alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা

: শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর জাতিকে শিক্ষার আলোয় পরিপূর্ণ করার বাতিঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান কী ধরনের শিক্ষা দেবে তা নির্ভর করে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।

কোন শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতিকে দুটি উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষা উপহার দিতে পারে, যার একটি হলো জাতিকে শুধু শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা আর অন্যটি হলো জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। সৃজনশীল শিক্ষা, যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। যা শিক্ষার্থীকে শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি উদ্ভাবনী শক্তিতেও করে বলিয়ান।

একটি দেশের সবথেকে বড় সম্পদ ওই দেশের জনগণ। তবে সব জনগণই সম্পদে পরিণত হতে পারে না। একজন জনগণ তখনই দেশের সম্পদে পরিণত হবে যখন সে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে অন্যথায় সে হবে দেশের জন্য বোঝা। সমাজে যাদের বলা হয় বেকার।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য দক্ষ এবং বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষক নিয়োগ। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে পাশাপাশি এই অনুপ্রেরণা তাদের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার দিকে অগ্রসর করাবে। যা পরবর্তীতে তাদের দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদে পরিণত করবে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী আছে তাদেরও সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য তাদের বিশেষ প্রতিভাগুলো চিহ্নিত করে ওই সব প্রতিভার ওপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে জনশক্তিতে পরিণত হবে।

সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি জনগণকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য জনগণের উচিত নিজেকে বৈজ্ঞানিক চেতনায় উজ্জীবিত করা। নিজেকে যেমন বিজ্ঞানমনষ্ক করাÑ ঠিক তেমনি অন্যকেও অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সৃজনশীল শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ছোট থেকেই তাদের সৃজনশীল শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা। এতে সন্তানদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত হবে, যা পরবর্তীতে তাদের একজন আত্মনির্ভরশীল জনগণে পরিণত করবে।

দেশের সৃজনশীল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় বেড়ে যাবে বেকার সমস্যা। ফলে, বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে কাঁধে নিয়ে চলতে হবে দেশকে। দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া দেশের জনগণ স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। যার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও কালচারে পিছিয়ে পড়বে আমাদের দেশ। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা বর্তমান সময়ের দাবি।

মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল চাই

গণতন্ত্রের যোগ্য হয়ে ওঠা জরুরি

ইলিশ বিচরণে বাধা দূর করতে হবে

কেন এই লোডশেডিং

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়া

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর জাতিকে শিক্ষার আলোয় পরিপূর্ণ করার বাতিঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান কী ধরনের শিক্ষা দেবে তা নির্ভর করে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।

কোন শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতিকে দুটি উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষা উপহার দিতে পারে, যার একটি হলো জাতিকে শুধু শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা আর অন্যটি হলো জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। সৃজনশীল শিক্ষা, যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। যা শিক্ষার্থীকে শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি উদ্ভাবনী শক্তিতেও করে বলিয়ান।

একটি দেশের সবথেকে বড় সম্পদ ওই দেশের জনগণ। তবে সব জনগণই সম্পদে পরিণত হতে পারে না। একজন জনগণ তখনই দেশের সম্পদে পরিণত হবে যখন সে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে অন্যথায় সে হবে দেশের জন্য বোঝা। সমাজে যাদের বলা হয় বেকার।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য দক্ষ এবং বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষক নিয়োগ। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে পাশাপাশি এই অনুপ্রেরণা তাদের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার দিকে অগ্রসর করাবে। যা পরবর্তীতে তাদের দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদে পরিণত করবে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী আছে তাদেরও সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য তাদের বিশেষ প্রতিভাগুলো চিহ্নিত করে ওই সব প্রতিভার ওপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে জনশক্তিতে পরিণত হবে।

সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি জনগণকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য জনগণের উচিত নিজেকে বৈজ্ঞানিক চেতনায় উজ্জীবিত করা। নিজেকে যেমন বিজ্ঞানমনষ্ক করাÑ ঠিক তেমনি অন্যকেও অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সৃজনশীল শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ছোট থেকেই তাদের সৃজনশীল শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা। এতে সন্তানদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত হবে, যা পরবর্তীতে তাদের একজন আত্মনির্ভরশীল জনগণে পরিণত করবে।

দেশের সৃজনশীল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় বেড়ে যাবে বেকার সমস্যা। ফলে, বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে কাঁধে নিয়ে চলতে হবে দেশকে। দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া দেশের জনগণ স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। যার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও কালচারে পিছিয়ে পড়বে আমাদের দেশ। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা বর্তমান সময়ের দাবি।

মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ

back to top