মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও পড়াশোনা করে দেশকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশায় ছেদ ঘটে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যন্ত বর্বরোচিতভাবে হামলা, মারধর, লাঞ্ছনা ও প্রাণনাশের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কখনো হলের সিনিয়র বড় ভাই, কখনও ছাত্র সংগঠন, কখনও বখাটে, কখনো পরিবহণ শ্রমিক আবার কখনো স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন। এমনকি ছাত্র সংগঠনের দুটি গ্রুপের মারামারিতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস এলাকায় থাকতে চায় না। মাঝে মধ্যেই দু’দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বির্ভয়ে পড়াশোনা কীভাবে করবে সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা দরকার।
সাম্প্রতিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং ছাত্রনেতাদের হাতে হেনস্তা শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছেনা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনকি ছাত্রসংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা প্রায় সময় ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি শিক্ষার্থীরা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের দাবি আদায়ের জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এমনকি সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা দাবি আদায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাস রুম পর্যন্ত এগিয়েছে আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে নাকি নিজেদের দাবি আদায় নিয়ে লড়বে?। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব না হয়, তাহলে সেই ক্যাম্পাসে শান্তি পাওয়া দুষ্কর।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো সুনজর কাম্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতির মেধাবী সন্তান। তারাই আগামীর বুদ্ধিজীবী, আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বহিরাগত সন্ত্রাসমুক্ত সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলতে পারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের হামলার শিকার না হতে হয় সেজন্য প্রশাসনকে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শাহীন আলম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও পড়াশোনা করে দেশকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশায় ছেদ ঘটে যখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যন্ত বর্বরোচিতভাবে হামলা, মারধর, লাঞ্ছনা ও প্রাণনাশের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কখনো হলের সিনিয়র বড় ভাই, কখনও ছাত্র সংগঠন, কখনও বখাটে, কখনো পরিবহণ শ্রমিক আবার কখনো স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন। এমনকি ছাত্র সংগঠনের দুটি গ্রুপের মারামারিতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস এলাকায় থাকতে চায় না। মাঝে মধ্যেই দু’দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বির্ভয়ে পড়াশোনা কীভাবে করবে সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা দরকার।
সাম্প্রতিক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় এবং ছাত্রনেতাদের হাতে হেনস্তা শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছেনা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনকি ছাত্রসংগঠনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা প্রায় সময় ঘটে যাচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি শিক্ষার্থীরা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকির শিকার হতে হয়।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের দাবি আদায়ের জন্য দিনের পর দিন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এমনকি সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার, ক্যাম্পাস নিরাপত্তা দাবি আদায় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাস রুম পর্যন্ত এগিয়েছে আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করবে নাকি নিজেদের দাবি আদায় নিয়ে লড়বে?। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব না হয়, তাহলে সেই ক্যাম্পাসে শান্তি পাওয়া দুষ্কর।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিরাপত্তার ব্যাপারটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরো সুনজর কাম্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জাতির মেধাবী সন্তান। তারাই আগামীর বুদ্ধিজীবী, আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বহিরাগত সন্ত্রাসমুক্ত সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলতে পারা প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার। ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের হামলার শিকার না হতে হয় সেজন্য প্রশাসনকে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শাহীন আলম