alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আবাদি জমি রক্ষায় পদক্ষেপ নিন

: বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির ওপরই এদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে দেশে জিডিপির ১৮ শতাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। বিশেষ করে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্যের প্রয়োজন তা আসে কৃষিজমি থেকেই। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান হারে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষিশুমারি ২০১৯-এর তথ্য মতে, দেশে আবাদি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। ২০০৮ সালে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর। ১১ বছরের ব্যবধানে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ কমে হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। জমির পরিমাণ কমেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার একর। আবাদি জমির মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর; স্থায়ী ফসলের জমি ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নানা কারণে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, প্রতি বছর দেশে ১ শতাংশ হারে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এই হারে ভূমি ব্যবহার চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কোনো কৃষিজমি থাকবে না।

জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে না জমি। নতুন বসতভিটা, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি, রাস্তা-ঘাট-অবকাঠামো নির্মাণ, ইটভাটা, কলকারখানা, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে কৃষিজমি ক্রমেই কমছে। আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পর পরই আশঙ্কাজনক হারে কেটে নেয়া হয় কৃষিজমির মাটি। জমির উপরিভাগের ছয় থেকে সাত ইঞ্চির মধ্যেই থাকে সব ধরনের জৈব গুণাগুণ। অথচ এটাই কেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে এসব জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। এখন কৃষির প্রতি মানুষের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। পূর্বে দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ৪৮ শতাংশ। জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি, ২০১০ এবং কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন, ২০১০ অনুসারে, কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এই আইনের কোন বাস্তবায়নই হচ্ছে না।

কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। জমি যাতে অকৃষি খাতে ব্যবহার করা না হয় সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

আফরোজা আক্তার

শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

চিঠি : পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

চিঠি : নিরাপদ সড়ক কবে হবে?

চিঠি : সোনালি দিনের অটোগ্রাফ

চিঠি : সুপেয় পানি চাই

চিঠি : টিকটক ভিডিও ও দুর্ঘটনা

চিঠি : পথশিশুদের নিরাপত্তা

চিঠি : অবৈধ ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণ রোধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : প্রচারণায় অংশ নিতে সেলিব্রেটিদের সতর্কতা প্রয়োজন

চিঠি : বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র চুরি রোধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : বিশ্বের আধুনিকতম প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি

চিঠি : গেমিং আসক্তি

চিঠি : শব্দ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে চাই সচেতনতা

চিঠি : আত্মহত্যা এক ব্যাধি

চিঠি : ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পথশিশুদের শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

চিঠি : বিদ্যুৎ মিটার রিচার্জ সহজ করতে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : অন্ধত্ব রোধে সচেতনতা

চিঠি : ‘আমার কী?’

চিঠি : ট্রেনে পাথর ছোড়া

চিঠি : গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার নব আলোকবর্তিকা

চিঠি : জবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সংস্কার চাই

চিঠি : এসি বিস্ফোরণ এড়াতে সচেতন হোন

চিঠি : এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা

চিঠি : মাছ-মাংসের লাগামহীন দাম

চিঠি : চবি মেডিকেলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স চাই

চিঠি : চবিতে সমাবর্তন চাই

চিঠি : সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পানি সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

চিঠি : তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ

চিঠি : বাকৃবির শিক্ষাভাতা বাড়ানো হোক

চিঠি : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানুন

চিঠি : সিলেটে ভূমির খাজনা আদায়ের জটিলতা নিরসন করুন

চিঠি : শিক্ষার্থীর সুপ্ত মেধা বিকাশে উদ্যোগ নিন

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আবাদি জমি রক্ষায় পদক্ষেপ নিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষির ওপরই এদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে নির্ভরশীল। বর্তমানে দেশে জিডিপির ১৮ শতাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। বিশেষ করে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে যে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্যের প্রয়োজন তা আসে কৃষিজমি থেকেই। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান হারে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষিশুমারি ২০১৯-এর তথ্য মতে, দেশে আবাদি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। ২০০৮ সালে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার একর। ১১ বছরের ব্যবধানে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ কমে হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। জমির পরিমাণ কমেছে ৪ লাখ ১৬ হাজার একর। আবাদি জমির মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর; স্থায়ী ফসলের জমি ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নানা কারণে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে, প্রতি বছর দেশে ১ শতাংশ হারে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এই হারে ভূমি ব্যবহার চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কোনো কৃষিজমি থাকবে না।

জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে না জমি। নতুন বসতভিটা, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি, রাস্তা-ঘাট-অবকাঠামো নির্মাণ, ইটভাটা, কলকারখানা, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণের ফলে কৃষিজমি ক্রমেই কমছে। আমন মৌসুম শেষ হওয়ার পর পরই আশঙ্কাজনক হারে কেটে নেয়া হয় কৃষিজমির মাটি। জমির উপরিভাগের ছয় থেকে সাত ইঞ্চির মধ্যেই থাকে সব ধরনের জৈব গুণাগুণ। অথচ এটাই কেটে নেয়া হচ্ছে। ফলে এসব জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। এখন কৃষির প্রতি মানুষের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। পূর্বে দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ৪৮ শতাংশ। জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি, ২০১০ এবং কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন, ২০১০ অনুসারে, কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এই আইনের কোন বাস্তবায়নই হচ্ছে না।

কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। জমি যাতে অকৃষি খাতে ব্যবহার করা না হয় সেজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

আফরোজা আক্তার

শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

back to top