alt

চিঠিপত্র

চিঠি : উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের কৃতকর্মই দায়ী নয় কি?

: রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

উষ্ণতা হঠাৎ করে বাড়ছে না। সবই মানুষের কৃতকর্মের ফল। কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রমাণও রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল ব্যবহার।

যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বনডাইঅক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজন বোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে নগরায়ন বৃদ্ধি, জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষি জমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্পকারখানাগুলির প্রসার ইত্যাদি কারণে গাছ কাটার ফলে কার্বনডাইঅক্সাইডের মান বাড়ছে। মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হল গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। কৃষি জমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস।

বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলেই পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া তপ্ত হয়ে গেছে। পরপর কয়েকদিন রোদ দিলেই টেকা দায় হয়ে উঠছে মানুষের। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং নানা প্রজাতিও বিলুপ্ত হতে পারে।

মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের সেই সমস্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসের দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচন্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।

লিয়াকত হোসেন খোকন

চিঠি : শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক হোন

চিঠি : বাজার দরে লাগাম টানতে হবে

চিঠি : লাকসামের গ্রামগুলোতে চুরি বন্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য মানুষের কৃতকর্মই দায়ী নয় কি?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

উষ্ণতা হঠাৎ করে বাড়ছে না। সবই মানুষের কৃতকর্মের ফল। কীভাবে মানুষের সক্রিয়তায় উষ্ণতা বাড়ছে, তার প্রমাণও রয়েছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল ব্যবহার।

যানবাহন ব্যবহার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রগুলিতে অতিরিক্ত পরিমাণে জীবাশ্ম ব্যবহার করা হয়। সেখান থেকে নির্গত কার্বনডাইঅক্সাইড বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এসব ঘটছে মানুষের প্রয়োজনে। যে প্রয়োজন বোধ ভারসাম্যহীন। যেমন গাছ কেটে নগরায়ন বৃদ্ধি, জ্বালানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঠের ব্যবহার, জনবসতি বৃদ্ধি, কৃষি জমির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা, শিল্পকারখানাগুলির প্রসার ইত্যাদি কারণে গাছ কাটার ফলে কার্বনডাইঅক্সাইডের মান বাড়ছে। মিথেন গ্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। মিথেন হল গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম। কৃষি জমিতে জমে থাকা পানি, গবাদিপশুর মলমূত্র এবং বিভিন্ন পচনশীল আবর্জনা থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস বিশ্ব উষ্ণায়ণ বৃদ্ধি পেতে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। আর যেমন ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস।

বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলেই পৃথিবীর পরিবেশ আবহাওয়া তপ্ত হয়ে গেছে। পরপর কয়েকদিন রোদ দিলেই টেকা দায় হয়ে উঠছে মানুষের। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং নানা প্রজাতিও বিলুপ্ত হতে পারে।

মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কিছু কিছু অত্যন্ত অবিবেচক কাজের ফলে বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ারে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে চলেছে। এতে সূর্য থেকে আসা রশ্মির দৈর্ঘ্য তরঙ্গরূপে মহাশূন্যে ফিরে যাওয়ার সময় ভূ-পৃষ্ঠের সেই সমস্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসের দ্বারা শোষিত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে বায়ুমন্ডলের নিচের স্তরগুলোর উষ্ণতা ক্রমশই অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের সর্বত্র প্রচন্ড রকমের দাবদাহে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।

লিয়াকত হোসেন খোকন

back to top