alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা

: বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির। প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। আর কোমলমতি শিশুরা এর নেতিবাচক প্রভাবেরই শিকার হচ্ছে বেশি। যেমন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কোমলমতি শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা শিশুদের খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো ও কান্না থামানোসহ নানা কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এটি কোনভাবেই শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। মোবাইল ফোন একদিকে যেমন শিশুর স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্যে কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে খেলার মাঠ ও স্বজনদের কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। শিশুরা আজ গৃহবন্দী ও প্রাণচাঞ্চল্যহীন হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দিবেন, কতদিন পর্যন্ত দেবেন না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানদের স্মার্টফোন দেয়ার অর্থ হলো, তাদের হাতে এক বোতল মদ কিংবা এক গ্রাম কোকেন তুলে দেওয়া। কারণ স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

সর্বোপরি অতি ম্মার্ট বানাতে গিয়ে আদরের সোনামণিদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভিন্ন ওষুধের মোড়কে যেমন লেখা থাকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঠিক অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে- শিশুদের ফোন থেকে দূরে রাখুন।

সাইফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির। প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। আর কোমলমতি শিশুরা এর নেতিবাচক প্রভাবেরই শিকার হচ্ছে বেশি। যেমন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কোমলমতি শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা শিশুদের খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো ও কান্না থামানোসহ নানা কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এটি কোনভাবেই শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। মোবাইল ফোন একদিকে যেমন শিশুর স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্যে কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে খেলার মাঠ ও স্বজনদের কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। শিশুরা আজ গৃহবন্দী ও প্রাণচাঞ্চল্যহীন হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবকরা ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দিবেন, কতদিন পর্যন্ত দেবেন না, সেই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তানদের স্মার্টফোন দেয়ার অর্থ হলো, তাদের হাতে এক বোতল মদ কিংবা এক গ্রাম কোকেন তুলে দেওয়া। কারণ স্মার্টফোনের আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বিপজ্জনক। দুই মিনিট স্থায়ী একটি মোবাইল কল শিশুদের মস্তিষ্কের হাইপার অ্যাক্টিভিটি সৃষ্টি করে, যা কিনা পরবর্তী এক ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের মস্তিষ্কে বিরাজ করে। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, ব্যবহারকারীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়, দেহ ধীরে ধীরে ক্লান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি নিয়মিত ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটায়।

সর্বোপরি অতি ম্মার্ট বানাতে গিয়ে আদরের সোনামণিদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিভিন্ন ওষুধের মোড়কে যেমন লেখা থাকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঠিক অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে- শিশুদের ফোন থেকে দূরে রাখুন।

সাইফুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

back to top