alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পরিবেশ দূষণের ক্ষতি

: শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শিল্পায়নের নেতিবাচক প্রভাব প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছে; যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক আচরণে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। বড় বড় শিল্পকারখানা, রাসায়নিক কারখানা, তেল শোধনাগার, অপরিষ্কার ধাতু গলানো, রাবার ও কটন প্রস্তুতকরণ প্রভৃতি পরিবেশ দূষণে প্রভাব বিস্তার করছে। বিদ্যুৎ শক্তি কেন্দ্র যানবাহন শিল্প, কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্যরে প্রভাবে পরিবেশ দূষণসহ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বায়ুমন্ডলের শুদ্ধতা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বায়ু ছাড়া মানব জীবন কল্পনা করা যায় না।

ফুসফুস ও শ্বসনতন্ত্রের সঙ্গে বায়ু সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৭,৫০০ লিটার বায়ু প্রশ্বাস হিসেবে নিয়ে থাকে। বায়ুমন্ডলের প্রধান গ্যাসীয় উপাদান জল কণিকা যা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় বা-ম-লে অব¯’ান করে এবং বায়ুমন্ডলের ভারসাম্য বজায় রাখে; কিন্তু শিল্প ও তাপীয় শক্তি এবং সার কারখানা ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্প থেকে উদ্ভুত হাইড্রোজেন সালফাইড, হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড বায়ুমন্ডলকে দূষিত করে মানব জীবনে নানা ধরনের বিপত্তির সৃষ্টি করছে।

যানবাহন শিল্প এবং গৃহ কাজের জ্বালানি দহন থেকে সৃষ্ট সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বন বায়ু-দূষণ করে মানবীয়ু বিকাশ ও আচরণ প্রভাবিত করছে এবং বিভিন্ন অসুস্থতাসহ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং বিভিন্ন উপায়ে শহর সৃষ্ট দূষিত উপাদান মিলিত অবস্থায় নগরীর বায়ুমন্ডলকে ক্রমশ ব্যবহার অনুপযোগী করে তুলছে। শতকরা ৫০ ভাগ হাইড্রোকার্বন ও নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং শতকরা ৯০ ভাগ কার্বন মনোক্সাইড যানবাহন জ্বালানি থেকে নির্গত হয়ে নগরীর বাতাসে ভেসে বেড়ায়। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট আর্সেনিক, সিসা, কপার, নিকেল, ক্যাডমিয়াম নগরীর বাতাসকে ক্রমশ ভারি করে তুলছে।

শিল্পায়ন সৃষ্ট মারাত্মক পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশেও ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (ঈড়হংবৎাধঃরড়হ ইধহমষধফবংয ঊহারৎড়হসবহঃ অপঃ, ১৯৯৫)’ প্রণীত হয়েছে; কিন্তু এই আইনের যথাযথ ব্যবহার এখনো দেখা যায়নি। সঠিক আইনের প্রয়োগ করতে হবে, তা না হলে জনজীবন এক সময় বিপন্ন হয়ে পড়বে।

সাকিবুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

চিঠি : অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণ রোধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : প্রচারণায় অংশ নিতে সেলিব্রেটিদের সতর্কতা প্রয়োজন

চিঠি : বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র চুরি রোধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : বিশ্বের আধুনিকতম প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি

চিঠি : গেমিং আসক্তি

চিঠি : শব্দ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে চাই সচেতনতা

চিঠি : আত্মহত্যা এক ব্যাধি

চিঠি : ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পথশিশুদের শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

চিঠি : বিদ্যুৎ মিটার রিচার্জ সহজ করতে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : অন্ধত্ব রোধে সচেতনতা

চিঠি : ‘আমার কী?’

চিঠি : ট্রেনে পাথর ছোড়া

চিঠি : গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার নব আলোকবর্তিকা

চিঠি : জবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সংস্কার চাই

চিঠি : এসি বিস্ফোরণ এড়াতে সচেতন হোন

চিঠি : এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা

চিঠি : মাছ-মাংসের লাগামহীন দাম

চিঠি : চবি মেডিকেলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স চাই

চিঠি : চবিতে সমাবর্তন চাই

চিঠি : সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পানি সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

চিঠি : তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ

চিঠি : বাকৃবির শিক্ষাভাতা বাড়ানো হোক

চিঠি : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানুন

চিঠি : সিলেটে ভূমির খাজনা আদায়ের জটিলতা নিরসন করুন

চিঠি : শিক্ষার্থীর সুপ্ত মেধা বিকাশে উদ্যোগ নিন

চিঠি : মশার উৎপাতে দিশেহারা নগরবাসী

চিঠি : লোক প্রশাসন বিষয়ের পরিধি ও শিক্ষা ক্যাডার

চিঠি : বাংলাদেশ বেতারের অতীত-বর্তমান

চিঠি : নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি

চিঠি : বইয়ের মান ভালো রেখে দাম কমান

চিঠি : জিপিএ-৫ পাওয়া কি অপরাধ

চিঠি : সাইনবোর্ডে বাংলার ব্যবহার চাই

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পরিবেশ দূষণের ক্ষতি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

শিল্পায়নের নেতিবাচক প্রভাব প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছে; যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক আচরণে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। বড় বড় শিল্পকারখানা, রাসায়নিক কারখানা, তেল শোধনাগার, অপরিষ্কার ধাতু গলানো, রাবার ও কটন প্রস্তুতকরণ প্রভৃতি পরিবেশ দূষণে প্রভাব বিস্তার করছে। বিদ্যুৎ শক্তি কেন্দ্র যানবাহন শিল্প, কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্যরে প্রভাবে পরিবেশ দূষণসহ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বায়ুমন্ডলের শুদ্ধতা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বায়ু ছাড়া মানব জীবন কল্পনা করা যায় না।

ফুসফুস ও শ্বসনতন্ত্রের সঙ্গে বায়ু সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৭,৫০০ লিটার বায়ু প্রশ্বাস হিসেবে নিয়ে থাকে। বায়ুমন্ডলের প্রধান গ্যাসীয় উপাদান জল কণিকা যা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় বা-ম-লে অব¯’ান করে এবং বায়ুমন্ডলের ভারসাম্য বজায় রাখে; কিন্তু শিল্প ও তাপীয় শক্তি এবং সার কারখানা ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্প থেকে উদ্ভুত হাইড্রোজেন সালফাইড, হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড বায়ুমন্ডলকে দূষিত করে মানব জীবনে নানা ধরনের বিপত্তির সৃষ্টি করছে।

যানবাহন শিল্প এবং গৃহ কাজের জ্বালানি দহন থেকে সৃষ্ট সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বন বায়ু-দূষণ করে মানবীয়ু বিকাশ ও আচরণ প্রভাবিত করছে এবং বিভিন্ন অসুস্থতাসহ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং বিভিন্ন উপায়ে শহর সৃষ্ট দূষিত উপাদান মিলিত অবস্থায় নগরীর বায়ুমন্ডলকে ক্রমশ ব্যবহার অনুপযোগী করে তুলছে। শতকরা ৫০ ভাগ হাইড্রোকার্বন ও নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং শতকরা ৯০ ভাগ কার্বন মনোক্সাইড যানবাহন জ্বালানি থেকে নির্গত হয়ে নগরীর বাতাসে ভেসে বেড়ায়। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট আর্সেনিক, সিসা, কপার, নিকেল, ক্যাডমিয়াম নগরীর বাতাসকে ক্রমশ ভারি করে তুলছে।

শিল্পায়ন সৃষ্ট মারাত্মক পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশেও ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (ঈড়হংবৎাধঃরড়হ ইধহমষধফবংয ঊহারৎড়হসবহঃ অপঃ, ১৯৯৫)’ প্রণীত হয়েছে; কিন্তু এই আইনের যথাযথ ব্যবহার এখনো দেখা যায়নি। সঠিক আইনের প্রয়োগ করতে হবে, তা না হলে জনজীবন এক সময় বিপন্ন হয়ে পড়বে।

সাকিবুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top