alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বাংলাদেশ বেতারের অতীত-বর্তমান

: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশ বেতার; একটি নাম, একটি ইতিহাস। এই ইতিহাস একদিনে রচিত হয়নি। যার শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৮৩ বছর আগে। সেই ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এদেশে বেতারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। সেদিন যে বীজ উপ্ত হয়েছিল তাই আজ শাখা-প্রশাখা, পত্র-পল্লবে সুশোভিত এক বিশাল মহীরুহ। কালক্রমে এটাই আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন, সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। দেশের অনেক স্থানে এখনও বিদ্যুৎ নেই, থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন নয়; অনেক স্থানে স্যাটেলাইট সংযোগও নেই। সেখানে এত সংখ্যক জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও বিনোদনের চাহিদা পূরণের একমাত্র নির্ভরশীল মাধ্যম হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার। বাংলাদেশ বেতারই একমাত্র ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, যা দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এই দেশে প্রায়ই উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকে; তখনও সেসব এলাকাতে তথ্য, আবহাওয়া কিংবা মুহূর্তের সংবাদ পৌঁছে দিয়ে থাকে বেতার।

অনেকেরই ধারণা ইন্টারনেটের অগ্রযাত্রার এই সময়ে রেডিও তার গুরুত্ব হারিয়েছে। ধারণাটি মোটেই সঠিক নয়! কারণ সময় যেমন বদলেছে, ঠিক তেমনই সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে প্রচারণার ধরণও বদলে গেছে, এখন মানুষ রেডিও শোনে মোবাইল ফোনে কিংবা ইন্টারনেট অ্যাপস দিয়ে। এখনও রেডিওর ওপর নির্ভর করে অনেক মানুষ। সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ মানুষ এখনও প্রতিদিন একবার করে রেডিও শোনে।

বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর অসীম শক্তি। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম হিসেবেই বিবেচিত। তাই বলা চলে ‘বেতার সবার জন্য, সবসময়, সবখানে’। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে গণমানুষের স্বপ্ন, আশা- আকাক্সক্ষা পূরণে বেতার আরো সামনে এগিয়ে যাবে, বেতার এগিয়ে চলুক তার স্ব-মহিমায়।

মেনহাজুল ইসলাম তারেক

পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

চিঠি : সাধ্যের মধ্যে থাকুক চিকিৎসাসেবা

চিঠি : গাছ রক্ষা আন্দোলন

চিঠি : সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা

চিঠি : স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা

চিঠি : অবহেলিত শিক্ষক সমাজের বাজেট ভাবনা

চিঠি : স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি করুন

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

চিঠি : শিশুদের জন্য চাই বুলিংমুক্ত পরিবেশ

চিঠি : সীমান্ত ট্রেনে যাত্রীসেবা

চিঠি : অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ করুন

চিঠি : গেন্ডারিয়া ও নারিন্দার রাস্তা সংস্কার জরুরি

চিঠি : শব্দদূষণ প্রতিরোধে কঠোর হোন

চিঠি : জ্ঞানের পরিপক্বতাই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

চিঠি : মরণোত্তর চক্ষুদান

চিঠি : বাঙালির প্রাণস্পন্দন কলকাতার জোড়াসাঁকো

চিঠি : চাঁদপুরের দাসেরগাঁও জমজমিয়া খালে সেতু চাই

চিঠি : ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ও ই-কমার্স

চিঠি : বাজেটে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিন

চিঠি : প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

চিঠি : চ্যাট জিপিটি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

চিঠি : চ্যাট জিপিটি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

চিঠি : ফলাফল জটে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ

চিঠি : সেতু চাই

চিঠি : কোথায় গেলে পাব এমন সোনার মানুষ

চিঠি : সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে চাই সচেতনতা

চিঠি : অর্থনৈতিক সংকট মিটবে কিভাবে

চিঠি : মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন

চিঠি : বাঙালির হালখাতা

চিঠি : বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেট, তারপর?

চিঠি : চাকুলিয়ার রাস্তা পাকা করা জরুরি

চিঠি : জানি কিন্তু মানি না

চিঠি : সড়ক ব্যবস্থাপনায় ছাড় নয়

চিঠি : স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের দামে

চিঠি : অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করুন

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বাংলাদেশ বেতারের অতীত-বর্তমান

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ বেতার; একটি নাম, একটি ইতিহাস। এই ইতিহাস একদিনে রচিত হয়নি। যার শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৮৩ বছর আগে। সেই ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এদেশে বেতারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। সেদিন যে বীজ উপ্ত হয়েছিল তাই আজ শাখা-প্রশাখা, পত্র-পল্লবে সুশোভিত এক বিশাল মহীরুহ। কালক্রমে এটাই আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন, সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। দেশের অনেক স্থানে এখনও বিদ্যুৎ নেই, থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন নয়; অনেক স্থানে স্যাটেলাইট সংযোগও নেই। সেখানে এত সংখ্যক জনগণের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও বিনোদনের চাহিদা পূরণের একমাত্র নির্ভরশীল মাধ্যম হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার। বাংলাদেশ বেতারই একমাত্র ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, যা দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এই দেশে প্রায়ই উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকে; তখনও সেসব এলাকাতে তথ্য, আবহাওয়া কিংবা মুহূর্তের সংবাদ পৌঁছে দিয়ে থাকে বেতার।

অনেকেরই ধারণা ইন্টারনেটের অগ্রযাত্রার এই সময়ে রেডিও তার গুরুত্ব হারিয়েছে। ধারণাটি মোটেই সঠিক নয়! কারণ সময় যেমন বদলেছে, ঠিক তেমনই সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে প্রচারণার ধরণও বদলে গেছে, এখন মানুষ রেডিও শোনে মোবাইল ফোনে কিংবা ইন্টারনেট অ্যাপস দিয়ে। এখনও রেডিওর ওপর নির্ভর করে অনেক মানুষ। সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ মানুষ এখনও প্রতিদিন একবার করে রেডিও শোনে।

বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর অসীম শক্তি। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম হিসেবেই বিবেচিত। তাই বলা চলে ‘বেতার সবার জন্য, সবসময়, সবখানে’। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে গণমানুষের স্বপ্ন, আশা- আকাক্সক্ষা পূরণে বেতার আরো সামনে এগিয়ে যাবে, বেতার এগিয়ে চলুক তার স্ব-মহিমায়।

মেনহাজুল ইসলাম তারেক

পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

back to top