মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
উষ্ণতা হঠাৎ করে বাড়ছে না। সবই মানুষের কৃতকর্মের ফল। কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রমাণও রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল ব্যবহার।
যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বনডাইঅক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজন বোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে নগরায়ন বৃদ্ধি, জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষি জমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্পকারখানাগুলির প্রসার ইত্যাদি কারণে গাছ কাটার ফলে কার্বনডাইঅক্সাইডের মান বাড়ছে। মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হল গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। কৃষি জমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস।
বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলেই পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া তপ্ত হয়ে গেছে। পরপর কয়েকদিন রোদ দিলেই টেকা দায় হয়ে উঠছে মানুষের। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং নানা প্রজাতিও বিলুপ্ত হতে পারে।
মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের সেই সমস্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসের দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচন্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।
লিয়াকত হোসেন খোকন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
উষ্ণতা হঠাৎ করে বাড়ছে না। সবই মানুষের কৃতকর্মের ফল। কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রমাণও রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল ব্যবহার।
যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বনডাইঅক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজন বোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে নগরায়ন বৃদ্ধি, জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষি জমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্পকারখানাগুলির প্রসার ইত্যাদি কারণে গাছ কাটার ফলে কার্বনডাইঅক্সাইডের মান বাড়ছে। মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হল গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। কৃষি জমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস।
বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলেই পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া তপ্ত হয়ে গেছে। পরপর কয়েকদিন রোদ দিলেই টেকা দায় হয়ে উঠছে মানুষের। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং নানা প্রজাতিও বিলুপ্ত হতে পারে।
মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের সেই সমস্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসের দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচন্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।
লিয়াকত হোসেন খোকন