alt

চিঠিপত্র

চিঠি : শীতের পিঠা

: শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। শীতকাল অন্যান্য ঋতুর মধ্যে অন্যতম। কবি সুফিয়া কামাল পল্লী মায়ের কোল কবিতায় শীতের উৎসবের বর্ণনা করেছেন। গ্রামীণ পরিবেশে শীত মানে কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া, রাতে শিশির বিন্দু সবুজ বৃক্ষে জমে পড়ে। কিন্তু শীতের সকাল সবাইর কাছে খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই সকালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। আমাদের দেশে শীতে মানেই বাঙালির পিঠা-পুলির উৎসব। শীত মানেই পিঠাপুলি, ক্ষির-পায়েস খাওয়ার ধুম। একটা সময় শীতের পিঠার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। বাড়ির আঙিনায় মাটির চুলার ওপর মাটির হাঁড়িতে পিঠা বানানোর যে দৃশ্য, শিশু, বৃদ্ধ সবাইর মন আকৃষ্ট করে। শীতকালে গ্রামে খেজুরের রস পাওয়া যায়। আর এই রস দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসের পিঠা, পায়েস। এই পিঠাপুলি খেতে অনেক আত্মীয়স্বজন আসে। শীতকালে বাঙালির পিঠা ছাড়া কল্পনা করা যায় না।

বাংলাদেশে প্রায় দেড়শ’ রকমের পিঠা তৈরি হয়। আর অধিকাংশ পিঠাপুলি তৈরি হয় গ্রামে। একেক পিঠা তৈরি হয় একেক ধরনের উপাদানে। চিতই পিঠা, ভাঁপা পিঠা, পাটি সাপটা, ফুল পিঠা, দুধ পিঠা, জামাই পিঠা, পাতা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, সাজ পিঠা, তাল পিঠা, পাটা পিঠা, মুঠা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, ছিট পিঠা, চষি পিঠা, ঝাল পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, ক্ষীরকুলি, লবঙ্গ লতিকা, ঝুড়ি পিঠা, ফুলকুচি পিঠা ছাড়াও বাহারি নামের আরো অনেক পিঠা রয়েছে।

কুলি পিঠা অনেক সুস্বাদু। অঞ্চলভেদে কেউ বলে পুলি পিঠা, কেউ বলে কুলি পিঠা। চালের গুঁড়া ছেনে বেলুন দিয়ে ছোট রুটির মতো বানিয়ে তার মধ্যে ফিরনি পায়েস বা নারকেল কোরা অথবা ঝাল খাবার ভরে ভাঁজ করে এঁটে দিয়ে তেলে ভেজে নিলেই হয়ে গেল পুলি পিঠা। নকশি পিঠা নামে নানা ধরনের পিঠা তৈরি হয়। মূলত এই পিঠা আগের সব পিঠার আধুনিক সংস্করণ।এটা এমন ধরনের নকশা করা পিঠা, যা বাংলাদেশে এক প্রকার লোকশিল্প। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা হয় বা ছাঁচে ফেলে পিঠাকে চিত্রিত করা হয় বলে একে নকশি পিঠা বলা হয়। তবে দিন দিন অনেক পিঠাই হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে পিঠাপুলির উৎসবও।

আবদুল্লাহ আল মামুন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : শীতের পিঠা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৩

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। শীতকাল অন্যান্য ঋতুর মধ্যে অন্যতম। কবি সুফিয়া কামাল পল্লী মায়ের কোল কবিতায় শীতের উৎসবের বর্ণনা করেছেন। গ্রামীণ পরিবেশে শীত মানে কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া, রাতে শিশির বিন্দু সবুজ বৃক্ষে জমে পড়ে। কিন্তু শীতের সকাল সবাইর কাছে খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই সকালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। আমাদের দেশে শীতে মানেই বাঙালির পিঠা-পুলির উৎসব। শীত মানেই পিঠাপুলি, ক্ষির-পায়েস খাওয়ার ধুম। একটা সময় শীতের পিঠার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। বাড়ির আঙিনায় মাটির চুলার ওপর মাটির হাঁড়িতে পিঠা বানানোর যে দৃশ্য, শিশু, বৃদ্ধ সবাইর মন আকৃষ্ট করে। শীতকালে গ্রামে খেজুরের রস পাওয়া যায়। আর এই রস দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু রসের পিঠা, পায়েস। এই পিঠাপুলি খেতে অনেক আত্মীয়স্বজন আসে। শীতকালে বাঙালির পিঠা ছাড়া কল্পনা করা যায় না।

বাংলাদেশে প্রায় দেড়শ’ রকমের পিঠা তৈরি হয়। আর অধিকাংশ পিঠাপুলি তৈরি হয় গ্রামে। একেক পিঠা তৈরি হয় একেক ধরনের উপাদানে। চিতই পিঠা, ভাঁপা পিঠা, পাটি সাপটা, ফুল পিঠা, দুধ পিঠা, জামাই পিঠা, পাতা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, সাজ পিঠা, তাল পিঠা, পাটা পিঠা, মুঠা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, ছিট পিঠা, চষি পিঠা, ঝাল পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, ক্ষীরকুলি, লবঙ্গ লতিকা, ঝুড়ি পিঠা, ফুলকুচি পিঠা ছাড়াও বাহারি নামের আরো অনেক পিঠা রয়েছে।

কুলি পিঠা অনেক সুস্বাদু। অঞ্চলভেদে কেউ বলে পুলি পিঠা, কেউ বলে কুলি পিঠা। চালের গুঁড়া ছেনে বেলুন দিয়ে ছোট রুটির মতো বানিয়ে তার মধ্যে ফিরনি পায়েস বা নারকেল কোরা অথবা ঝাল খাবার ভরে ভাঁজ করে এঁটে দিয়ে তেলে ভেজে নিলেই হয়ে গেল পুলি পিঠা। নকশি পিঠা নামে নানা ধরনের পিঠা তৈরি হয়। মূলত এই পিঠা আগের সব পিঠার আধুনিক সংস্করণ।এটা এমন ধরনের নকশা করা পিঠা, যা বাংলাদেশে এক প্রকার লোকশিল্প। এই পিঠার গায়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা আঁকা হয় বা ছাঁচে ফেলে পিঠাকে চিত্রিত করা হয় বলে একে নকশি পিঠা বলা হয়। তবে দিন দিন অনেক পিঠাই হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে পিঠাপুলির উৎসবও।

আবদুল্লাহ আল মামুন

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top