alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ইডেন কলেজের আবাসন সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিন

: শনিবার, ১৪ মে ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবাই ছুটে চলছে রাজধানীর ঢাকায়। যার জন্য ঢাকা শহর ‘শিক্ষানগরীতে’ পরিণত হয়েছে। পুরুষ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। তবে নগরীতে ঢুকেই শিক্ষার্থীদের চরম আবাসন সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পর নারী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় ইডেন মহিলা কলেজ সবার উপরে। এ কলেজে ৬টি হল থাকার পরেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত সিট পাচ্ছে না।

দেশের নারী প্রগতির ধারাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে চলা এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় আবাসন সংকট। বিশেষ করে সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে সিট পায় নাম মাত্র। এমন আবাসিক সংকট নারী শিক্ষার প্রসারে একটি বড় বাধা। শুধুমাত্র আবাসন সংকটের কারণে ৭৫ ভাগ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও ভর্তি হয়েও নিয়মিত ক্লাস করতে পারেন না অনেক শিক্ষার্থী।

ইডেন মহিলা কলেজের হন্যে সিট পাওয়া নিয়েও চলছে রমরমা বাণিজ্য। ডিপার্টমেন্ট থেকে বৈধভাবে সিট না পেলে হলে উঠতে হয় বড় আপু বা নেত্রীদের মাধ্যমে। সেখানেও গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। টাকা দেয়ার পরেও সিট নিশ্চিত হয় না অনেক সময়। তা ছাড়া হলে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনীতিতে জরানো হয়, মিছিল-মিটিংয়ে যেতে হয় আপুদের সঙ্গে। তাদের কথা অনুযায়ী না চললে সম্মুখীন হতে হয় নানা সমস্যার। যার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েও শিক্ষার্থীরা হলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না, পড়াশোনার মনরোম পরিবেশ পাচ্ছে না।

বহু শিক্ষার্থী আর্থিক অনটনের কারণে বাসা ভাড়া কিংবা মেস ভাড়া করে থাকার সংগতি রাখেন না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এমন প্রান্তিক অবস্থানের শিক্ষার্থী সংখ্যাই কলেজে বেশি। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর্যায়ে এসে এইসব ছাত্রীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে ঝরে পড়ছেন শিক্ষা জীবন থেকেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি আবাসিক সংকটের কারণে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতেন তাহলে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেত এ সম্পর্কে।

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় দিনের পর দিন। আর যাদের সার্মথ্য আছে তারা থাকছেন ভাড়া বাসায়। এ জন্য মাস শেষে তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এ ছাড়া নানা বিষয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসার মালিকদের বাগ্বিতন্ডা হয় তা ছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি তো আছেই। তাই শিক্ষার্থীর অনুপাতে প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণ এবং যে সীমিত সিট আছে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এই রমরমা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য কলেজ প্রশাসনকে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের নারী প্রগতির ধারাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে চলা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় আবাসন সংকট-এটি মোটেও কাম্য নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ইডেন কলেজের আবাসন সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৪ মে ২০২২

মানসম্মত শিক্ষার জন্য সবাই ছুটে চলছে রাজধানীর ঢাকায়। যার জন্য ঢাকা শহর ‘শিক্ষানগরীতে’ পরিণত হয়েছে। পুরুষ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বাড়ছে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। তবে নগরীতে ঢুকেই শিক্ষার্থীদের চরম আবাসন সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পর নারী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় ইডেন মহিলা কলেজ সবার উপরে। এ কলেজে ৬টি হল থাকার পরেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত সিট পাচ্ছে না।

দেশের নারী প্রগতির ধারাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে চলা এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় আবাসন সংকট। বিশেষ করে সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে সিট পায় নাম মাত্র। এমন আবাসিক সংকট নারী শিক্ষার প্রসারে একটি বড় বাধা। শুধুমাত্র আবাসন সংকটের কারণে ৭৫ ভাগ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও ভর্তি হয়েও নিয়মিত ক্লাস করতে পারেন না অনেক শিক্ষার্থী।

ইডেন মহিলা কলেজের হন্যে সিট পাওয়া নিয়েও চলছে রমরমা বাণিজ্য। ডিপার্টমেন্ট থেকে বৈধভাবে সিট না পেলে হলে উঠতে হয় বড় আপু বা নেত্রীদের মাধ্যমে। সেখানেও গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। টাকা দেয়ার পরেও সিট নিশ্চিত হয় না অনেক সময়। তা ছাড়া হলে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনীতিতে জরানো হয়, মিছিল-মিটিংয়ে যেতে হয় আপুদের সঙ্গে। তাদের কথা অনুযায়ী না চললে সম্মুখীন হতে হয় নানা সমস্যার। যার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েও শিক্ষার্থীরা হলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে না, পড়াশোনার মনরোম পরিবেশ পাচ্ছে না।

বহু শিক্ষার্থী আর্থিক অনটনের কারণে বাসা ভাড়া কিংবা মেস ভাড়া করে থাকার সংগতি রাখেন না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে এমন প্রান্তিক অবস্থানের শিক্ষার্থী সংখ্যাই কলেজে বেশি। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর্যায়ে এসে এইসব ছাত্রীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে ঝরে পড়ছেন শিক্ষা জীবন থেকেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি আবাসিক সংকটের কারণে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করতেন তাহলে একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেত এ সম্পর্কে।

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় দিনের পর দিন। আর যাদের সার্মথ্য আছে তারা থাকছেন ভাড়া বাসায়। এ জন্য মাস শেষে তাদের গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এ ছাড়া নানা বিষয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসার মালিকদের বাগ্বিতন্ডা হয় তা ছাড়া নিরাপত্তা ঝুঁকি তো আছেই। তাই শিক্ষার্থীর অনুপাতে প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণ এবং যে সীমিত সিট আছে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর এই রমরমা ব্যবসা বন্ধ করার জন্য কলেজ প্রশাসনকে ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের নারী প্রগতির ধারাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বয়ে নিয়ে চলা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় আবাসন সংকট-এটি মোটেও কাম্য নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

back to top