানুয়ারী ২০২১
শীতার্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসুন
তীব্র শীতে ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের অনাথ পথশিশু, খেটে খাওয়া মানুষ আর অসহায় বয়োবৃদ্ধদের নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র কিনে নিচ্ছেন।
শীতবস্ত্র ও গরম কাপড়ের অভাবে যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে শীতার্ত ব্যক্তিদের দিন কাটছে-এ অবস্থার শিগগিরই অবসান ঘটাতে হবে। শীতের প্রভাবে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যারা শীতজনিত রোগব্যাধিতে ভুগছে, তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধপথ্য ও সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করা একান্ত প্রয়োজন। যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাদের দুরবস্থা যে সর্বাধিক, সে কথা বলাই বাহুল্য। বিত্তবান মানুষ শীতবস্ত্র ব্যবহার করে পরিত্রাণ পেলেও দরিদ্র লোকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
হাড় কাঁপানো শীতে যে বিপুল জনগোষ্ঠী অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনযাপন করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো সামর্থ্যবান নাগরিকের দায়িত্ব। রাষ্ট্রেরও উচিত নিজস্ব তহবিল থেকে সব অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা।
ফেরদৌস ওয়াহিদ
কেরানীরহাট, রংপুর
২০২০ সাল : প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি
সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেল ২০২০ সাল। বছরের শুরুতে উড়েছিল জয়ের নিশান। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শিরোপা জিতেছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। ভেবেছিলাম, জয় দিয়ে শুরু, বছরটা ভালোই কাটবে। কিন্তু না, মার্চ মাসেই আকাশে ঘণীভূত হয়েছে কালো মেঘ, করোনাভাইরাস। এ মহামারী তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। তবু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। স্বপ্ন দেখেছি জয়ের।
বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতু সংযুক্ত হয়েছে পদ্মার দুই পাড়ে। গত ১৩ নভেম্বর নড়াইলের কিশোর সাদাত সাইবার বুলিং ও সাইবার ক্রাইম রোধে অসামান্য অবদানের জন্য ছোটদের নোবেল জয় করে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভারত থেকে তথা এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে ওপরে আছে বাংলাদেশ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। তারা আরও বলেছে যে, যদি এভাবে জিডিপির হার বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বৃহৎ ২৫তম অর্থনীতির দেশ। এটা আমাদের সবার জন্য একটা আনন্দের সংবাদ।
সবকিছু মিলিয়ে ২০২০ ভোলার নয়, বছরটি ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবেই।
জসীম উদ্দিন