alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র

: বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে কোরবানি দেয়া হয় লাখ লাখ পশু, যার মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, মহিষ, উট ইত্যাদি। পশু কোরবানির জন্য কয়েকটি দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। ঈদুল আজহার সময়ে পশু কোরবানি করার জন্য কোরবানি হওয়ার আগে পশুসম্পদ রক্ষণ ও যত্ন করা দরকার। কোরবানির পশুদের সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য শুধু প্রচুর খাদ্যের প্রয়োজন নয়, তবে প্রাণীদের আরামদায়ক আবাস দেওয়ার জন্য এটি ভালো স্থানের প্রয়োজন হতে পারে।

কোরবানির ঈদে রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়। পরিচ্ছন্ন তার ব্যাপারে নিজেদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রতিবেশীদেরও সচেতন করতে হবে। কোরবানির আবর্জনা এখানে-সেখানে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। অথবা বর্জ্য রাখার ব্যাগে ভরে ময়লা সংগ্রহকারীদের দিয়ে দিতে হবে। ময়লা ফেলে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, পরিবেশ দূষিত করে এবং জীবাণু ছড়ায়। রক্ত গড়িয়ে যেন রাস্তায় না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস কাটাকাটি, ভাগ করা এবং বিলি করার সময় শরীরে, পোশাকে এবং স্যান্ডেলে রক্ত লাগতে পারে। কাজ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

কোরবানির পর পশুর অতিরিক্ত বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কারণ কোরবানির পর পশুর বর্জ্য পরিবেশকে সহজেই দূষিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গরু গ্রহের সবচেয়ে খারাপ মিথেন উৎপাদকগুলোর মধ্যে একটি, এই প্রচুর পরিমাণে মিথেন উৎপাদন আমাদের বায়ুম-লকে প্রভাবিত করে, ওজোন স্তরকে ঘন করে দেয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে। ভেড়া, ছাগল এবং উটের মতো কম বর্জ্য পদার্থ তৈরি করা প্রাণীকে নিশ্চিত করা সম্ভব যে প্রক্রিয়াটি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে কম ক্ষতিকারক এবং আমাদের পৃথিবীর পক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ। পশু কোরবানি দেয়া থেকে শুরু করে ঘরে এনে মাংস সংরক্ষণ করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা। যেন আশপাশ থাকে একদম জীবাণুমুক্ত এবং পরিষ্কার। বেকিং পাউডার বা কাপড় কাচার সোডা গরম পানিতে মিশিয়ে সিঙ্কে ঢাললে অপ্রয়োজনীয় তেলচর্বি কমে যাবে এবং তেলতেলে ভাব থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে।

কোরবানির বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা না করে যেখানে সেখানে ফেলে রাখলে তা থেকে দূর্গন্ধ ছড়ায়। তাছাড়া শহরের ড্রেনগুলোতে জমা হয়ে এই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করতে পারে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই কোরবানির পর যথা সম্ভব দ্রুত বর্জ্যগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে মাটি দিতে হবে। কোরবানির জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করতে হবে যেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। এর ফলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সহজেই তাদের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।

বর্জ্যে বর্জ্যে বিভিন্ন এলাকার নালা-খাল ভরে যায়। রাস্তার পাশে পরে থাকা পশুর রক্ত দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে পানি ও বায়ু দূষণে নানা রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব হয়। আসন্ন কোরবানির ঈদে শহরগুলোতে রাস্তায়-বাড়িতে যেখানে-সেখানে পশু জবাই নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের সবগুলো সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু খোলা জায়গা বেছে সেখানে কোরবানি দিতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে।

কোরবানির আর একটি প্রক্রিয়া যা পরিবেশের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক হতে পারে তা হলো মাংস কীভাবে বিতরণের জন্য প্যাকেজ করা হয়। সামাজিকভাবে বিতরণের জন্য মাংস বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয় যা পরে সরবরাহের জন্য সিল করে দেয়া হয়। যেহেতু প্লাস্টিকই এমন একটি উপাদান যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক, সমুদ্রের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সমাপ্তি ঘটে তাই কোরবানি সংগঠনগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ বাবায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহার করা আরও ভালো করতে পারে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে ভাঙন ঘটবে।

সবশেষে, সবুজ, পরিবেশবান্ধব কোরবানি উপভোগ করার আরেকটি উপায় হলো আপনার নিজের উদযাপনের সময় কম সংস্থান ব্যবহার করা। আগের বছরের সাজসজ্জা পুনর্বার বিবেচনাকরণ বা এমন উপহার দিন যা প্রতিদিনের জীবনে পোশাক বা শিক্ষামূলক সংস্থার মতো ব্যবহার করা হয়, বরং ফেলে দেওয়া উপহারের পরিবর্তে। যদি বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম পরিবার যারা তাদের কোরবানির অংশীদারিত্বের অবদান রাখতে পারে, তারা যদি তাদের ব্যবহারের সংস্থান এবং তাদের যে বর্জ্য তৈরি হয় সে সম্পর্কে একটু বেশি বিবেকবান হয়, তবে আমরা সবার জন্য আরও সবুজ, সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে পারি।

পৃথিবী সর্বপ্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানিমুক্ত হোক! বিশেষ করে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পাক মানুষ। ধর্মীয় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের বিভীষিকা দূর হোক। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিও সৌহার্দ্যরে বন্ধন দৃঢ়তর হোক! আগামীদিনগুলো সুন্দর ও সৌন্দর্যমন্দিত হোক। হাসি-খুশি ওদের আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি প্রাণ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঈদ উৎসবের আনন্দে বাঙালির চেতনা ও মন রঙিন হয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা।

মাহমুদ কামাল এনামুল হক

শিক্ষার্থী

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

ত্রিশাল, ময়মনসিংহ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে কোরবানি দেয়া হয় লাখ লাখ পশু, যার মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, মহিষ, উট ইত্যাদি। পশু কোরবানির জন্য কয়েকটি দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। ঈদুল আজহার সময়ে পশু কোরবানি করার জন্য কোরবানি হওয়ার আগে পশুসম্পদ রক্ষণ ও যত্ন করা দরকার। কোরবানির পশুদের সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য শুধু প্রচুর খাদ্যের প্রয়োজন নয়, তবে প্রাণীদের আরামদায়ক আবাস দেওয়ার জন্য এটি ভালো স্থানের প্রয়োজন হতে পারে।

কোরবানির ঈদে রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমে থাকতে দেখা যায়। পরিচ্ছন্ন তার ব্যাপারে নিজেদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রতিবেশীদেরও সচেতন করতে হবে। কোরবানির আবর্জনা এখানে-সেখানে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। অথবা বর্জ্য রাখার ব্যাগে ভরে ময়লা সংগ্রহকারীদের দিয়ে দিতে হবে। ময়লা ফেলে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, পরিবেশ দূষিত করে এবং জীবাণু ছড়ায়। রক্ত গড়িয়ে যেন রাস্তায় না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস কাটাকাটি, ভাগ করা এবং বিলি করার সময় শরীরে, পোশাকে এবং স্যান্ডেলে রক্ত লাগতে পারে। কাজ শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

কোরবানির পর পশুর অতিরিক্ত বর্জ্যগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। কারণ কোরবানির পর পশুর বর্জ্য পরিবেশকে সহজেই দূষিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গরু গ্রহের সবচেয়ে খারাপ মিথেন উৎপাদকগুলোর মধ্যে একটি, এই প্রচুর পরিমাণে মিথেন উৎপাদন আমাদের বায়ুম-লকে প্রভাবিত করে, ওজোন স্তরকে ঘন করে দেয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে। ভেড়া, ছাগল এবং উটের মতো কম বর্জ্য পদার্থ তৈরি করা প্রাণীকে নিশ্চিত করা সম্ভব যে প্রক্রিয়াটি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে কম ক্ষতিকারক এবং আমাদের পৃথিবীর পক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ। পশু কোরবানি দেয়া থেকে শুরু করে ঘরে এনে মাংস সংরক্ষণ করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে থাকতে হবে পরিচ্ছন্নতা। যেন আশপাশ থাকে একদম জীবাণুমুক্ত এবং পরিষ্কার। বেকিং পাউডার বা কাপড় কাচার সোডা গরম পানিতে মিশিয়ে সিঙ্কে ঢাললে অপ্রয়োজনীয় তেলচর্বি কমে যাবে এবং তেলতেলে ভাব থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে।

কোরবানির বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা না করে যেখানে সেখানে ফেলে রাখলে তা থেকে দূর্গন্ধ ছড়ায়। তাছাড়া শহরের ড্রেনগুলোতে জমা হয়ে এই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করতে পারে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই কোরবানির পর যথা সম্ভব দ্রুত বর্জ্যগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে মাটি দিতে হবে। কোরবানির জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করতে হবে যেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। এর ফলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সহজেই তাদের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।

বর্জ্যে বর্জ্যে বিভিন্ন এলাকার নালা-খাল ভরে যায়। রাস্তার পাশে পরে থাকা পশুর রক্ত দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে পানি ও বায়ু দূষণে নানা রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব হয়। আসন্ন কোরবানির ঈদে শহরগুলোতে রাস্তায়-বাড়িতে যেখানে-সেখানে পশু জবাই নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের সবগুলো সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এলাকায় এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু খোলা জায়গা বেছে সেখানে কোরবানি দিতে নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে।

কোরবানির আর একটি প্রক্রিয়া যা পরিবেশের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক হতে পারে তা হলো মাংস কীভাবে বিতরণের জন্য প্যাকেজ করা হয়। সামাজিকভাবে বিতরণের জন্য মাংস বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয় যা পরে সরবরাহের জন্য সিল করে দেয়া হয়। যেহেতু প্লাস্টিকই এমন একটি উপাদান যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক, সমুদ্রের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সমাপ্তি ঘটে তাই কোরবানি সংগঠনগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ বাবায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহার করা আরও ভালো করতে পারে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে ভাঙন ঘটবে।

সবশেষে, সবুজ, পরিবেশবান্ধব কোরবানি উপভোগ করার আরেকটি উপায় হলো আপনার নিজের উদযাপনের সময় কম সংস্থান ব্যবহার করা। আগের বছরের সাজসজ্জা পুনর্বার বিবেচনাকরণ বা এমন উপহার দিন যা প্রতিদিনের জীবনে পোশাক বা শিক্ষামূলক সংস্থার মতো ব্যবহার করা হয়, বরং ফেলে দেওয়া উপহারের পরিবর্তে। যদি বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম পরিবার যারা তাদের কোরবানির অংশীদারিত্বের অবদান রাখতে পারে, তারা যদি তাদের ব্যবহারের সংস্থান এবং তাদের যে বর্জ্য তৈরি হয় সে সম্পর্কে একটু বেশি বিবেকবান হয়, তবে আমরা সবার জন্য আরও সবুজ, সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে পারি।

পৃথিবী সর্বপ্রকার হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানিমুক্ত হোক! বিশেষ করে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা পাক মানুষ। ধর্মীয় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের বিভীষিকা দূর হোক। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিও সৌহার্দ্যরে বন্ধন দৃঢ়তর হোক! আগামীদিনগুলো সুন্দর ও সৌন্দর্যমন্দিত হোক। হাসি-খুশি ওদের আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি প্রাণ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক- এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ঈদ উৎসবের আনন্দে বাঙালির চেতনা ও মন রঙিন হয়ে উঠুক এটাই প্রত্যাশা।

মাহমুদ কামাল এনামুল হক

শিক্ষার্থী

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

ত্রিশাল, ময়মনসিংহ

back to top