alt

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বাঙালির প্রাণস্পন্দন কলকাতার জোড়াসাঁকো

: রোববার, ২১ মে ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ট্রেনে, বাসে ও বিমানে কলকাতা যাচ্ছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। তাদের বহুজনকেই জিজ্ঞেস করেছি, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো কখনও জোড়াসাঁকোয় গেছেন! তাদের মুখ থেকে শুনেছি, জোড়াসাঁকো কোথায় জানি না। তবে কলকাতায় চিনি নিউমার্কেট, মার্কুইজ স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, জাকারিয়া স্ট্রিট।

বাংলাদেশি কেন, খোদ কলকাতার মধ্যে যদি জোড়াসাঁকো দেখা বা না দেখা নিয়ে একটা সমীক্ষা করা যায়, তবে দেখা যাবে অন্তত নব্বই শতাংশ বাঙালি কখনো জোড়াসাঁকো যাননি। কলকাতায় বসবাসকারী অবাঙালিদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। কিন্তু যারা নিজেদের বাঙালি আর বাংলাদেশি বলে দাবি করেন, যারা এখনও কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোটেশন আওড়ান, রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন, তাদের মধ্যেও যদি সমীক্ষা হয়, তা হলেও যে চিত্রটা উঠে আসবে, অবশ্য সেটা সুখকর নয়।

একটা সময় বাংলাদেশ থেকে যারা কলকাতায় ভ্রমণে যেতেন তারা ভিক্টোরিয়া, গড়ের মাঠ যেতেন। পরে রবীন্দ্র সদন, নন্দন চত্বরে যেতেন। এখন যাঁরা কলকাতা যান তারা নিউমার্কেট এলাকায় থাকেন।

তারা ইকো পার্কে যায়, বিভিন্ন শপিং মলে যায়। কলকাতা সম্পর্কে তাদের মধ্যে কোন ধারণা নেই। তবে বাংলাদেশিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন যারা কলকাতা ঘুরেটুরে দেখেন তারাও জোড়াসাঁকোটা আসলে কি, কোথায় সেটাও জানে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

অনেকে বলেন, রবীন্দ্র সদনে গেছি; কিন্তু জোড়াসাঁকোর সঙ্গে যে রবীন্দ্র সদনের কোন সম্পর্কই নেই, এটা কে কাকে বোঝায়! কারও মনে হতেই পারে, জোড়াসাঁকোর না গেলেই বা কী যায় আসে! কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবতে গেলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিজেকে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী, সংস্কৃতিমনস্ক বাঙালি বা বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেবেন, অথচ একবার জোড়াসাঁকো যাবেন না!

কলকাতায় এ পর্যন্ত ষাটবার গিয়েছি। প্রতিবারই ঘণ্টাকয়েক সময় হাতে নিয়ে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে পায়ের চিহ্ন রেখেছি। তখন মনে মনে বলেছি, ‘রবিঠাকুর তোমার আসন, বিছানো ভূবনময়। দুঃখ-সুখে তুমি আছো তাই, নেই কিছুতেই ভয়।’

লিয়াকত হোসেন খোকন

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

tab

মতামত » চিঠিপত্র

চিঠি : বাঙালির প্রাণস্পন্দন কলকাতার জোড়াসাঁকো

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২১ মে ২০২৩

ট্রেনে, বাসে ও বিমানে কলকাতা যাচ্ছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। তাদের বহুজনকেই জিজ্ঞেস করেছি, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো কখনও জোড়াসাঁকোয় গেছেন! তাদের মুখ থেকে শুনেছি, জোড়াসাঁকো কোথায় জানি না। তবে কলকাতায় চিনি নিউমার্কেট, মার্কুইজ স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, জাকারিয়া স্ট্রিট।

বাংলাদেশি কেন, খোদ কলকাতার মধ্যে যদি জোড়াসাঁকো দেখা বা না দেখা নিয়ে একটা সমীক্ষা করা যায়, তবে দেখা যাবে অন্তত নব্বই শতাংশ বাঙালি কখনো জোড়াসাঁকো যাননি। কলকাতায় বসবাসকারী অবাঙালিদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। কিন্তু যারা নিজেদের বাঙালি আর বাংলাদেশি বলে দাবি করেন, যারা এখনও কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোটেশন আওড়ান, রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন, তাদের মধ্যেও যদি সমীক্ষা হয়, তা হলেও যে চিত্রটা উঠে আসবে, অবশ্য সেটা সুখকর নয়।

একটা সময় বাংলাদেশ থেকে যারা কলকাতায় ভ্রমণে যেতেন তারা ভিক্টোরিয়া, গড়ের মাঠ যেতেন। পরে রবীন্দ্র সদন, নন্দন চত্বরে যেতেন। এখন যাঁরা কলকাতা যান তারা নিউমার্কেট এলাকায় থাকেন।

তারা ইকো পার্কে যায়, বিভিন্ন শপিং মলে যায়। কলকাতা সম্পর্কে তাদের মধ্যে কোন ধারণা নেই। তবে বাংলাদেশিদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন যারা কলকাতা ঘুরেটুরে দেখেন তারাও জোড়াসাঁকোটা আসলে কি, কোথায় সেটাও জানে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

অনেকে বলেন, রবীন্দ্র সদনে গেছি; কিন্তু জোড়াসাঁকোর সঙ্গে যে রবীন্দ্র সদনের কোন সম্পর্কই নেই, এটা কে কাকে বোঝায়! কারও মনে হতেই পারে, জোড়াসাঁকোর না গেলেই বা কী যায় আসে! কিন্তু একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবতে গেলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, নিজেকে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী, সংস্কৃতিমনস্ক বাঙালি বা বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেবেন, অথচ একবার জোড়াসাঁকো যাবেন না!

কলকাতায় এ পর্যন্ত ষাটবার গিয়েছি। প্রতিবারই ঘণ্টাকয়েক সময় হাতে নিয়ে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে পায়ের চিহ্ন রেখেছি। তখন মনে মনে বলেছি, ‘রবিঠাকুর তোমার আসন, বিছানো ভূবনময়। দুঃখ-সুখে তুমি আছো তাই, নেই কিছুতেই ভয়।’

লিয়াকত হোসেন খোকন

back to top