alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই

: বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিল্প ও অর্থনীতি ব্যবস্থা খুবই সুপরিচিত। এই জেলার তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। তাছাড়া আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সারকারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পকারখানা।

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর। এই জেলা তাত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও প্রবাসী আয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রয়েছে বেশ গুরুত্ব। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, এ জেলার জনসংখ্যা ২৮,৪০,৪৯৮ জন, আয়তন প্রায় ১৯২৭ বর্গ কিলোমিটার এবং সাক্ষরতার হার ৪৫.৩ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ১০০টি ইউনিয়ন, ৯৯৩টি মৌজা, ১৩৩১টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেকটাই অবহেলিত। অন্যান্য জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেই কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজ। এদিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী বৈষম্যের শিকার ও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দেশে আরও ৯ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ এ বিষয়ে অনেকবার মানববন্ধন থেকে শুরু করে নানা সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী।

বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর প্রাণের দাবি এ জেলাতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সমৃদ্ধ হবে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা- এমনটাই প্রত্যাশা।

মামুন হোসেন আগুন

বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিল্প ও অর্থনীতি ব্যবস্থা খুবই সুপরিচিত। এই জেলার তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। তাছাড়া আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সারকারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পকারখানা।

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর। এই জেলা তাত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও প্রবাসী আয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রয়েছে বেশ গুরুত্ব। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, এ জেলার জনসংখ্যা ২৮,৪০,৪৯৮ জন, আয়তন প্রায় ১৯২৭ বর্গ কিলোমিটার এবং সাক্ষরতার হার ৪৫.৩ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ১০০টি ইউনিয়ন, ৯৯৩টি মৌজা, ১৩৩১টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেকটাই অবহেলিত। অন্যান্য জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেই কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজ। এদিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী বৈষম্যের শিকার ও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দেশে আরও ৯ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ এ বিষয়ে অনেকবার মানববন্ধন থেকে শুরু করে নানা সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী।

বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর প্রাণের দাবি এ জেলাতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সমৃদ্ধ হবে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা- এমনটাই প্রত্যাশা।

মামুন হোসেন আগুন

বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

back to top