মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শীতকাল! ঋতুটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশ উপভোগ্য। নানারকম পিঠা, পায়েস, খেজুরের রস ইত্যাদি একরকম পূর্ণতা দিয়েছে শীতকালকে। তবে এগুলোর বিপরীতে রয়েছে দিনের পর দিন ফুটপাতে পরে থাকা মানুষগুলোর চরম ভোগান্তির গল্প। গ্রীস্মের রাতে ঘুমানো গেলেও প্রচন্ড শীতে সে উপায় থাকে না। রাতের গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শীতের তীব্রতা আর হিমেল বাতাস। সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কাপড় নেই। ফলে শীতের প্রত্যেকটি রাত তাদের কাছে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কখনো কখনো কিছু লাকড়ি জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার প্রয়াস দেখা যায় রাতের বেলা। তবে এই কংক্রিটের শহরে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ আগুনে পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লাকড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দোকান বা শপিংমলের পাপোস গায়ে জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে দেখে বিচলিত হয়েছি অনেকবার।
ভাসমান মানুষগুলো দিনে-রাতে এক বুক আশা নিয়ে বসে থাকেন একটা কম্বল হাতে পাবার আশায়। যদিও বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেসরকারি পর্যায়ে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের খবর দেখা যায়, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের কম্বল বা পোশাক বিতরণ করা হয়; যা শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই হতদরিদ্র মানুষগুলোর এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দূর করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি মানবতার খাতিরে দেশের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে হয়তো ছিন্নমূল মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
মো. শাহাদাত হোসাইন
ঢাকা কলেজ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
শীতকাল! ঋতুটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশ উপভোগ্য। নানারকম পিঠা, পায়েস, খেজুরের রস ইত্যাদি একরকম পূর্ণতা দিয়েছে শীতকালকে। তবে এগুলোর বিপরীতে রয়েছে দিনের পর দিন ফুটপাতে পরে থাকা মানুষগুলোর চরম ভোগান্তির গল্প। গ্রীস্মের রাতে ঘুমানো গেলেও প্রচন্ড শীতে সে উপায় থাকে না। রাতের গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শীতের তীব্রতা আর হিমেল বাতাস। সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কাপড় নেই। ফলে শীতের প্রত্যেকটি রাত তাদের কাছে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কখনো কখনো কিছু লাকড়ি জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার প্রয়াস দেখা যায় রাতের বেলা। তবে এই কংক্রিটের শহরে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ আগুনে পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লাকড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দোকান বা শপিংমলের পাপোস গায়ে জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে দেখে বিচলিত হয়েছি অনেকবার।
ভাসমান মানুষগুলো দিনে-রাতে এক বুক আশা নিয়ে বসে থাকেন একটা কম্বল হাতে পাবার আশায়। যদিও বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেসরকারি পর্যায়ে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের খবর দেখা যায়, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের কম্বল বা পোশাক বিতরণ করা হয়; যা শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই হতদরিদ্র মানুষগুলোর এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দূর করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি মানবতার খাতিরে দেশের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে হয়তো ছিন্নমূল মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
মো. শাহাদাত হোসাইন
ঢাকা কলেজ