alt

চিঠিপত্র

চিঠি : নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি

: বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

একটা সময় ছিলো যখন স্মার্ট ফোন ছিলো দুর্লভ একটি বিষয়। সেই সময় মানুষের আগ্রহ ছিলো বই পড়ার প্রতি, গল্প করার প্রতি। অনেক সামর্থ্যবানদের বাড়িতে থাকতো নিজস্ব গ্রন্থাগার। এখন সেই সব গল্প শুধুই অতীত। এ যুগে ঘরে ঘরে পাঠাগার না পাওয়া গেলেও স্মার্ট ফোন ঠিকই পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষের শরীরের জন্য যেমন খাদ্যের দরকার, তেমনি মনের খাদ্যও তার প্রয়োজন। এই প্রয়োজন মেটাতে পারে একটি ভালো বই। তবে কাল পরিক্রমায় ঘটা করে বইপড়ার অভ্যাস এখন বিলুপ্তর পথে। নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি। এমন যদি চলতেই থাকে তাহলে হয়তো আগামী প্রজন্ম আস্তে আস্তে ভুলেই যাবে বইপড়ার কথা।

বিভিন্ন গবেষণার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষার মান অনেক নেমে গেছে। ১৯৮২ সালের পর গত বছরই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার হার সবচেয়ে কম। গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষ বছরে মাত্র একটি বই পাঠ করেছেন। শুধু তাই নয় প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণদেও অনলাইনে কাটানো সময়ের হার। পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘন্টা অনালাইনে কাটায়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কিশোর বয়সীদের মধ্যে এককিত্বের মাত্রা সবচেয়ে বেশি এবং ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে আসার পর থেকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটেছে।

প্রযুক্তির অন্যসব দিকের মতো এরও ভালো মন্দ দিক রয়েছে। ঠিক অন্যসব কিছুর ব্যবহারের মত আমরা বর্তমানে ২ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করে। উই আর সোসাল ইস্যুটি তথ্যমতে ফেসবুক ব্যবহারের দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান অবস্থান ২য়। শুধু শুধু ঢাকাতেই এর ব্যবহারকারী ২ কোটি ২০ লাখ লোক। ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশে প্রচুর ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এবং এসব কিশোর কিশোরীর ফেসবুক ব্যবহার যে তাদের লেখাপড়ায় প্রভাব বিস্তার করছে তা বলাই বাহুল্য। ফেসবুক এদেও বই পড়ার আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। যে সময়টাতে তাদের বই নিয়ে পড়ালেখা করার কথা সে সময়টাতে তার ফেসবুকে বা ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুর সাথে কথা বলায় ব্যস্ত রয়েছে অথবা কোন ছবি আপলোড করতে ব্যস্ত। অথচ ফেসবুকের মাধ্যমেও কিন্তু লেখাপড়া করা বা পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শেয়ার করে বন্ধুদের সাথে পড়া কোন কঠিন বিষয় নয়। তবে সেটা খুব কমই হচ্ছে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক দিকটাই বেছে নিচ্ছে। তাদের ফেসবুক ব্যবহার কেবলমাত্র সীমাবদ্ধ রয়েছে লাইক, কমেন্ট আর পোক দেওয়াতে।

প্রাইভেট-কোচিং চক্রে বন্দী। ফলে পাঠ্য বইয়ের বাইরে বই পড়ার অবসর মিলছে না তাদের। চাঁদপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারিক তৃপ্তি সাহা বলেন, কেবল প্রযুক্তির কারণে শিক্ষার্থীরা বই বিমুখ হচ্ছে না। অনেকগুলো কারণ এর জন্য দায়ী। প্রযুক্তি তার একটি মাত্র। আগে বেশিরভাগ পরিবারে পারিবারিক গ্রন্থাগার ও বাসায় বই পড়ার প্রচলন ছিল। এখন সেটা কমে এসেছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার কেবল বই নয়, সামাজিকতা থেকেও মানুষকে দূরে রাখছে। প্রজন্মকে বইমুখী করতে হলে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন।

আরফাতুর রহমান

বংশাল, ঢাকা।

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

একটা সময় ছিলো যখন স্মার্ট ফোন ছিলো দুর্লভ একটি বিষয়। সেই সময় মানুষের আগ্রহ ছিলো বই পড়ার প্রতি, গল্প করার প্রতি। অনেক সামর্থ্যবানদের বাড়িতে থাকতো নিজস্ব গ্রন্থাগার। এখন সেই সব গল্প শুধুই অতীত। এ যুগে ঘরে ঘরে পাঠাগার না পাওয়া গেলেও স্মার্ট ফোন ঠিকই পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষের শরীরের জন্য যেমন খাদ্যের দরকার, তেমনি মনের খাদ্যও তার প্রয়োজন। এই প্রয়োজন মেটাতে পারে একটি ভালো বই। তবে কাল পরিক্রমায় ঘটা করে বইপড়ার অভ্যাস এখন বিলুপ্তর পথে। নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি। এমন যদি চলতেই থাকে তাহলে হয়তো আগামী প্রজন্ম আস্তে আস্তে ভুলেই যাবে বইপড়ার কথা।

বিভিন্ন গবেষণার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষার মান অনেক নেমে গেছে। ১৯৮২ সালের পর গত বছরই প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে সাহিত্য পড়ার হার সবচেয়ে কম। গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষ বছরে মাত্র একটি বই পাঠ করেছেন। শুধু তাই নয় প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণদেও অনলাইনে কাটানো সময়ের হার। পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘন্টা অনালাইনে কাটায়। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে কিশোর বয়সীদের মধ্যে এককিত্বের মাত্রা সবচেয়ে বেশি এবং ২০০৭ সালে আইফোন বাজারে আসার পর থেকে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটেছে।

প্রযুক্তির অন্যসব দিকের মতো এরও ভালো মন্দ দিক রয়েছে। ঠিক অন্যসব কিছুর ব্যবহারের মত আমরা বর্তমানে ২ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করে। উই আর সোসাল ইস্যুটি তথ্যমতে ফেসবুক ব্যবহারের দিক থেকে রাজধানী ঢাকার অবস্থান অবস্থান ২য়। শুধু শুধু ঢাকাতেই এর ব্যবহারকারী ২ কোটি ২০ লাখ লোক। ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশে প্রচুর ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। এবং এসব কিশোর কিশোরীর ফেসবুক ব্যবহার যে তাদের লেখাপড়ায় প্রভাব বিস্তার করছে তা বলাই বাহুল্য। ফেসবুক এদেও বই পড়ার আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। যে সময়টাতে তাদের বই নিয়ে পড়ালেখা করার কথা সে সময়টাতে তার ফেসবুকে বা ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুর সাথে কথা বলায় ব্যস্ত রয়েছে অথবা কোন ছবি আপলোড করতে ব্যস্ত। অথচ ফেসবুকের মাধ্যমেও কিন্তু লেখাপড়া করা বা পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শেয়ার করে বন্ধুদের সাথে পড়া কোন কঠিন বিষয় নয়। তবে সেটা খুব কমই হচ্ছে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক দিকটাই বেছে নিচ্ছে। তাদের ফেসবুক ব্যবহার কেবলমাত্র সীমাবদ্ধ রয়েছে লাইক, কমেন্ট আর পোক দেওয়াতে।

প্রাইভেট-কোচিং চক্রে বন্দী। ফলে পাঠ্য বইয়ের বাইরে বই পড়ার অবসর মিলছে না তাদের। চাঁদপুর সরকারি কলেজের গ্রন্থাগারিক তৃপ্তি সাহা বলেন, কেবল প্রযুক্তির কারণে শিক্ষার্থীরা বই বিমুখ হচ্ছে না। অনেকগুলো কারণ এর জন্য দায়ী। প্রযুক্তি তার একটি মাত্র। আগে বেশিরভাগ পরিবারে পারিবারিক গ্রন্থাগার ও বাসায় বই পড়ার প্রচলন ছিল। এখন সেটা কমে এসেছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার কেবল বই নয়, সামাজিকতা থেকেও মানুষকে দূরে রাখছে। প্রজন্মকে বইমুখী করতে হলে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন।

আরফাতুর রহমান

বংশাল, ঢাকা।

back to top