মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম হাতিয়ার মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরপরও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা বরং দিন দিন মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, শিক্ষিত অশিক্ষিত, ভবঘুরে সব বয়স-শ্রেণীর মানুষই মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘীর মসজিদ এলাকা ও হযরত শাহ সূফী আমানত খান (র.) মাজার এলাকাও। লালদিঘীর উত্তর-পূর্বপাড়, সিটি কর্পোরেশনের লাইব্রেরি ভবনের দক্ষিণে খেলার মাঠের পাশে এবং আমানত শাহ মাজার গেটের সম্মুখে অর্থাৎ জেল রোডে মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এসব মাদকাসক্তদের অধিকাংশই ভবঘুরে প্রকৃতির লোক। যারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক সেবনে ব্যস্ত হয়ে উঠে। তাদের অবাধ মাদকসেবন দেখে অনেকেই মাদকের ভয়াবহতা কিংবা আইনের কঠোরতা ভুলে মাদক সেবনের সাহস পাবে। সর্বোপরি নিষিদ্ধ মাদকের বিষয়ে ভুল বার্তা ছড়াবে।
চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘীরপাড় শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকা। পার্শ্ববর্তী আমানত শাহ (রা.) দরগাহ, কেন্দ্রীয় কারাগার, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, মুসলিম হাই স্কুল, লালদিঘী জামে মসজিদ, নবনির্মিত লাইব্রেরি ভবন, টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, জেলা পরিষদ মার্কেটসহ কোর্টহিলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু ভবঘুরে মাদকসেবীদের কারণে মানুষজন নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারেন না। মাদকসেবীরা মাদক সেবনের পাশাপাশি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটায়। পাশেই জেলা কারাগার, পুলিশ হেড কোয়ার্টার ও কোতোয়ালি থানা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টহল না থাকায় তাদের নাকের ডগায় মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছেই।
চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ যাতে সকাল-সন্ধ্যা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখিত স্থানসমূহে মাদকসেবীদের আড্ডাখানা গুঁড়িয়ে দিতে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
জুবায়ের আহমেদ
বাকলিয়া, চট্টগ্রাম
সংশোধনী : গত বৃহস্পতিবার ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি’ শীর্ষক চিঠির প্রকৃত লেখক আফরোজা আক্তার। অসাবধানতাবশত চিঠিটি ভিন্ন নামে প্রকাশিত হয়েছে। দুঃখিত। বি.স
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম হাতিয়ার মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরপরও কমছে না মাদকসেবীর সংখ্যা বরং দিন দিন মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, শিক্ষিত অশিক্ষিত, ভবঘুরে সব বয়স-শ্রেণীর মানুষই মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত হচ্ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পায়নি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘীর মসজিদ এলাকা ও হযরত শাহ সূফী আমানত খান (র.) মাজার এলাকাও। লালদিঘীর উত্তর-পূর্বপাড়, সিটি কর্পোরেশনের লাইব্রেরি ভবনের দক্ষিণে খেলার মাঠের পাশে এবং আমানত শাহ মাজার গেটের সম্মুখে অর্থাৎ জেল রোডে মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এসব মাদকাসক্তদের অধিকাংশই ভবঘুরে প্রকৃতির লোক। যারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক সেবনে ব্যস্ত হয়ে উঠে। তাদের অবাধ মাদকসেবন দেখে অনেকেই মাদকের ভয়াবহতা কিংবা আইনের কঠোরতা ভুলে মাদক সেবনের সাহস পাবে। সর্বোপরি নিষিদ্ধ মাদকের বিষয়ে ভুল বার্তা ছড়াবে।
চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘীরপাড় শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকা। পার্শ্ববর্তী আমানত শাহ (রা.) দরগাহ, কেন্দ্রীয় কারাগার, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, মুসলিম হাই স্কুল, লালদিঘী জামে মসজিদ, নবনির্মিত লাইব্রেরি ভবন, টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, জেলা পরিষদ মার্কেটসহ কোর্টহিলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু ভবঘুরে মাদকসেবীদের কারণে মানুষজন নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারেন না। মাদকসেবীরা মাদক সেবনের পাশাপাশি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটায়। পাশেই জেলা কারাগার, পুলিশ হেড কোয়ার্টার ও কোতোয়ালি থানা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টহল না থাকায় তাদের নাকের ডগায় মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছেই।
চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ যাতে সকাল-সন্ধ্যা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখিত স্থানসমূহে মাদকসেবীদের আড্ডাখানা গুঁড়িয়ে দিতে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
জুবায়ের আহমেদ
বাকলিয়া, চট্টগ্রাম
সংশোধনী : গত বৃহস্পতিবার ‘জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি’ শীর্ষক চিঠির প্রকৃত লেখক আফরোজা আক্তার। অসাবধানতাবশত চিঠিটি ভিন্ন নামে প্রকাশিত হয়েছে। দুঃখিত। বি.স