মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর জাতিকে শিক্ষার আলোয় পরিপূর্ণ করার বাতিঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান কী ধরনের শিক্ষা দেবে তা নির্ভর করে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।
কোন শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতিকে দুটি উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষা উপহার দিতে পারে, যার একটি হলো জাতিকে শুধু শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা আর অন্যটি হলো জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। সৃজনশীল শিক্ষা, যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। যা শিক্ষার্থীকে শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি উদ্ভাবনী শক্তিতেও করে বলিয়ান।
একটি দেশের সবথেকে বড় সম্পদ ওই দেশের জনগণ। তবে সব জনগণই সম্পদে পরিণত হতে পারে না। একজন জনগণ তখনই দেশের সম্পদে পরিণত হবে যখন সে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে অন্যথায় সে হবে দেশের জন্য বোঝা। সমাজে যাদের বলা হয় বেকার।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য দক্ষ এবং বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষক নিয়োগ। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে পাশাপাশি এই অনুপ্রেরণা তাদের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার দিকে অগ্রসর করাবে। যা পরবর্তীতে তাদের দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদে পরিণত করবে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী আছে তাদেরও সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য তাদের বিশেষ প্রতিভাগুলো চিহ্নিত করে ওই সব প্রতিভার ওপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে জনশক্তিতে পরিণত হবে।
সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি জনগণকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য জনগণের উচিত নিজেকে বৈজ্ঞানিক চেতনায় উজ্জীবিত করা। নিজেকে যেমন বিজ্ঞানমনষ্ক করাÑ ঠিক তেমনি অন্যকেও অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সৃজনশীল শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ছোট থেকেই তাদের সৃজনশীল শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা। এতে সন্তানদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত হবে, যা পরবর্তীতে তাদের একজন আত্মনির্ভরশীল জনগণে পরিণত করবে।
দেশের সৃজনশীল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় বেড়ে যাবে বেকার সমস্যা। ফলে, বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে কাঁধে নিয়ে চলতে হবে দেশকে। দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া দেশের জনগণ স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। যার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও কালচারে পিছিয়ে পড়বে আমাদের দেশ। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা বর্তমান সময়ের দাবি।
মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর জাতিকে শিক্ষার আলোয় পরিপূর্ণ করার বাতিঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান কী ধরনের শিক্ষা দেবে তা নির্ভর করে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর।
কোন শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতিকে দুটি উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষা উপহার দিতে পারে, যার একটি হলো জাতিকে শুধু শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষা আর অন্যটি হলো জাতিকে শিক্ষার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। সৃজনশীল শিক্ষা, যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি বৈজ্ঞানিক শিক্ষা। যা শিক্ষার্থীকে শুধু শিক্ষিত নয় পাশাপাশি উদ্ভাবনী শক্তিতেও করে বলিয়ান।
একটি দেশের সবথেকে বড় সম্পদ ওই দেশের জনগণ। তবে সব জনগণই সম্পদে পরিণত হতে পারে না। একজন জনগণ তখনই দেশের সম্পদে পরিণত হবে যখন সে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে অন্যথায় সে হবে দেশের জন্য বোঝা। সমাজে যাদের বলা হয় বেকার।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য দক্ষ এবং বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষক নিয়োগ। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং প্রতিযোগিতায় জয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে পাশাপাশি এই অনুপ্রেরণা তাদের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার দিকে অগ্রসর করাবে। যা পরবর্তীতে তাদের দেশের জন্য মূল্যবান সম্পদে পরিণত করবে। শুধু সাধারণ শিক্ষার্থী নয়, যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী আছে তাদেরও সৃজনশীল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য তাদের বিশেষ প্রতিভাগুলো চিহ্নিত করে ওই সব প্রতিভার ওপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও দেশের জন্য বোঝা না হয়ে জনশক্তিতে পরিণত হবে।
সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি জনগণকেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য জনগণের উচিত নিজেকে বৈজ্ঞানিক চেতনায় উজ্জীবিত করা। নিজেকে যেমন বিজ্ঞানমনষ্ক করাÑ ঠিক তেমনি অন্যকেও অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সৃজনশীল শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ছোট থেকেই তাদের সৃজনশীল শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা। এতে সন্তানদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত হবে, যা পরবর্তীতে তাদের একজন আত্মনির্ভরশীল জনগণে পরিণত করবে।
দেশের সৃজনশীল শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্যথায় বেড়ে যাবে বেকার সমস্যা। ফলে, বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে কাঁধে নিয়ে চলতে হবে দেশকে। দেশের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া দেশের জনগণ স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। যার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ও কালচারে পিছিয়ে পড়বে আমাদের দেশ। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতা বর্তমান সময়ের দাবি।
মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ