alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

চলছে মাধ্যমিক এবং সমমানের পরীক্ষা। এবছর এ স্বপ্ন যাত্রায় অংশগ্রহণ করছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেশি। এটা আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। বোঝা যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়া ক্রমান্বয়ে কমছে।

পরীক্ষা পরবর্তী ফলাফল প্রকাশিত হলে আমরা অনেক মেধাবী মুখ খুঁজে পাই। মিডিয়ার কল্যাণে কিছু মেধাবী পেয়ে থাকি, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। বলা চলে, শারীরিক নানান জটিলতার মধ্যেই সংগ্রাম করে ভালো ফল করে এবং সেই ফল রীতিমতো অবাক করার মতো। কেউ মুখ দিয়ে, কেউ পা দিয়ে বা বিশেষ মাধ্যমে পরীক্ষার খাতায় লিখে যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। তাদের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং সফলতা নিয়ে আমরা অভিনন্দন জানাই।

বিগত কয়েক বছরে কিন্তু প্রতিভাবান এসব শিক্ষার্থীদের সফলতার খবর আর চোখে পড়ে না। কে কোথায় আছে, কেমন আছে সেটাও আমরা জানি না। হয়তো সমাজের নানান হেয়প্রতিপন্ন কথার চোটে এবং চারদিকের অসহযোগিতার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে।

শারীরিক নানান জটিলতার এসব শিক্ষার্থীরা যে প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, তার সাপেক্ষে এদের সফলতা নেই। এর দায় নিঃসন্দেহে আমাদের সমাজের। আমাদের রাষ্ট্রের। সর্বোপরি যারা তাদের সবাই আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় এবং নানানভাবে অসহযোগিতা করে থাকে তাদের।

সুতরাং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এমন মেধাবীদের খোঁজ রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাদের সবাই সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পড়াশোনা করানো, মেধার যথাযথ বিকাশ এবং প্রয়োগ ঘটানোর পরিবেশ তৈরি করাও রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটা নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব।

বিশেষ এই মেধাবীদের সবসময় মূল্যায়ন হোক এবং তাদের পড়াশোনা এবং কর্মপরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সায়েদ আফ্রিদী

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

চলছে মাধ্যমিক এবং সমমানের পরীক্ষা। এবছর এ স্বপ্ন যাত্রায় অংশগ্রহণ করছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেশি। এটা আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। বোঝা যাচ্ছে যে শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়া ক্রমান্বয়ে কমছে।

পরীক্ষা পরবর্তী ফলাফল প্রকাশিত হলে আমরা অনেক মেধাবী মুখ খুঁজে পাই। মিডিয়ার কল্যাণে কিছু মেধাবী পেয়ে থাকি, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। বলা চলে, শারীরিক নানান জটিলতার মধ্যেই সংগ্রাম করে ভালো ফল করে এবং সেই ফল রীতিমতো অবাক করার মতো। কেউ মুখ দিয়ে, কেউ পা দিয়ে বা বিশেষ মাধ্যমে পরীক্ষার খাতায় লিখে যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে। তাদের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং সফলতা নিয়ে আমরা অভিনন্দন জানাই।

বিগত কয়েক বছরে কিন্তু প্রতিভাবান এসব শিক্ষার্থীদের সফলতার খবর আর চোখে পড়ে না। কে কোথায় আছে, কেমন আছে সেটাও আমরা জানি না। হয়তো সমাজের নানান হেয়প্রতিপন্ন কথার চোটে এবং চারদিকের অসহযোগিতার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে।

শারীরিক নানান জটিলতার এসব শিক্ষার্থীরা যে প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, তার সাপেক্ষে এদের সফলতা নেই। এর দায় নিঃসন্দেহে আমাদের সমাজের। আমাদের রাষ্ট্রের। সর্বোপরি যারা তাদের সবাই আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় এবং নানানভাবে অসহযোগিতা করে থাকে তাদের।

সুতরাং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এমন মেধাবীদের খোঁজ রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাদের সবাই সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পড়াশোনা করানো, মেধার যথাযথ বিকাশ এবং প্রয়োগ ঘটানোর পরিবেশ তৈরি করাও রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটা নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব।

বিশেষ এই মেধাবীদের সবসময় মূল্যায়ন হোক এবং তাদের পড়াশোনা এবং কর্মপরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সায়েদ আফ্রিদী

back to top