মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
জরায়ুমুখের ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এটিকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এটি দেখা দিলে অনেক নারীই কিছু কিছু লক্ষণ বুঝতে পারেন না। কিংবা ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও গুরুত্ব দেন না। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের স্থান।
নারীদের প্রজননতন্ত্র জরায়ুর দুটি অংশ। একটি হলো বডি, আরেকটি হচ্ছে জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্স। সার্ভিক্স হলো জরায়ুর নিচের দিকের অংশ, যা নারী দেহের যোনি এবং জরায়ুকে সংযুক্ত করে। এই জায়গার কোষগুলো যখন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হতে শুরু করে তখন ব্যাপারটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। এই ভাইরাস আছে এমন কারো সঙ্গে যৌনমিলন হলে ভাইরাসটি ছড়ায়। যৌনমিলনের সময় পুরুষের কাছ থেকে নারীদেহে এই ভাইরাস ঢুকে যায়। ভাইরাসটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যান্সার হয় না, ক্যান্সার হতে বেশ কয়েক বছরও লাগতে পারে। যখন নারীর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখনই এই ভাইরাসটি ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে। অনেক সময় ক্যান্সার সার্ভিক্স থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীতে ফুসফুস, যকৃত, মুত্রথলি, যোনি, পায়ুপথেও ছড়িয়ে যেতে থাকে।
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেমন- ১৬ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে না দেয়া, জন্মনিয়ন্ত্রক পিল পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সেবন না করা, বহুগামিতা রোধ ইত্যাদি। এছাড়া ধূমপান, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ কিংবা অপরিচ্ছন্নতার কারণেও জরায়ুমুখের ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সময়মতো টিকা নিতে হবে। যেসব নারীর বয়স ৩০ থেকে ৬০-এর মধ্যে তাদের প্রতি ৫ বছর পরপর ভায়া টেস্ট করাতে হবে।
আশার কথা হলো, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায় এবং এটিই একমাত্র ক্যান্সার, যার টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। তাই উপসর্গ দেখামাত্রই দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। মাসিক শুরুর পরপরই এবং যৌন সম্পর্ক শুরু কিংবা বিয়ের আগে টিকা নিলে এই ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
জরায়ুমুখের ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এটিকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এটি দেখা দিলে অনেক নারীই কিছু কিছু লক্ষণ বুঝতে পারেন না। কিংবা ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও গুরুত্ব দেন না। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের স্থান।
নারীদের প্রজননতন্ত্র জরায়ুর দুটি অংশ। একটি হলো বডি, আরেকটি হচ্ছে জরায়ুমুখ বা সার্ভিক্স। সার্ভিক্স হলো জরায়ুর নিচের দিকের অংশ, যা নারী দেহের যোনি এবং জরায়ুকে সংযুক্ত করে। এই জায়গার কোষগুলো যখন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হতে শুরু করে তখন ব্যাপারটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। এই ভাইরাস আছে এমন কারো সঙ্গে যৌনমিলন হলে ভাইরাসটি ছড়ায়। যৌনমিলনের সময় পুরুষের কাছ থেকে নারীদেহে এই ভাইরাস ঢুকে যায়। ভাইরাসটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যান্সার হয় না, ক্যান্সার হতে বেশ কয়েক বছরও লাগতে পারে। যখন নারীর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখনই এই ভাইরাসটি ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি করে। অনেক সময় ক্যান্সার সার্ভিক্স থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীতে ফুসফুস, যকৃত, মুত্রথলি, যোনি, পায়ুপথেও ছড়িয়ে যেতে থাকে।
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেমন- ১৬ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে না দেয়া, জন্মনিয়ন্ত্রক পিল পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সেবন না করা, বহুগামিতা রোধ ইত্যাদি। এছাড়া ধূমপান, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ কিংবা অপরিচ্ছন্নতার কারণেও জরায়ুমুখের ক্যান্সার হয়ে থাকে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সময়মতো টিকা নিতে হবে। যেসব নারীর বয়স ৩০ থেকে ৬০-এর মধ্যে তাদের প্রতি ৫ বছর পরপর ভায়া টেস্ট করাতে হবে।
আশার কথা হলো, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায় এবং এটিই একমাত্র ক্যান্সার, যার টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। তাই উপসর্গ দেখামাত্রই দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। মাসিক শুরুর পরপরই এবং যৌন সম্পর্ক শুরু কিংবা বিয়ের আগে টিকা নিলে এই ক্যান্সার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
আজম জহিরুল ইসলাম
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ