মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুলিং বলতে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে মানসিক আঘাত করা। খারাপ ভাষায় আক্রমণ করাকে বুঝায়। বুলিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে সবার সামনে অপমান করা।
বুলিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে তার মধ্যে শারীরিক বুলিং, মৌখিক বুলিং, স্কুল বুলিং, মানসিক বুলিং, সাইবার বুলিং, যৌন হয়রানিমূলক বুলিংয়ের সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের জন্য দরকার সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর পরিবেশ। শিশু বেড়ে ওঠার সময় যদি পরিবার এবং পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের বুলিংয়ের স্বীকার হয়, তাহলে সেটি তার মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে, শিশুর মধ্যে দেখা দিতে পারে হীনমন্যতা, আত্মবিশ্বাসহীনতা, বিষণ্নতা। এতে শিশু একা থাকতে চায়, কারো সঙ্গে মিশতে চায় না, স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। সুতরাং শিশুর মানসিক বিকাশে বুলিং মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার বিকল্প নেই।
তাই বুলিংয়ের ব্যাপারে সকলকে হতে হবে সোচ্চার এবং গড়ে তুলতে হবে গণসচেতনতা। ইতোমধ্যে সরকার বুলিং প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে সমাজে অনেকাংশে বুলিং কমে আসবে। শিশুরাও পাবে একটি সুন্দর পরিবেশ।
শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মাকে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।শিশুর সুরক্ষার জন্য এটি খুবই জরুরী এবং প্রয়োজনে কাউন্সিলিংয়ের সাহায্য নিতে হবে। তাহলেই শিশু বুলিংয়ের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।
মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ২৮ মে ২০২৩
বুলিং বলতে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে মানসিক আঘাত করা। খারাপ ভাষায় আক্রমণ করাকে বুঝায়। বুলিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে সবার সামনে অপমান করা।
বুলিং বিভিন্ন ধরনের হতে পারে তার মধ্যে শারীরিক বুলিং, মৌখিক বুলিং, স্কুল বুলিং, মানসিক বুলিং, সাইবার বুলিং, যৌন হয়রানিমূলক বুলিংয়ের সঙ্গে আমরা বেশি পরিচিত।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের জন্য দরকার সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর পরিবেশ। শিশু বেড়ে ওঠার সময় যদি পরিবার এবং পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের বুলিংয়ের স্বীকার হয়, তাহলে সেটি তার মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে, শিশুর মধ্যে দেখা দিতে পারে হীনমন্যতা, আত্মবিশ্বাসহীনতা, বিষণ্নতা। এতে শিশু একা থাকতে চায়, কারো সঙ্গে মিশতে চায় না, স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। সুতরাং শিশুর মানসিক বিকাশে বুলিং মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার বিকল্প নেই।
তাই বুলিংয়ের ব্যাপারে সকলকে হতে হবে সোচ্চার এবং গড়ে তুলতে হবে গণসচেতনতা। ইতোমধ্যে সরকার বুলিং প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে সমাজে অনেকাংশে বুলিং কমে আসবে। শিশুরাও পাবে একটি সুন্দর পরিবেশ।
শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মাকে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।শিশুর সুরক্ষার জন্য এটি খুবই জরুরী এবং প্রয়োজনে কাউন্সিলিংয়ের সাহায্য নিতে হবে। তাহলেই শিশু বুলিংয়ের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।
মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ