alt

চিঠিপত্র

চিঠি : কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য

: শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

কাশফুল মূলত ঋতুকেন্দ্রিক ফুল। শরৎকালেই কাশফুলের সঙ্গে সাদা মেঘের মিতালি দেখা যায়। কাশফুল দেখতে ছুটে আসেন সৌন্দর্য পিপাসুরা। শরতের বিকেলে নীল আকাশের নিচে দোল খায় শুভ্র কাশফুল। কখনো কালো মেঘ আবার কখনো সাদা মেঘের আভরণে লুকিয়ে হাসে সোনালি সূর্য। বাংলার প্রকৃতিতে শরতের এই দৃশ্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যায়। কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য যেন মন কেড়ে নেয় সবার।

শরতের নীল আকাশে সাদাকালো মেঘের ভেলা, হঠাৎ হালকা বৃষ্টি, রাতের বেলায় হালকা শীতের আমেজ, নদীর তীরে শুভ্র কাশফুল যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দোল খায় তখন মনটা আনন্দে নেচে ওঠে। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে শরতের সাদা কাশফুল যেন মনের আঙিনায় নতুন প্রেমের ঝড় তোলে।

কাশবনের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। কাশ দিয়ে গ্রামের নারীরা ঝাঁটা, ডালি ও দোন তৈরি করে। কৃষকেরা কাশকে ঘরের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

আবহমান কাল ধরে গ্রামবাংলার পুকুর, খাল-বিল, ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নদীর কিনারা ও ফাঁকা জায়গায় কাশফুল চোখে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এখন আর সেভাবে কাশফুল দেখা যায় না। গ্রামবাংলার অপরূপ শোভা ও সৌন্দর্যের অধিকারী কাশবন কালের বিবর্তনে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

সবুজ প্রকৃতি আর নীল আকাশের মাঝে সাদা কাশফুল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার। কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কাশফুলের ঢেউ খেলা স্রোত, ফুলের প্রস্ফুটিত রূপ-লাবণ্য প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে। প্রতিবছর ঋতুর রানি শরৎ আসে অপার সৌন্দর্য নিয়ে। তাই তো শরৎ এলেই কাশফুলের দেখা পেতে অসংখ্য মানুষ ছুটে চলে প্রকৃতির কাছে। চোখ ভরে শুধু সৌন্দর্যই উপভোগই করে না, ফ্রেমে বন্দি করে নিয়ে যায় অজস্র স্মৃতি।

আশরাফুল ইসলাম

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

কাশফুল মূলত ঋতুকেন্দ্রিক ফুল। শরৎকালেই কাশফুলের সঙ্গে সাদা মেঘের মিতালি দেখা যায়। কাশফুল দেখতে ছুটে আসেন সৌন্দর্য পিপাসুরা। শরতের বিকেলে নীল আকাশের নিচে দোল খায় শুভ্র কাশফুল। কখনো কালো মেঘ আবার কখনো সাদা মেঘের আভরণে লুকিয়ে হাসে সোনালি সূর্য। বাংলার প্রকৃতিতে শরতের এই দৃশ্য দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে যায়। কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য যেন মন কেড়ে নেয় সবার।

শরতের নীল আকাশে সাদাকালো মেঘের ভেলা, হঠাৎ হালকা বৃষ্টি, রাতের বেলায় হালকা শীতের আমেজ, নদীর তীরে শুভ্র কাশফুল যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দোল খায় তখন মনটা আনন্দে নেচে ওঠে। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে শরতের সাদা কাশফুল যেন মনের আঙিনায় নতুন প্রেমের ঝড় তোলে।

কাশবনের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। কাশ দিয়ে গ্রামের নারীরা ঝাঁটা, ডালি ও দোন তৈরি করে। কৃষকেরা কাশকে ঘরের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া চারাগাছ একটু বড় হলেই এর কিছু অংশ কেটে গরু-মহিষের খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

আবহমান কাল ধরে গ্রামবাংলার পুকুর, খাল-বিল, ঝোপঝাড়, জঙ্গল, নদীর কিনারা ও ফাঁকা জায়গায় কাশফুল চোখে পড়ে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় কাশফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এখন আর সেভাবে কাশফুল দেখা যায় না। গ্রামবাংলার অপরূপ শোভা ও সৌন্দর্যের অধিকারী কাশবন কালের বিবর্তনে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

সবুজ প্রকৃতি আর নীল আকাশের মাঝে সাদা কাশফুল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার। কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কাশফুলের ঢেউ খেলা স্রোত, ফুলের প্রস্ফুটিত রূপ-লাবণ্য প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তোলে। প্রতিবছর ঋতুর রানি শরৎ আসে অপার সৌন্দর্য নিয়ে। তাই তো শরৎ এলেই কাশফুলের দেখা পেতে অসংখ্য মানুষ ছুটে চলে প্রকৃতির কাছে। চোখ ভরে শুধু সৌন্দর্যই উপভোগই করে না, ফ্রেমে বন্দি করে নিয়ে যায় অজস্র স্মৃতি।

আশরাফুল ইসলাম

back to top