মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা ভাষাসৈনিকদের কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হই। তাদের নিয়ে স্মরণসভা, সেমিনার, বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে ভুল করি না। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি, প্রভাতফেরিসহ কত কিছুই না করি। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা পরক্ষণেই ভুলে যাই। অনেক রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষাকে সম্মানের আসনে বসাতে কুণ্ঠাবোধ করি। সিনেমা, নাটক, রেডিও-টিভি, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল বানান উপস্থাপন করি আমরা। এরপর রয়েছে সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট; এগুলোতেও প্রচুর ভুল বানান লক্ষ্য করা যায়।
হাল আমলে ফেসবুক স্ট্যাটাস, মোবাইল মেসেঞ্জার ও ডিস লাইনের স্ক্রলে রয়েছে প্রচুর ভুল বানানের ছড়াছড়ি! এগুলো দেখলে নিজেকেই লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। এ যেন বানান ভুলের প্রবল প্রতিযোগিতা! শুধু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিতজনরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়ারাও শিক্ষিতজনেরাও এ ভুলগুলো প্রায়ই করে থাকেন। প্রশ্ন জাগে, ভাষা নিয়ে আজও কেন এত দৈন্যদশা? ভাষার প্রতি কেন এত অবহেলা?
আমরা মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেও তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভুলে গেছি। শুধু মুখে নয়, অন্তরেও এ ভাষাকে লালন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সন্তানদেরও শুদ্ধ করে বাংলা উচ্চারণ ও লেখার চর্চাতেও জোর দিতে হবে। শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষাকে নিয়ে আর হেলাফেলা নয়, বাংলাকে তার যোগ্য আসনে বসাতে হবে। তবেই রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ অন্যান্য শহীদদের প্রতি যোগ্য মূল্যায়ন ও বাংলা ভাষাকে সমুন্নত রাখা সম্ভব।
আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা ভাষাসৈনিকদের কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হই। তাদের নিয়ে স্মরণসভা, সেমিনার, বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে ভুল করি না। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি, প্রভাতফেরিসহ কত কিছুই না করি। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা পরক্ষণেই ভুলে যাই। অনেক রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষাকে সম্মানের আসনে বসাতে কুণ্ঠাবোধ করি। সিনেমা, নাটক, রেডিও-টিভি, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল বানান উপস্থাপন করি আমরা। এরপর রয়েছে সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট; এগুলোতেও প্রচুর ভুল বানান লক্ষ্য করা যায়।
হাল আমলে ফেসবুক স্ট্যাটাস, মোবাইল মেসেঞ্জার ও ডিস লাইনের স্ক্রলে রয়েছে প্রচুর ভুল বানানের ছড়াছড়ি! এগুলো দেখলে নিজেকেই লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। এ যেন বানান ভুলের প্রবল প্রতিযোগিতা! শুধু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিতজনরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়ারাও শিক্ষিতজনেরাও এ ভুলগুলো প্রায়ই করে থাকেন। প্রশ্ন জাগে, ভাষা নিয়ে আজও কেন এত দৈন্যদশা? ভাষার প্রতি কেন এত অবহেলা?
আমরা মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেও তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভুলে গেছি। শুধু মুখে নয়, অন্তরেও এ ভাষাকে লালন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সন্তানদেরও শুদ্ধ করে বাংলা উচ্চারণ ও লেখার চর্চাতেও জোর দিতে হবে। শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষাকে নিয়ে আর হেলাফেলা নয়, বাংলাকে তার যোগ্য আসনে বসাতে হবে। তবেই রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ অন্যান্য শহীদদের প্রতি যোগ্য মূল্যায়ন ও বাংলা ভাষাকে সমুন্নত রাখা সম্ভব।
আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ