মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এদের মধ্যে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয় এবং এদের ৭৫ ভাগই ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজনজনিত চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। এর বাইরে হঠাৎ করে কিডনি বিকল হয়ে প্রতি বছর অন্তত ২০ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করে। দুচিন্তার বিষয় হলো, দেশে কিডনি রোগ ও কিডনি অকেজো রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিডনি অকেজো হয়ে গেলে বেঁচে থাকার জন্য রোগীর ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন প্রয়োজন হয়। দেশে এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে বটে; কিন্তু তা ব্যয়বহুল ও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কিডনি সংযোজন হাসপাতাল রোগীদের ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় রোগীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য জেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস চালুর পাশাপাশি প্রতিটি মেডিকেল কলেজে কিডনি সংযোজনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। একই সঙ্গে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের আওতায় আনা জরুরি।
বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কোন না কোনভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। ভেজাল খাদ্যের কারণে দেশে প্রতি বছর ২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় ভেজালের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। ভেজাল খাদ্য পরিহার করতে পারলেই অনেকটা সুফল পাওয়া যেতে পারে।
আফরোজা আক্তার
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। এদের মধ্যে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয় এবং এদের ৭৫ ভাগই ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজনজনিত চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। এর বাইরে হঠাৎ করে কিডনি বিকল হয়ে প্রতি বছর অন্তত ২০ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করে। দুচিন্তার বিষয় হলো, দেশে কিডনি রোগ ও কিডনি অকেজো রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিডনি অকেজো হয়ে গেলে বেঁচে থাকার জন্য রোগীর ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন প্রয়োজন হয়। দেশে এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে বটে; কিন্তু তা ব্যয়বহুল ও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কিডনি সংযোজন হাসপাতাল রোগীদের ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় রোগীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য জেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস চালুর পাশাপাশি প্রতিটি মেডিকেল কলেজে কিডনি সংযোজনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। একই সঙ্গে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ, ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের আওতায় আনা জরুরি।
বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কোন না কোনভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। ভেজাল খাদ্যের কারণে দেশে প্রতি বছর ২ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় ভেজালের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। ভেজাল খাদ্য পরিহার করতে পারলেই অনেকটা সুফল পাওয়া যেতে পারে।
আফরোজা আক্তার
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়