মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়! নামটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু তাদের কার্যক্রমে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা কতটুকু আস্থা রাখছে, সেটাই মুখ্য বিষয়। করোনা মাহামারীর আগে যতটুকু গতি ছিল, এখন ঠিক তার উল্টো হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স আছে প্রায় ২ হাজার ২৭৪টি কলেজে। আর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।
যারা পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পায় না, তারাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এসে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এখন স্বপ্ন যেন, দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন দেয়া হয়েছে।
কিন্তু অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে মাদরাসাগুলো তাদের ঘোষিত আগের রুটিন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব-শরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন হতাশ! বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, পরিবারের চাপ তো আছেই। সুতরাং এমন পরিস্থিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যথাযথ ভূমিকা রাখে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আব্দুল করিম গাজী
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়! নামটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু তাদের কার্যক্রমে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা কতটুকু আস্থা রাখছে, সেটাই মুখ্য বিষয়। করোনা মাহামারীর আগে যতটুকু গতি ছিল, এখন ঠিক তার উল্টো হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি কলেজে অনার্স কোর্স আছে প্রায় ২ হাজার ২৭৪টি কলেজে। আর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।
যারা পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পায় না, তারাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এসে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এখন স্বপ্ন যেন, দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে প্রমোশন দেয়া হয়েছে।
কিন্তু অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে মাদরাসাগুলো তাদের ঘোষিত আগের রুটিন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব-শরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন হতাশ! বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে, পরিবারের চাপ তো আছেই। সুতরাং এমন পরিস্থিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যথাযথ ভূমিকা রাখে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এবং কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আব্দুল করিম গাজী