মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সার্বজনীন উৎসব ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব’। মহালয়া কথাটির অর্থ মহান যে আলয় বা আশ্রয়। এর মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। মনের সব অন্ধকার দূর করতে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে আগমন করেন। আলো হাতে আমাদের মনের সব অন্ধকার দূর করে সুখ, শান্তি আর সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পূজোই বাঙালির আদি দুর্গাপূজা। এবার মা দুর্গা গজ বা হাতির পিঠে করে আসবেন এবং নৌকায় প্রস্থান করবেন।
শরৎ মেঘের আনাগোনা আর কাশফুলের সমারোহ জানিয়ে দেয় যে বাংলার সর্ববৃহৎ সার্বজনীন দুর্গা উৎসব অতি সন্নিকটে। এই উৎসব শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবই নয়, বরং এই উৎসবে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে দেখা যায় আনন্দের জোয়ার। বাংলার এই ঐতিহ্য প্রমাণ করে আমরা বাঙালিরা কতটা অসাম্প্রদায়িক এবং আনন্দপ্রিয়। বাংলার এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়ে আসছে।
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে ‘দুর্গাষষ্ঠী’, ‘দুর্গাসপ্তমী’, ‘মহাষ্টমী’, ‘মহানবমী’ ও ‘বিজয়াদশমী’ নামে পরিচিত। বিজয়াদশমীর মধ্য দিয়েই শেষ হবে এই বৃহৎ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মা দুর্গা আমাদের মনের সব অন্ধকার দূর করে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখুক এই প্রার্থনা করি।
দ্বীপক কুমার রায়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সার্বজনীন উৎসব ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব’। মহালয়া কথাটির অর্থ মহান যে আলয় বা আশ্রয়। এর মাধ্যমে দেবী পক্ষের সূচনা হয়। মনের সব অন্ধকার দূর করতে দেবী দুর্গা পৃথিবীতে আগমন করেন। আলো হাতে আমাদের মনের সব অন্ধকার দূর করে সুখ, শান্তি আর সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পূজোই বাঙালির আদি দুর্গাপূজা। এবার মা দুর্গা গজ বা হাতির পিঠে করে আসবেন এবং নৌকায় প্রস্থান করবেন।
শরৎ মেঘের আনাগোনা আর কাশফুলের সমারোহ জানিয়ে দেয় যে বাংলার সর্ববৃহৎ সার্বজনীন দুর্গা উৎসব অতি সন্নিকটে। এই উৎসব শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবই নয়, বরং এই উৎসবে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে দেখা যায় আনন্দের জোয়ার। বাংলার এই ঐতিহ্য প্রমাণ করে আমরা বাঙালিরা কতটা অসাম্প্রদায়িক এবং আনন্দপ্রিয়। বাংলার এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়ে আসছে।
সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে ‘দুর্গাষষ্ঠী’, ‘দুর্গাসপ্তমী’, ‘মহাষ্টমী’, ‘মহানবমী’ ও ‘বিজয়াদশমী’ নামে পরিচিত। বিজয়াদশমীর মধ্য দিয়েই শেষ হবে এই বৃহৎ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মা দুর্গা আমাদের মনের সব অন্ধকার দূর করে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখুক এই প্রার্থনা করি।
দ্বীপক কুমার রায়