alt

চিঠিপত্র

চিঠি : সাধ্যের মধ্যে থাকুক চিকিৎসাসেবা

: সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সরকারি হাসপাতালগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়ন বেড়েছে কিন্তু চিকিৎসা সেবার মান বাড়েনি। সেই অতীতের অনিয়মই রয়ে গেছে। বেসরকারি হাসপাতালে যাবে মানুষ, সেখানেও ডাক্তারের ফি-তে আগুন। যে যেমন দর হাঁকতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে বার বার একটি নীতিমালা তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতেই হচ্ছে।

কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মোট খরচের যদি ১০ শতাংশ বা তার বেশি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতে হয়, তাহলে সে পরিবার বা ব্যক্তি আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। আর এ অবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের ২৫ শতাংশ মানুষ। প্রতি বছর দেশে চিকিৎসাব্যয় বহন করতে গিয়ে ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে, যা মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি।

স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৫ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। সরকারি হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় শয্যাসংকট, জনবলের অপ্রতুলতার কারণে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। একদিকে যেমন বিলাসবহুল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তেমনই রয়েছে নিম্নমানের ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল সেবার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একই রোগে একেক হাসপাতালে একেকজন চিকিৎসক নেন ভিন্ন রকমের চিকিৎসা ফি। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ফি গিয়ে পৌঁছেছে ২ হাজার টাকা বা এরও বেশি। ফলে নিম্নআয়ের মানুষদের চিকিৎসা পেতে খরচ হয়ে যাচ্ছে আয়ের একটা বড় অংশ।

দেশে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি চিকিৎসার নামে চালিয়ে যাচ্ছে মনোপলি ব্যবসা। অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব ভবন নেই। নোংরা পরিবেশ ও চরম অব্যবস্থাপনা। হচ্ছে ভুল অপারেশন। আইসিইউ নেই, কিন্তু আইসিইউয়ের নল মুখে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীর কাছ থেকে। সিজারিয়ানের প্রয়োজন নেই, তারপরও করানো হচ্ছে সিজারিয়ান।

সাধারণ মানুষের মানসম্মত চিকিৎসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা ব্যয় লাঘব করতে হলে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। জনগণের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকুক- এ প্রত্যাশা আমাদের।

আফরোজা আক্তার

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : সাধ্যের মধ্যে থাকুক চিকিৎসাসেবা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

সরকারি হাসপাতালগুলোর অবকাঠামোর উন্নয়ন বেড়েছে কিন্তু চিকিৎসা সেবার মান বাড়েনি। সেই অতীতের অনিয়মই রয়ে গেছে। বেসরকারি হাসপাতালে যাবে মানুষ, সেখানেও ডাক্তারের ফি-তে আগুন। যে যেমন দর হাঁকতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীদের কাছ থেকে ফি আদায়ে বার বার একটি নীতিমালা তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতেই হচ্ছে।

কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের মোট খরচের যদি ১০ শতাংশ বা তার বেশি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করতে হয়, তাহলে সে পরিবার বা ব্যক্তি আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। আর এ অবস্থার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের ২৫ শতাংশ মানুষ। প্রতি বছর দেশে চিকিৎসাব্যয় বহন করতে গিয়ে ৮৬ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে, যা মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি।

স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৫ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। সরকারি হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় শয্যাসংকট, জনবলের অপ্রতুলতার কারণে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। একদিকে যেমন বিলাসবহুল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তেমনই রয়েছে নিম্নমানের ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল সেবার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একই রোগে একেক হাসপাতালে একেকজন চিকিৎসক নেন ভিন্ন রকমের চিকিৎসা ফি। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ফি গিয়ে পৌঁছেছে ২ হাজার টাকা বা এরও বেশি। ফলে নিম্নআয়ের মানুষদের চিকিৎসা পেতে খরচ হয়ে যাচ্ছে আয়ের একটা বড় অংশ।

দেশে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি চিকিৎসার নামে চালিয়ে যাচ্ছে মনোপলি ব্যবসা। অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব ভবন নেই। নোংরা পরিবেশ ও চরম অব্যবস্থাপনা। হচ্ছে ভুল অপারেশন। আইসিইউ নেই, কিন্তু আইসিইউয়ের নল মুখে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রোগীর কাছ থেকে। সিজারিয়ানের প্রয়োজন নেই, তারপরও করানো হচ্ছে সিজারিয়ান।

সাধারণ মানুষের মানসম্মত চিকিৎসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা ব্যয় লাঘব করতে হলে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। জনগণের সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকুক- এ প্রত্যাশা আমাদের।

আফরোজা আক্তার

back to top