alt

চিঠিপত্র

চিঠি : ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ান

: শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শীতকাল! ঋতুটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশ উপভোগ্য। নানারকম পিঠা, পায়েস, খেজুরের রস ইত্যাদি একরকম পূর্ণতা দিয়েছে শীতকালকে। তবে এগুলোর বিপরীতে রয়েছে দিনের পর দিন ফুটপাতে পরে থাকা মানুষগুলোর চরম ভোগান্তির গল্প। গ্রীস্মের রাতে ঘুমানো গেলেও প্রচন্ড শীতে সে উপায় থাকে না। রাতের গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শীতের তীব্রতা আর হিমেল বাতাস। সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কাপড় নেই। ফলে শীতের প্রত্যেকটি রাত তাদের কাছে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কখনো কখনো কিছু লাকড়ি জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার প্রয়াস দেখা যায় রাতের বেলা। তবে এই কংক্রিটের শহরে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ আগুনে পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লাকড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দোকান বা শপিংমলের পাপোস গায়ে জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে দেখে বিচলিত হয়েছি অনেকবার।

ভাসমান মানুষগুলো দিনে-রাতে এক বুক আশা নিয়ে বসে থাকেন একটা কম্বল হাতে পাবার আশায়। যদিও বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেসরকারি পর্যায়ে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের খবর দেখা যায়, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের কম্বল বা পোশাক বিতরণ করা হয়; যা শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই হতদরিদ্র মানুষগুলোর এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দূর করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি মানবতার খাতিরে দেশের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে হয়তো ছিন্নমূল মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।

মো. শাহাদাত হোসাইন

ঢাকা কলেজ

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই পরিচ্ছন্ন শৌচাগার

চিঠি : বায়ুদূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষা করুন

চিঠি : পর্যটনকেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

চিঠি : ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা

চিঠি : অনলাইন আসক্তি দূর করতে হবে

চিঠি : আত্মহত্যা সমাধান নয়

চিঠি : কারিগরি শিক্ষা

চিঠি : মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : ওজোন স্তর রক্ষা করতে হবে

চিঠি : শিক্ষকের মর্যাদা

চিঠি : আইএমএফের ঋণের প্রভাব

চিঠি : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা

চিঠি : কন্যাসন্তান বোঝা নয়, সম্পদ

চিঠি : স্ক্রিনই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী

চিঠি : নিরাপদ সড়ক চাই

চিঠি : প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

শীতকাল! ঋতুটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশ উপভোগ্য। নানারকম পিঠা, পায়েস, খেজুরের রস ইত্যাদি একরকম পূর্ণতা দিয়েছে শীতকালকে। তবে এগুলোর বিপরীতে রয়েছে দিনের পর দিন ফুটপাতে পরে থাকা মানুষগুলোর চরম ভোগান্তির গল্প। গ্রীস্মের রাতে ঘুমানো গেলেও প্রচন্ড শীতে সে উপায় থাকে না। রাতের গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শীতের তীব্রতা আর হিমেল বাতাস। সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ কাপড় নেই। ফলে শীতের প্রত্যেকটি রাত তাদের কাছে ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। কখনো কখনো কিছু লাকড়ি জোগাড় করে আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার প্রয়াস দেখা যায় রাতের বেলা। তবে এই কংক্রিটের শহরে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ আগুনে পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লাকড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দোকান বা শপিংমলের পাপোস গায়ে জড়িয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে দেখে বিচলিত হয়েছি অনেকবার।

ভাসমান মানুষগুলো দিনে-রাতে এক বুক আশা নিয়ে বসে থাকেন একটা কম্বল হাতে পাবার আশায়। যদিও বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেসরকারি পর্যায়ে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের খবর দেখা যায়, সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের কম্বল বা পোশাক বিতরণ করা হয়; যা শীত নিবারণের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই হতদরিদ্র মানুষগুলোর এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ দূর করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি মানবতার খাতিরে দেশের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে হয়তো ছিন্নমূল মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।

মো. শাহাদাত হোসাইন

ঢাকা কলেজ

back to top