মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
প্রবাসীরা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, হাসপাতাল স্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডেও এ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ভূমিকা ব্যাপক। বাংলাদেশি বিপুলসংখ্যক নাগরিক মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অভিবাসী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রবাসীরা প্রায় সময় নানাভাবে বঞ্চনা, শোষণ, অবহেলা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। কখনো কখনো নির্যাতিত হচ্ছেন আবার অনেকেই ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তবুও নিজ পরিবার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে হাসিমুখে সব মেনে নিয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তারা নিজ দেশে এসেও বিমানবন্দরে নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মূল ধারার গণমাধ্যমে সে সব ঘটনা প্রায়ই উঠে আসে। এ ব্যাপারে বরাবরই অভিযোগ জানিয়ে আসছে প্রবাসীরা।
সম্প্রতি এক প্রবাসীকে চড় মেরে একজন কাস্টমস কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রবাসীদের প্রতি এমন নীতিবহির্ভূত, অমানবিক আচরণ বন্ধে কর্তৃপক্ষের কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতিতে অক্সিজেনের মতো।
মামুন হোসেন আগুন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
প্রবাসীরা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে। বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, হাসপাতাল স্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডেও এ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ভূমিকা ব্যাপক। বাংলাদেশি বিপুলসংখ্যক নাগরিক মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অভিবাসী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রবাসীরা প্রায় সময় নানাভাবে বঞ্চনা, শোষণ, অবহেলা ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। কখনো কখনো নির্যাতিত হচ্ছেন আবার অনেকেই ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তবুও নিজ পরিবার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে হাসিমুখে সব মেনে নিয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তারা নিজ দেশে এসেও বিমানবন্দরে নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মূল ধারার গণমাধ্যমে সে সব ঘটনা প্রায়ই উঠে আসে। এ ব্যাপারে বরাবরই অভিযোগ জানিয়ে আসছে প্রবাসীরা।
সম্প্রতি এক প্রবাসীকে চড় মেরে একজন কাস্টমস কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রবাসীদের প্রতি এমন নীতিবহির্ভূত, অমানবিক আচরণ বন্ধে কর্তৃপক্ষের কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতিতে অক্সিজেনের মতো।
মামুন হোসেন আগুন