alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কেন?

: বুধবার, ০৩ মে ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত কিন্তু কেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে এসে অসীম সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়েও একজন শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে যাচ্ছে?

দেশের তরুণ সমাজ আর তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সরকারি চাকরি নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। সরকারি চাকরির প্রতি শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের আগ্রহ যেন ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। এই ব্যাধি সৃষ্টির পেছনে শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ দেখলে হবে না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য যথেষ্ট দায়ী। সাংবাদিকতায় পড়ে অধিকাংশ ছেলেমেয়ে সাংবাদিক হতে চায় না, নাটকে পড়ে অনেকে থিয়েটার কর্মী হতে চায় না, সিএসই পড়ে জয়েন করে পুলিশে। ডাক্তাররা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার চিন্তা করেন। যার হওয়ার কথা পদার্থবিজ্ঞানী, সে হয় ট্যাক্স অফিসার!

অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনার্স ডিগ্রি নিচ্ছে বিসিএস পরীক্ষার দেয়ার জন্য। শুধু বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার জন্য যদি ছাত্রছাত্রীরা অনার্স পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাহলে এতসময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। চার বছর অনার্স করার কী দরকার? শুধু বিসিএস ক্যাডার হওয়া যদি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট এ পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানাবিধ সমস্যা থাকবেই। পরিবার ভেঙে যেতে পারে, সমাজ ও রাষ্ট্র সবার সমস্যার সমাধান নাও দিতে পারে। তাই বলে আত্মহত্যা সমস্যা থেকে মুক্তির জন পথ হতে পারে না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় জ্ঞানার্জনের জন্য ও গবেষণার জন্য। সেখানে আমাদের দেশে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় একটা ভালো চাকরির জন্য। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। তবে যদি একটি গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা যায়, তরুণদের মাঝে যদি ভালো প্রতিষ্ঠানের কর্মী হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ তৈরি করতে পারে তবে হয়ত কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের হতাশা দূর করা সম্ভব হবে।

সর্বোপরি আমাদের একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে জীবনের জন্য স্বপ্ন, স্বপ্নের জন্য জীবন নয়।

সাকিবুল হাছান

চিঠি : শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্ক হোন

চিঠি : বাজার দরে লাগাম টানতে হবে

চিঠি : লাকসামের গ্রামগুলোতে চুরি বন্ধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

চিঠি : ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ চাই

চিঠি : বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে কেন

চিঠি : দাঁড়াশ সাপ শত্রু নয়, বরং কৃষকের বন্ধু

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কেন?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৩ মে ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশাগ্রস্ত কিন্তু কেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে এসে অসীম সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়েও একজন শিক্ষার্থী হতাশ হয়ে যাচ্ছে?

দেশের তরুণ সমাজ আর তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সরকারি চাকরি নিয়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। সরকারি চাকরির প্রতি শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের আগ্রহ যেন ব্যাধিতে রূপ নিচ্ছে। এই ব্যাধি সৃষ্টির পেছনে শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ দেখলে হবে না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য যথেষ্ট দায়ী। সাংবাদিকতায় পড়ে অধিকাংশ ছেলেমেয়ে সাংবাদিক হতে চায় না, নাটকে পড়ে অনেকে থিয়েটার কর্মী হতে চায় না, সিএসই পড়ে জয়েন করে পুলিশে। ডাক্তাররা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার চিন্তা করেন। যার হওয়ার কথা পদার্থবিজ্ঞানী, সে হয় ট্যাক্স অফিসার!

অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী অনার্স ডিগ্রি নিচ্ছে বিসিএস পরীক্ষার দেয়ার জন্য। শুধু বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার জন্য যদি ছাত্রছাত্রীরা অনার্স পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাহলে এতসময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। চার বছর অনার্স করার কী দরকার? শুধু বিসিএস ক্যাডার হওয়া যদি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট এ পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানাবিধ সমস্যা থাকবেই। পরিবার ভেঙে যেতে পারে, সমাজ ও রাষ্ট্র সবার সমস্যার সমাধান নাও দিতে পারে। তাই বলে আত্মহত্যা সমস্যা থেকে মুক্তির জন পথ হতে পারে না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় জ্ঞানার্জনের জন্য ও গবেষণার জন্য। সেখানে আমাদের দেশে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় একটা ভালো চাকরির জন্য। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। তবে যদি একটি গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা যায়, তরুণদের মাঝে যদি ভালো প্রতিষ্ঠানের কর্মী হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ তৈরি করতে পারে তবে হয়ত কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের হতাশা দূর করা সম্ভব হবে।

সর্বোপরি আমাদের একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে জীবনের জন্য স্বপ্ন, স্বপ্নের জন্য জীবন নয়।

সাকিবুল হাছান

back to top