alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ভাষা ও শুদ্ধ বানান

: শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা ভাষাসৈনিকদের কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হই। তাদের নিয়ে স্মরণসভা, সেমিনার, বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে ভুল করি না। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি, প্রভাতফেরিসহ কত কিছুই না করি। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা পরক্ষণেই ভুলে যাই। অনেক রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষাকে সম্মানের আসনে বসাতে কুণ্ঠাবোধ করি। সিনেমা, নাটক, রেডিও-টিভি, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল বানান উপস্থাপন করি আমরা। এরপর রয়েছে সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট; এগুলোতেও প্রচুর ভুল বানান লক্ষ্য করা যায়।

হাল আমলে ফেসবুক স্ট্যাটাস, মোবাইল মেসেঞ্জার ও ডিস লাইনের স্ক্রলে রয়েছে প্রচুর ভুল বানানের ছড়াছড়ি! এগুলো দেখলে নিজেকেই লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। এ যেন বানান ভুলের প্রবল প্রতিযোগিতা! শুধু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিতজনরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়ারাও শিক্ষিতজনেরাও এ ভুলগুলো প্রায়ই করে থাকেন। প্রশ্ন জাগে, ভাষা নিয়ে আজও কেন এত দৈন্যদশা? ভাষার প্রতি কেন এত অবহেলা?

আমরা মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেও তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভুলে গেছি। শুধু মুখে নয়, অন্তরেও এ ভাষাকে লালন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সন্তানদেরও শুদ্ধ করে বাংলা উচ্চারণ ও লেখার চর্চাতেও জোর দিতে হবে। শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষাকে নিয়ে আর হেলাফেলা নয়, বাংলাকে তার যোগ্য আসনে বসাতে হবে। তবেই রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ অন্যান্য শহীদদের প্রতি যোগ্য মূল্যায়ন ও বাংলা ভাষাকে সমুন্নত রাখা সম্ভব।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ভাষা ও শুদ্ধ বানান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা ভাষাসৈনিকদের কথা স্মরণ করে আবেগে আপ্লুত হই। তাদের নিয়ে স্মরণসভা, সেমিনার, বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে ভুল করি না। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিনব্যাপী শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি, প্রভাতফেরিসহ কত কিছুই না করি। কিন্তু তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা পরক্ষণেই ভুলে যাই। অনেক রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষাকে সম্মানের আসনে বসাতে কুণ্ঠাবোধ করি। সিনেমা, নাটক, রেডিও-টিভি, পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল বানান উপস্থাপন করি আমরা। এরপর রয়েছে সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, লিফলেট; এগুলোতেও প্রচুর ভুল বানান লক্ষ্য করা যায়।

হাল আমলে ফেসবুক স্ট্যাটাস, মোবাইল মেসেঞ্জার ও ডিস লাইনের স্ক্রলে রয়েছে প্রচুর ভুল বানানের ছড়াছড়ি! এগুলো দেখলে নিজেকেই লজ্জায় মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। এ যেন বানান ভুলের প্রবল প্রতিযোগিতা! শুধু শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিতজনরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়ুয়ারাও শিক্ষিতজনেরাও এ ভুলগুলো প্রায়ই করে থাকেন। প্রশ্ন জাগে, ভাষা নিয়ে আজও কেন এত দৈন্যদশা? ভাষার প্রতি কেন এত অবহেলা?

আমরা মাতৃভাষাকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে তুলনা করলেও তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভুলে গেছি। শুধু মুখে নয়, অন্তরেও এ ভাষাকে লালন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের সন্তানদেরও শুদ্ধ করে বাংলা উচ্চারণ ও লেখার চর্চাতেও জোর দিতে হবে। শহীদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষাকে নিয়ে আর হেলাফেলা নয়, বাংলাকে তার যোগ্য আসনে বসাতে হবে। তবেই রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ অন্যান্য শহীদদের প্রতি যোগ্য মূল্যায়ন ও বাংলা ভাষাকে সমুন্নত রাখা সম্ভব।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

back to top