alt

চিঠিপত্র

চিঠি : পথশিশুদের শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

: শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শিক্ষা সবার জন্মগত মৌলিক অধিকার। পথশিশুদের শিক্ষায় অনেক করণীয় বিষয় রয়েছে। পথশিশুরা প্রধানত দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। এরা শ্রমদান কজে নিয়োজিত হতে গিয়ে শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে তাদের অনেক চাহিদা অপূর্ণ থেকে যায়। শিক্ষা তথা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় এসব শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের করে দিতে হবে। বিনা বেতনে ও শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

ছিন্নমূল শিশুরা ঠিকমতো খাবার যোগাতে পারে না। তারা কিভাবে শিক্ষাগ্রহণ করবে? এজন্য এই সব শিশুদেরকে শিক্ষা দানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সব শিশুর অভিভাবকদের দারিদ্র দুরীকরণে আয় বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। উন্নত দেশে দেখা যায় যে, শিশুর সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে। তেমনি আমাদের দেশের অবহেলিত শিশুদের সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলে সমাজে আর কোন অরাজকতার সৃষ্টি হবে না।

শিশুদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি শিল্প, কারিগরি, চিকিৎসা, প্রকৌশল, ছাপাখানার কাজ, দর্জির কাজ, কাঠমিন্ত্রির কাজ, যন্ত্রপাতির কাজ ইত্যাদি নানা রকম কর্মমূখী শিক্ষাগ্রহণ করা যেতে পারে। কর্মমূখী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সাধারণভাবেই পর্যাপ্ত সংখ্যক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কোর্সে উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে আমাদের তরুণ বেকারদের সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পথশিশুদের প্রতি নৈতিক মুল্যবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। শিশুদের জীবনকে সৎ,সুন্দর, মহৎ ও আনন্দময় করে তুলতে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ একান্ত প্রয়োজন।

পথশিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নিরক্ষর অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যমগুলোতে এ ব্যাপারে প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে শিক্ষার গুরুত্ব সর্ম্পকে বোঝাতে হবে। দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পোশাক পরিচ্ছদ, বইপত্র ও শিক্ষার অন্যান্য উপকরণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে জাতীয় সমৃদ্ধি নির্ভরশীল। পথশিশুদের অধিকার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ করে তুলতে হবে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তার যেন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। পথশিশুদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।

আরফাতুর রহমান (শাওন)

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

আসুন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

শীতে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতেœর প্রয়োজন

চাঁদাবাজি : নতুন সরকারের পুরোনো চ্যালেঞ্জ

প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করুন

ভর্তিতে লটারি, জীবনে অভিশাপ

গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি

জলবায়ু পরিবর্তন : বাংলাদেশের বর্তমান সংকট ও অভিযোজনের চ্যালেঞ্জ।

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

ফসলের জন্য বন্ধুপোকা

নকল প্রসাধনীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছাগলে চাটে বাঘের গাল

উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট

হল আবাসন আমার অধিকার

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন

শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শহরের জনজীবন

থার্টিফার্স্ট নাইট হোক স্বাভাবিক

বর্ষবরণে পরিবেশ দূষণ কাম্য নয়

লক্ষ্মীবাজার ও নারিন্দার রাস্তা শোচনীয়

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

প্রাণীদের প্রতি সদয় হোন

সহকারী শিক্ষকরা কাদের সহকারী?

শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল করুন

স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : রেফারেল ব্যবস্থার অভাব ও সমাধানের উপায়

রাস্তার পাশে বর্জ্য নিরসনে পদক্ষেপ চাই

স্বাস্থ্যসেবার সংকটে পার্বত্যবাসী

ফুটপাতের দখলদারিত্ব বন্ধ হোক

হেমন্তের দূষণ ও বিষণœতা

পথ কুকুর-বিড়ালের প্রতি মানবিক হোন

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের এমআরআই মেশিন মেরামত করুন

শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি কোথায়

বাধা যেখানে পথ সেখানেই

নাগরিক অধিকার আদায়ে সচেতনতা প্রয়োজন

ঐতিহ্যবাহী ওরশ মেলা

অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করুন

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কবলে ঢাকা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : পথশিশুদের শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

শিক্ষা সবার জন্মগত মৌলিক অধিকার। পথশিশুদের শিক্ষায় অনেক করণীয় বিষয় রয়েছে। পথশিশুরা প্রধানত দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। এরা শ্রমদান কজে নিয়োজিত হতে গিয়ে শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে তাদের অনেক চাহিদা অপূর্ণ থেকে যায়। শিক্ষা তথা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় এসব শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের করে দিতে হবে। বিনা বেতনে ও শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

ছিন্নমূল শিশুরা ঠিকমতো খাবার যোগাতে পারে না। তারা কিভাবে শিক্ষাগ্রহণ করবে? এজন্য এই সব শিশুদেরকে শিক্ষা দানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সব শিশুর অভিভাবকদের দারিদ্র দুরীকরণে আয় বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। উন্নত দেশে দেখা যায় যে, শিশুর সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে। তেমনি আমাদের দেশের অবহেলিত শিশুদের সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলে সমাজে আর কোন অরাজকতার সৃষ্টি হবে না।

শিশুদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি শিল্প, কারিগরি, চিকিৎসা, প্রকৌশল, ছাপাখানার কাজ, দর্জির কাজ, কাঠমিন্ত্রির কাজ, যন্ত্রপাতির কাজ ইত্যাদি নানা রকম কর্মমূখী শিক্ষাগ্রহণ করা যেতে পারে। কর্মমূখী শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সাধারণভাবেই পর্যাপ্ত সংখ্যক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কোর্সে উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে আমাদের তরুণ বেকারদের সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। পথশিশুদের প্রতি নৈতিক মুল্যবোধ বৃদ্ধি করতে হবে। শিশুদের জীবনকে সৎ,সুন্দর, মহৎ ও আনন্দময় করে তুলতে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ একান্ত প্রয়োজন।

পথশিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নিরক্ষর অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যমগুলোতে এ ব্যাপারে প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে শিক্ষার গুরুত্ব সর্ম্পকে বোঝাতে হবে। দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পোশাক পরিচ্ছদ, বইপত্র ও শিক্ষার অন্যান্য উপকরণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে জাতীয় সমৃদ্ধি নির্ভরশীল। পথশিশুদের অধিকার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ করে তুলতে হবে। উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তার যেন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। পথশিশুদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব।

আরফাতুর রহমান (শাওন)

back to top