alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করুন

: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে যত মানুষ মারা যায় তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ শতাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী। দিনে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হচ্ছে সড়কে। সবার জন্য নিরাপদ সড়ক করতে চার বছর আগে ২০১৮ সালে দেশ কাঁপানো আন্দোলন গড়ে তুলেছিল শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা কমানো নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেছিল।

কিন্তু সরকার তার দেয়া ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সড়কে ১ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে গত ডিসেম্বরে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২ জন। আর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম মৃত্যুহার ছিল এপ্রিলে ৬৩ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।

অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানো নিয়ে আলোচনা, পরামর্শ ও তর্কবিতর্কের প্রায় সবটাই ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকায় বসেই দুর্ঘটনা কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী, এমপিসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমার বদলে বেড়েই চলেছে। গত বছর সারা দেশে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় ২৭ শতাংশই হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এমনকি দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ঢাকার সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু দুটিই এখন সর্বোচ্চ।

গত কয়েক বছর ধরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪৩ শতাংশের বেশি। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ ও বাসের ধাক্কা, চাপা ও মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্লষকরা বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে আগে দরকার সঠিক তথ্য। কিন্তু সরকারের কাছে সঠিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রাণহানি হয় ২৫ হাজার মানুষের। সড়ক থেকে শৃঙ্খলা আনতে হলে সরকারকেই উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে যত মানুষ মারা যায় তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ শতাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী। দিনে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হচ্ছে সড়কে। সবার জন্য নিরাপদ সড়ক করতে চার বছর আগে ২০১৮ সালে দেশ কাঁপানো আন্দোলন গড়ে তুলেছিল শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা কমানো নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরেছিল।

কিন্তু সরকার তার দেয়া ন্যূনতম প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সড়কে ১ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে গত ডিসেম্বরে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২ জন। আর সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম মৃত্যুহার ছিল এপ্রিলে ৬৩ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।

অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনা কমানো নিয়ে আলোচনা, পরামর্শ ও তর্কবিতর্কের প্রায় সবটাই ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকায় বসেই দুর্ঘটনা কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী, এমপিসহ সরকারের নীতিনির্ধারকরা। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কমার বদলে বেড়েই চলেছে। গত বছর সারা দেশে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে তার প্রায় ২৭ শতাংশই হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এমনকি দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ঢাকার সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু দুটিই এখন সর্বোচ্চ।

গত কয়েক বছর ধরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৪৩ শতাংশের বেশি। ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ ও বাসের ধাক্কা, চাপা ও মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্লষকরা বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে আগে দরকার সঠিক তথ্য। কিন্তু সরকারের কাছে সঠিক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর প্রাণহানি হয় ২৫ হাজার মানুষের। সড়ক থেকে শৃঙ্খলা আনতে হলে সরকারকেই উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে।

আজম জহিরুল ইসলাম

গৌরীপুর, ময়মনসিংহ

back to top