alt

চিঠিপত্র

চিঠি : চ্যাট জিপিটি ও জলবায়ু পরিবর্তন

: বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রতিনিয়ত মানুষের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। এ যে চ্যাট জিপিটি কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন যার কথাই বলি না কেন এর মঙ্গলজনক অথবা অমঙ্গলজনক দুটোর দায়ই আমাদের।

প্রথমে যদি চ্যাট জিপিটির কথা বলি নিঃসন্দেহে এটাও জলবায়ু পরিবর্তনের মতই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটার সঙ্গে মানুষের কল্যাণ ও অকল্যাণ এর বিষয়টা জড়িত। এটি মূলত একটি কম্পিউটার অ্যাপ। এর অকল্যাণের বিষয়টা নিয়েই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গবেষকরা দাবি করেছেন যে মানুষের জন্য অমঙ্গল জনকই হবে এই অ্যাপটি।

সারা বিশ্বের সেরা সেরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামাচ্ছে, কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এই প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে। কারণ এটি কেড়ে নিতে পারে অনেক পেশাজীবীর মুখের খাবার, এটি ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিতে পারে পৃথিবীকে, বিকৃত মস্তিষ্ককে মানুষের অকল্যাণে ধাবিত করাতে পারে, শিক্ষার্থীদের করতে পারে অলস ও বিপথগামী। এটি কাজ করে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা দিয়ে। তথ্য অনুসন্ধান, ভিডিওচিত্র ধারণ- এসব তো আছেই। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার, এটি মানুষের মতো কথা বলে, প্রশ্নের জবাব দিতে পারে, উত্তরটি ঠিক মানুষের মতোই লিখে সাজিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি একে কোনো একটি বিষয়ের ওপর একটি নিবন্ধ লিখে দিতে বলেন, সে ঝটপট লিখে দেবে, একদন্ডে। এমনকি কবিতাও। আপনি শুধু প্রিন্ট করে নেবেন। মানুষকে মেধাশূন্য করে দেয়ার জন্য এর চেয়ে আর কী প্রয়োজন হতে পারে?

গবেষকরা বলছেন, প্রতিনিয়ত পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীজুড়ে চলছে আবহাওয়া এবং পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন। এসব পরিবর্তন আমাদের জন্য কোনো শুভ বার্তা বয়ে আনছে না।

সবুজ গাছপালা যে আমাদের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা ভুলে যাই। গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায়ও গাছ বা বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ পরিবেশের অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে পরিবেশকে যেমন নির্মল রাখে, তেমনি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে প্রাণীর বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন নির্গমন করে; তবুও আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সবুজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি।

তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীকে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ নির্লজ্জ মানুষের অপকর্মের বিরুদ্ধে। যাদের কারণে জলবায়ু প্রতিনিয়ত মানুষের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ বিকৃত মস্তিষ্কের প্রযুক্তিওয়ালাদের বিরুদ্ধে, যারা প্রযুক্তিকে মানুষের অকল্যাণে ব্যবহার করছে। এভাবে ধ্বংসাত্মক কাজের প্রতিযোগিতা আর কতদিন চলবে- এখন সেটাই দেখার বিষয়।

রিপন আল মামুন

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : চ্যাট জিপিটি ও জলবায়ু পরিবর্তন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩

পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রতিনিয়ত মানুষের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। এ যে চ্যাট জিপিটি কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন যার কথাই বলি না কেন এর মঙ্গলজনক অথবা অমঙ্গলজনক দুটোর দায়ই আমাদের।

প্রথমে যদি চ্যাট জিপিটির কথা বলি নিঃসন্দেহে এটাও জলবায়ু পরিবর্তনের মতই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটার সঙ্গে মানুষের কল্যাণ ও অকল্যাণ এর বিষয়টা জড়িত। এটি মূলত একটি কম্পিউটার অ্যাপ। এর অকল্যাণের বিষয়টা নিয়েই ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গবেষকরা দাবি করেছেন যে মানুষের জন্য অমঙ্গল জনকই হবে এই অ্যাপটি।

সারা বিশ্বের সেরা সেরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মাথা ঘামাচ্ছে, কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এই প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে। কারণ এটি কেড়ে নিতে পারে অনেক পেশাজীবীর মুখের খাবার, এটি ধ্বংসের পথে এগিয়ে দিতে পারে পৃথিবীকে, বিকৃত মস্তিষ্ককে মানুষের অকল্যাণে ধাবিত করাতে পারে, শিক্ষার্থীদের করতে পারে অলস ও বিপথগামী। এটি কাজ করে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা দিয়ে। তথ্য অনুসন্ধান, ভিডিওচিত্র ধারণ- এসব তো আছেই। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার, এটি মানুষের মতো কথা বলে, প্রশ্নের জবাব দিতে পারে, উত্তরটি ঠিক মানুষের মতোই লিখে সাজিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি একে কোনো একটি বিষয়ের ওপর একটি নিবন্ধ লিখে দিতে বলেন, সে ঝটপট লিখে দেবে, একদন্ডে। এমনকি কবিতাও। আপনি শুধু প্রিন্ট করে নেবেন। মানুষকে মেধাশূন্য করে দেয়ার জন্য এর চেয়ে আর কী প্রয়োজন হতে পারে?

গবেষকরা বলছেন, প্রতিনিয়ত পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীজুড়ে চলছে আবহাওয়া এবং পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন। এসব পরিবর্তন আমাদের জন্য কোনো শুভ বার্তা বয়ে আনছে না।

সবুজ গাছপালা যে আমাদের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা ভুলে যাই। গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায়ও গাছ বা বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ পরিবেশের অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে পরিবেশকে যেমন নির্মল রাখে, তেমনি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে প্রাণীর বেঁচে থাকার মূল উপাদান অক্সিজেন নির্গমন করে; তবুও আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সবুজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি।

তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীকে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ নির্লজ্জ মানুষের অপকর্মের বিরুদ্ধে। যাদের কারণে জলবায়ু প্রতিনিয়ত মানুষের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ বিকৃত মস্তিষ্কের প্রযুক্তিওয়ালাদের বিরুদ্ধে, যারা প্রযুক্তিকে মানুষের অকল্যাণে ব্যবহার করছে। এভাবে ধ্বংসাত্মক কাজের প্রতিযোগিতা আর কতদিন চলবে- এখন সেটাই দেখার বিষয়।

রিপন আল মামুন

back to top