alt

চিঠিপত্র

চিঠি : স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি করুন

: বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

এশিয়া কাপ ক্রিকেট জয়ের পর এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলার ফুটবল বাঘিনীরা। বিশ্ব দরবারে তারা উড়িয়েছেন লাল-সবুজের বিজয় নিশান। বজায় রেখেছেন মাতৃভূমির সম্মান। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করার এই নেপথ্য বাঘিনীরা অন্ধকার থেকে উঠে এসেছে আলোকিত মঞ্চে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম থেকে উঠে আসা এই কিশোরীদের কারও কারও বাবা কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী কিংবা স্বল্প বেতনের চাকরি করে। তৃণমূলের অভাবী পরিবারের কিশোরীরাও যে সুযোগ পেলে জাতীয় মর্যাদা বয়ে আনতে পারে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নারি ফুটবলাররা। বিশ্বে আমাদের ফুটবল মান এখনও হতাশাজনক। এই হতাশার ভিতরে রাষ্ট্রের মেয়েরা গৌরবময় সাফল্য বয়ে এনেছে।

বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে অসংখ্য কিশোরী আছে যাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সবাই সম্ভাবনা অকালেই বিনষ্ট হয়ে যায় সামাজিক কিছু কুসংস্কারের কারণে। শুধু গ্রামের কিশোরী নয়, শহরেও কিশোরীদের খেলাধুলায় অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। আর মেয়েকে তো তেমন জায়গায় খেলাতে পাঠানো যায় না নিরাপত্তার কারণেই।

স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজন মেয়েদের জন্য আরও বেশি টুর্নামেন্টের আয়োজন। প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশে খেলাধুলায় যে মেয়েরা এগিয়ে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই নিন্মবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। এদের যেমন রয়েছে পুষ্টি ঘাটতি তেমনি রয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও। এজন্য খেলাধুলায় ভালো এমন মেয়েদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করলে সামাজিক বাধা ও কুসংস্কারগুলো কাটবে। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখেছি সাফ দেশসমূহের মধ্যে আয়োজিত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কিশোরীরা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

তাই শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়, নারীদের জন্য ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন এবং অ্যাথলেটিকস এ বিশেষ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নদীনালার দেশ বাংলাদেশ। গ্রামের মেয়েরা প্রায় সবাই সাঁতার জানে। সাঁতারে ভালো করার অনেক সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। তাই পরিবার, সমাজ ও দেশ থেকে নারী ক্রীড়াঙ্গনে দেয়া হোক উৎসাহ।

মাসুদ হোসেন

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

চিঠি : ফুটওভার ব্রিজ হকার এবং ভিক্ষুকমুক্ত করুন

চিঠি : কমিটিবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

চিঠি : ক্যাম্পাস হোক সংস্কৃতি চর্চার সূতিকাগার

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের খেলার সুযোগ সৃষ্টি করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

এশিয়া কাপ ক্রিকেট জয়ের পর এবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলার ফুটবল বাঘিনীরা। বিশ্ব দরবারে তারা উড়িয়েছেন লাল-সবুজের বিজয় নিশান। বজায় রেখেছেন মাতৃভূমির সম্মান। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করার এই নেপথ্য বাঘিনীরা অন্ধকার থেকে উঠে এসেছে আলোকিত মঞ্চে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম থেকে উঠে আসা এই কিশোরীদের কারও কারও বাবা কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী কিংবা স্বল্প বেতনের চাকরি করে। তৃণমূলের অভাবী পরিবারের কিশোরীরাও যে সুযোগ পেলে জাতীয় মর্যাদা বয়ে আনতে পারে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নারি ফুটবলাররা। বিশ্বে আমাদের ফুটবল মান এখনও হতাশাজনক। এই হতাশার ভিতরে রাষ্ট্রের মেয়েরা গৌরবময় সাফল্য বয়ে এনেছে।

বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে অসংখ্য কিশোরী আছে যাদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সবাই সম্ভাবনা অকালেই বিনষ্ট হয়ে যায় সামাজিক কিছু কুসংস্কারের কারণে। শুধু গ্রামের কিশোরী নয়, শহরেও কিশোরীদের খেলাধুলায় অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। আর মেয়েকে তো তেমন জায়গায় খেলাতে পাঠানো যায় না নিরাপত্তার কারণেই।

স্কুল পর্যায়ে মেয়েদের খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজন মেয়েদের জন্য আরও বেশি টুর্নামেন্টের আয়োজন। প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশে খেলাধুলায় যে মেয়েরা এগিয়ে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই নিন্মবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন। এদের যেমন রয়েছে পুষ্টি ঘাটতি তেমনি রয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও। এজন্য খেলাধুলায় ভালো এমন মেয়েদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

স্থানীয় পর্যায়ে কিশোরীদের বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করলে সামাজিক বাধা ও কুসংস্কারগুলো কাটবে। আন্তর্জাতিকভাবে আমরা দেখেছি সাফ দেশসমূহের মধ্যে আয়োজিত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কিশোরীরা দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

তাই শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়, নারীদের জন্য ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন এবং অ্যাথলেটিকস এ বিশেষ সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নদীনালার দেশ বাংলাদেশ। গ্রামের মেয়েরা প্রায় সবাই সাঁতার জানে। সাঁতারে ভালো করার অনেক সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। তাই পরিবার, সমাজ ও দেশ থেকে নারী ক্রীড়াঙ্গনে দেয়া হোক উৎসাহ।

মাসুদ হোসেন

back to top