মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সংবাদপত্র আমাদের পৃথিবীর দূরের ও কাছের সকল সংবাদ দেয়। বর্তমানে দেখা যায় বাসায় যারা বয়োজ্যেষ্ঠ তারাই পত্রিকা পড়েন। একটি জেনারেশনের শুধুমাত্র যারা বিসিএস বা চাকরির পরীক্ষা দিবেন তারা ব্যতীত আর কারো খবরের কাগজের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই বললেই চলে। অথচ একটা সময় কিন্তু সববয়সী মানুষ পত্রিকা পড়তো।
কিন্তু এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল থেকে মানুষের এই ভালো অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংবাদপত্র জ্ঞানের সবক্ষেত্রকেই তার আওতায় এনেছে, ফলে পাঠক নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ করে বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়। দৈনন্দিন ঘটনাবলি, রাজনীতি, বিনোদন, ব্যবসা, শেয়ারের ওঠানামা, নিজের এলাকার খবর- সবকিছু জানা যায়। টিভিতে ঘটনা দেখার পরেও বিস্তারিত জানার জন্য খবরের কাগজের পাতা উলটাতেই হয়।
খবরের কাগজ মানুষকে দিকনির্দেশনাও দেয়। দেয় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ। জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তখনকার সংবাদপত্রগুলো পুনর্জন্মের কাহিনী-সংবাদ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ছাপত। আবার মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তীকালে দেশের মানুষ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি ও আন্দোলনের নির্দেশনা লাভ করত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকেই। বর্তমানে আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক পিছিয়ে। কেননা আমরা শুধু একাডেমিক পড়াশোনার ওপর নির্ভরশীল। যার কারণে আমরা একাডেমিকভাবে অনেক শিক্ষিত হতে পারলেও সত্যিকারের জ্ঞানী হতে পারছি না।
বর্তমান সময়ে দেশ-বিদেশ সম্পর্কে পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে অনেক বেশি জানা সম্ভব। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ও জ্ঞানের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত ও বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি ভাষাজ্ঞানও বাড়ে। আমাদের উচিত নিয়মিত পত্রিকা পাঠে আগ্রহী হওয়া।
ইমরান হোসাইন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সংবাদপত্র আমাদের পৃথিবীর দূরের ও কাছের সকল সংবাদ দেয়। বর্তমানে দেখা যায় বাসায় যারা বয়োজ্যেষ্ঠ তারাই পত্রিকা পড়েন। একটি জেনারেশনের শুধুমাত্র যারা বিসিএস বা চাকরির পরীক্ষা দিবেন তারা ব্যতীত আর কারো খবরের কাগজের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই বললেই চলে। অথচ একটা সময় কিন্তু সববয়সী মানুষ পত্রিকা পড়তো।
কিন্তু এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল থেকে মানুষের এই ভালো অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংবাদপত্র জ্ঞানের সবক্ষেত্রকেই তার আওতায় এনেছে, ফলে পাঠক নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ করে বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়। দৈনন্দিন ঘটনাবলি, রাজনীতি, বিনোদন, ব্যবসা, শেয়ারের ওঠানামা, নিজের এলাকার খবর- সবকিছু জানা যায়। টিভিতে ঘটনা দেখার পরেও বিস্তারিত জানার জন্য খবরের কাগজের পাতা উলটাতেই হয়।
খবরের কাগজ মানুষকে দিকনির্দেশনাও দেয়। দেয় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ। জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তখনকার সংবাদপত্রগুলো পুনর্জন্মের কাহিনী-সংবাদ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ছাপত। আবার মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তীকালে দেশের মানুষ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি ও আন্দোলনের নির্দেশনা লাভ করত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকেই। বর্তমানে আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক পিছিয়ে। কেননা আমরা শুধু একাডেমিক পড়াশোনার ওপর নির্ভরশীল। যার কারণে আমরা একাডেমিকভাবে অনেক শিক্ষিত হতে পারলেও সত্যিকারের জ্ঞানী হতে পারছি না।
বর্তমান সময়ে দেশ-বিদেশ সম্পর্কে পত্রিকা পাঠের মাধ্যমে অনেক বেশি জানা সম্ভব। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ও জ্ঞানের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত ও বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি ভাষাজ্ঞানও বাড়ে। আমাদের উচিত নিয়মিত পত্রিকা পাঠে আগ্রহী হওয়া।
ইমরান হোসাইন