মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ও জেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীলফামারী সরকারি কলেজ। বর্তমানে এ কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার এবং ১৪ টি বিষয়ে অনার্সসহ মোট ১৫টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য জেলা থেকে এসে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
কলেজে শিক্ষক পদ সংখ্যা ৭৬ জন থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ৫০ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজে অনার্স কোর্স থাকলে প্রতি বিষয়ের জন্য ছয় থেকে সাতজন শিক্ষক থাকার কথা । কিন্তু গতানুগতিকভাবে অন্যান্য কলেজের মতো নীলফামারী সরকারি কলেজেও শিক্ষক সংকট রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, লাইব্রেরির সেমিনারে বইয়ের সংকট। দুঃখজনক হলেও সত্য জেলার প্রধান বিদ্যাপীঠে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোনো পরিবহন ব্যবস্থা। আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ্য ও সুন্দর মানসিকতা নিয়ে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও সরকারের কাজ।
আবাসিক সংকট নিরসনে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। কলেজে একটি লাইব্রেরি থাকলেও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই নেই। মানসম্মত খাবার জন্য নেই কোনো ক্যান্টিন। ছাত্র সংসদের ভবন থাকলেও সংসদ নির্বাচন কবে হয়েছে তার তারিখ কারও জানা নেই। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শিক্ষায় নিম্নহার থেকে উত্তরণের জন্য, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সুস্থ মানসিকতা নিয়ে ক্লাস উপস্থিত হওয়ার জন্য, সর্বোপরি গণপরিহনের অতিরিক্ত ভাড়া ও ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য নীলফামারী সরকারি কলেজে বাস চালুসহ সব সংকট ও অব্যবস্থাপনা সমস্যার সমাধান করা সময়ের দাবি।
জাফর হোসেন জাকির
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ও জেলার প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীলফামারী সরকারি কলেজ। বর্তমানে এ কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার এবং ১৪ টি বিষয়ে অনার্সসহ মোট ১৫টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলার শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্য জেলা থেকে এসে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
কলেজে শিক্ষক পদ সংখ্যা ৭৬ জন থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ৫০ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজে অনার্স কোর্স থাকলে প্রতি বিষয়ের জন্য ছয় থেকে সাতজন শিক্ষক থাকার কথা । কিন্তু গতানুগতিকভাবে অন্যান্য কলেজের মতো নীলফামারী সরকারি কলেজেও শিক্ষক সংকট রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, লাইব্রেরির সেমিনারে বইয়ের সংকট। দুঃখজনক হলেও সত্য জেলার প্রধান বিদ্যাপীঠে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নেই কোনো পরিবহন ব্যবস্থা। আজকের প্রজন্ম আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ্য ও সুন্দর মানসিকতা নিয়ে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও সরকারের কাজ।
আবাসিক সংকট নিরসনে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। কলেজে একটি লাইব্রেরি থাকলেও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই নেই। মানসম্মত খাবার জন্য নেই কোনো ক্যান্টিন। ছাত্র সংসদের ভবন থাকলেও সংসদ নির্বাচন কবে হয়েছে তার তারিখ কারও জানা নেই। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শিক্ষায় নিম্নহার থেকে উত্তরণের জন্য, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সুস্থ মানসিকতা নিয়ে ক্লাস উপস্থিত হওয়ার জন্য, সর্বোপরি গণপরিহনের অতিরিক্ত ভাড়া ও ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য নীলফামারী সরকারি কলেজে বাস চালুসহ সব সংকট ও অব্যবস্থাপনা সমস্যার সমাধান করা সময়ের দাবি।
জাফর হোসেন জাকির