alt

চিঠিপত্র

চিঠি : নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

: সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে দেশে নারীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হয়। তবে আক্ষেপের বিষয় এই যে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি। আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন নারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষাগ্রহণ প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। নারীরা নিজেদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে। তাদের নিরাপত্তার দিকে আলোকপাত করলেই, প্রথমেই উঠে আসে আবাসন সংকটের কথা। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দখলে। এখানে স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে, একজন নারী শিক্ষার্থীর স্বপ্নগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। এছাড়া সিট বাণিজ্য এবং হলে অবস্থানরত অবস্থায়ও নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ন্যক্কারজনক সব ঘটনা পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নারী শিক্ষার্থীদের জন্য যে কত অনিরাপদ তা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বর্বরোচিত ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়। মুক্ত জ্ঞানচর্চার স্থানে এমন বর্বরোচিত ঘটনা কাম্য নয়।

ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশের এবং চলাচলের ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হতে হবে। ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির চর্চা, প্রশাসনের গড়িমসি, প্রচলিত অনুশাসনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, নৈতিকতার অবক্ষয় ইত্যাদি কারণেই অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যায়। ফলে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে আসতে চান না এবং প্রতিবাদও করতে পারেন না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সেগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জায়গা থেকে নীতি-নৈতিকতা, সচেতনতা ও মূল্যবোধ জাগ্রতকরণে সোচ্চার হতে হবে।

সাবরীনা আফরিন মিম

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাই পরিচ্ছন্ন শৌচাগার

চিঠি : বায়ুদূষণ থেকে রাজধানীকে রক্ষা করুন

চিঠি : পর্যটনকেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

চিঠি : ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা

চিঠি : অনলাইন আসক্তি দূর করতে হবে

চিঠি : আত্মহত্যা সমাধান নয়

চিঠি : কারিগরি শিক্ষা

চিঠি : মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : ওজোন স্তর রক্ষা করতে হবে

চিঠি : শিক্ষকের মর্যাদা

চিঠি : আইএমএফের ঋণের প্রভাব

চিঠি : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা

চিঠি : কন্যাসন্তান বোঝা নয়, সম্পদ

চিঠি : স্ক্রিনই এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী

চিঠি : নিরাপদ সড়ক চাই

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩

একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে দেশে নারীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হয়। তবে আক্ষেপের বিষয় এই যে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি। আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন নারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষাগ্রহণ প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার। নারীরা নিজেদের শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে। তাদের নিরাপত্তার দিকে আলোকপাত করলেই, প্রথমেই উঠে আসে আবাসন সংকটের কথা। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দখলে। এখানে স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় না। ফলে, একজন নারী শিক্ষার্থীর স্বপ্নগুলো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। এছাড়া সিট বাণিজ্য এবং হলে অবস্থানরত অবস্থায়ও নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ন্যক্কারজনক সব ঘটনা পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো নারী শিক্ষার্থীদের জন্য যে কত অনিরাপদ তা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বর্বরোচিত ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়। মুক্ত জ্ঞানচর্চার স্থানে এমন বর্বরোচিত ঘটনা কাম্য নয়।

ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশের এবং চলাচলের ব্যাপারেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল হতে হবে। ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির চর্চা, প্রশাসনের গড়িমসি, প্রচলিত অনুশাসনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, নৈতিকতার অবক্ষয় ইত্যাদি কারণেই অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যায়। ফলে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে আসতে চান না এবং প্রতিবাদও করতে পারেন না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সেগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জায়গা থেকে নীতি-নৈতিকতা, সচেতনতা ও মূল্যবোধ জাগ্রতকরণে সোচ্চার হতে হবে।

সাবরীনা আফরিন মিম

back to top