alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা এক ব্যাধি

: বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। মনোবিজ্ঞানী বিশ্লেষকরা বলেন, নানা কারণে হতে পারে এই আত্মহত্যা; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হতাশা তৈরি হওয়া, জীবনের স্বাদ-আনন্দ হারিরয়ে ফেলা, বিষণ্নতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, আবেগ নিরাময়ের দুর্বল ভূমিকা, হেরোইন, কোকেন এবং অ্যালকোহল ইত্যাদির অপব্যবহারের কারণে মানসিক ব্যাধি এ আত্মহত্যার জন্য দায়ী।

যখন কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের কারো না কারো তা জানা থাকতে পারে বা সন্দেহ মনে হলে তাৎক্ষণিক এই মন্দা মানসিকতা দূর করার জন্য যথাব্যবস্থা প্রয়োজন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া মানুষ সাধারণত এমন হয়, যাদের ডিপ্রেশন বেশি থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি এমন একটি ব্যাধি যেই রোগ সবার অজান্তে জীবনের সম্মানবোধ এবং মায়াকে হারিয়ে তিলে তিলে নিজের জীবন নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, ডিপ্রেশন এই রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে আমরা প্রায় উদাসীন। অথচ বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই ডিপ্রেশন রোগে আক্রান্ত।

বাংলাদেশের শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ এই ডিপ্রেশনজনিত রোগে ভুগছেন। তাই আত্মহত্যাজনিত এ জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়াজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীর এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সবারই এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।

মিসবাহুল ইসলাম

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

চিঠি : সাধ্যের মধ্যে থাকুক চিকিৎসাসেবা

চিঠি : গাছ রক্ষা আন্দোলন

চিঠি : সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা

চিঠি : স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা

চিঠি : অবহেলিত শিক্ষক সমাজের বাজেট ভাবনা

চিঠি : স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি করুন

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

চিঠি : শিশুদের জন্য চাই বুলিংমুক্ত পরিবেশ

চিঠি : সীমান্ত ট্রেনে যাত্রীসেবা

চিঠি : অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধ করুন

চিঠি : গেন্ডারিয়া ও নারিন্দার রাস্তা সংস্কার জরুরি

চিঠি : শব্দদূষণ প্রতিরোধে কঠোর হোন

চিঠি : জ্ঞানের পরিপক্বতাই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

চিঠি : মরণোত্তর চক্ষুদান

চিঠি : বাঙালির প্রাণস্পন্দন কলকাতার জোড়াসাঁকো

চিঠি : চাঁদপুরের দাসেরগাঁও জমজমিয়া খালে সেতু চাই

চিঠি : ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ও ই-কমার্স

চিঠি : বাজেটে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিন

চিঠি : প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

চিঠি : চ্যাট জিপিটি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

চিঠি : চ্যাট জিপিটি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

চিঠি : ফলাফল জটে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজ

চিঠি : সেতু চাই

চিঠি : কোথায় গেলে পাব এমন সোনার মানুষ

চিঠি : সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে চাই সচেতনতা

চিঠি : অর্থনৈতিক সংকট মিটবে কিভাবে

চিঠি : মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন

চিঠি : বাঙালির হালখাতা

চিঠি : বঙ্গবাজার, নিউ সুপার মার্কেট, তারপর?

চিঠি : চাকুলিয়ার রাস্তা পাকা করা জরুরি

চিঠি : জানি কিন্তু মানি না

চিঠি : সড়ক ব্যবস্থাপনায় ছাড় নয়

চিঠি : স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের দামে

চিঠি : অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করুন

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা এক ব্যাধি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। মনোবিজ্ঞানী বিশ্লেষকরা বলেন, নানা কারণে হতে পারে এই আত্মহত্যা; কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান আত্মহত্যার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হতাশা তৈরি হওয়া, জীবনের স্বাদ-আনন্দ হারিরয়ে ফেলা, বিষণ্নতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যাওয়া, আবেগ নিরাময়ের দুর্বল ভূমিকা, হেরোইন, কোকেন এবং অ্যালকোহল ইত্যাদির অপব্যবহারের কারণে মানসিক ব্যাধি এ আত্মহত্যার জন্য দায়ী।

যখন কেউ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের কারো না কারো তা জানা থাকতে পারে বা সন্দেহ মনে হলে তাৎক্ষণিক এই মন্দা মানসিকতা দূর করার জন্য যথাব্যবস্থা প্রয়োজন। আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া মানুষ সাধারণত এমন হয়, যাদের ডিপ্রেশন বেশি থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এটি এমন একটি ব্যাধি যেই রোগ সবার অজান্তে জীবনের সম্মানবোধ এবং মায়াকে হারিয়ে তিলে তিলে নিজের জীবন নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, ডিপ্রেশন এই রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে আমরা প্রায় উদাসীন। অথচ বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ এই ডিপ্রেশন রোগে আক্রান্ত।

বাংলাদেশের শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ এই ডিপ্রেশনজনিত রোগে ভুগছেন। তাই আত্মহত্যাজনিত এ জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়াজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীর এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সবারই এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।

মিসবাহুল ইসলাম

back to top