alt

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

: বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও পড়াশোনা করে দেশকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশায় ছেদ ঘটে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যন্ত বর্বরোচিতভাবে হামলা, মারধর, লাঞ্ছনা ও প্রাণনাশের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কখনো হলের সিনিয়র বড় ভাই, কখনও ছাত্র সংগঠন, কখনও বখাটে, কখনো পরিবহণ শ্রমিক আবার কখনো স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন। এমনকি ছাত্র সংগঠনের দুটি গ্রুপের মারামারিতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস এলাকায় থাকতে চায় না। মাঝে মধ্যেই দু’দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বির্ভয়ে পড়াশোনা কীভাবে করবে সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা দরকার।

সাম্প্রতিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং ছাত্রনেতাদের হাতে হেনস্তা শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছেনা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনকি ছাত্রসংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা প্রায় সময় ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি শিক্ষার্থীরা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের দাবি আদায়ের জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এমনকি সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা দাবি আদায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাস রুম পর্যন্ত এগিয়েছে আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে নাকি নিজেদের দাবি আদায় নিয়ে লড়বে?। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব না হয়, তাহলে সেই ক্যাম্পাসে শান্তি পাওয়া দুষ্কর।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো সুনজর কাম্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতির মেধাবী সন্তান। তারাই আগামীর বুদ্ধিজীবী, আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বহিরাগত সন্ত্রাসমুক্ত সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলতে পারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের হামলার শিকার না হতে হয় সেজন্য প্রশাসনকে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

শাহীন আলম

চিঠি : অ্যালকোহল সেন্টাল অ্যাব্রেশন পদ্ধতিতে হৃদরোগ চিকিৎসা

চিঠি : প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা

চিঠি : দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর

চিঠি : কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

চিঠি : মাদক নিয়ন্ত্রণে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

চিঠি : ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা

চিঠি : ভিক্ষুক মুক্ত দেশ চাই

চিঠি : রাস্তাটি সংস্কার জরুরি

চিঠি : সুখী দেশ

চিঠি : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অলিগলি

চিঠি : শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে

চিঠি : কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাতের সাফল্য

চিঠি : অনলাইন বিনিয়োগে সতর্ক হোন

চিঠি : গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ঘুচুক

চিঠি : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : যাতায়াতে মিলবে স্বস্তি

চিঠি : চুয়েট : গৌরবময় পথচলা

চিঠি : ইভটিজিং প্রতিরোধে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা

চিঠি : লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হোক

চিঠি : বিদ্যুৎ খাতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করুন

চিঠি : দক্ষ জাতি গড়তে কারিগরি শিক্ষা জরুরি

চিঠি : সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বোঝা নয়

চিঠি : মাদককে না বলুন

চিঠি : গাছপালা নেই, আছে অট্টালিকা

চিঠি : সিলেটে ক্যান্সারের পেটসিটি মেশিন চাই

চিঠি : ‘নজরুল স্টাডিস’ কোর্স

চিঠি : ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে স্পিড ব্রেকার চাই

চিঠি : বানভাসিদের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজন সহায়তা

চিঠি : পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : যানজটমুক্ত শহর গড়তে প্রয়োজন মুক্ত ফুটপাত

চিঠি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভাগ বৈষম্য বন্ধ হোক

চিঠি : ভিক্ষাবৃত্তি কি বন্ধ হবে না?

চিঠি : চার টাকার সমাধান করবে কে?

চিঠি : সরকারি সম্পত্তির ব্যক্তিগত ব্যবহার বন্ধ হোক

চিঠি : ফুটওভার ব্রিজ হকার এবং ভিক্ষুকমুক্ত করুন

চিঠি : কমিটিবিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়

চিঠি : ক্যাম্পাস হোক সংস্কৃতি চর্চার সূতিকাগার

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও পড়াশোনা করে দেশকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশায় ছেদ ঘটে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যন্ত বর্বরোচিতভাবে হামলা, মারধর, লাঞ্ছনা ও প্রাণনাশের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কখনো হলের সিনিয়র বড় ভাই, কখনও ছাত্র সংগঠন, কখনও বখাটে, কখনো পরিবহণ শ্রমিক আবার কখনো স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন। এমনকি ছাত্র সংগঠনের দুটি গ্রুপের মারামারিতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস এলাকায় থাকতে চায় না। মাঝে মধ্যেই দু’দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বির্ভয়ে পড়াশোনা কীভাবে করবে সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা দরকার।

সাম্প্রতিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং ছাত্রনেতাদের হাতে হেনস্তা শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছেনা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনকি ছাত্রসংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা প্রায় সময় ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি শিক্ষার্থীরা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের দাবি আদায়ের জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এমনকি সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা দাবি আদায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাস রুম পর্যন্ত এগিয়েছে আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে নাকি নিজেদের দাবি আদায় নিয়ে লড়বে?। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব না হয়, তাহলে সেই ক্যাম্পাসে শান্তি পাওয়া দুষ্কর।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো সুনজর কাম্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতির মেধাবী সন্তান। তারাই আগামীর বুদ্ধিজীবী, আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বহিরাগত সন্ত্রাসমুক্ত সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলতে পারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের হামলার শিকার না হতে হয় সেজন্য প্রশাসনকে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

শাহীন আলম

back to top