মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রাস্তা মানে যান চলাচলের পথ। ফুটপাত মানে হেঁটে চলার পথ। বর্তমানে ঢাকার চিত্র বলছে অন্য কিছু- ফুটপাত মানেই হাট-বাজার, ফুটপাত মানেই সারি-সারি হকার। রাজধানীর ফুটপাতগুলো চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের কাছে দীর্ঘ দিন যাবত জিম্মি হয়ে আছে।
ঢাকা শহরের মানুষ চায়- ফুটপাত দখলমুক্ত, যানজট নিরসন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন; কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউই রাজধানীবাসীর এই তিনটি সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাজার থেকে শুরু করে সবখানেই ফুটপাতে ব্যবসা করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফলে জনগণের চলাচলের স্থানে অস্থায়ী দোকানপাট এমনভাবে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে যে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলেও অনেক সময় প্রশাসনকে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।
ঢাকার প্রায় সব সড়ক ও ফুটপাতের একাংশ চলে গেছে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের দখলে। সড়কের জায়গা দখল করে প্রতিনিয়ত ভাড়া আদায় করছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছেন ফুটপাত থেকে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে সকাল থেকে প্রায় সারাদিনই বসে মাছের বাজার। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা থেকে বের হতে ও প্রবেশ করতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি রুখতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এক জোট হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ মাধ্যমে অবশ্যই ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব। ফুটপাথ ও সড়ক দখলমুক্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, সড়ক ও মহাসড়কগুলোর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যানজট কতটা ভয়াবহ হতে পারে ঢাকাবাসী তা দেখেছে। রাস্তা দখলের কারণে যেন যান চলাচল ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।
রাসেল হোসাইন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
রাস্তা মানে যান চলাচলের পথ। ফুটপাত মানে হেঁটে চলার পথ। বর্তমানে ঢাকার চিত্র বলছে অন্য কিছু- ফুটপাত মানেই হাট-বাজার, ফুটপাত মানেই সারি-সারি হকার। রাজধানীর ফুটপাতগুলো চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের কাছে দীর্ঘ দিন যাবত জিম্মি হয়ে আছে।
ঢাকা শহরের মানুষ চায়- ফুটপাত দখলমুক্ত, যানজট নিরসন এবং জলাবদ্ধতা নিরসন; কিন্তু স্বাধীনতার পর কেউই রাজধানীবাসীর এই তিনটি সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বাজার থেকে শুরু করে সবখানেই ফুটপাতে ব্যবসা করছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফলে জনগণের চলাচলের স্থানে অস্থায়ী দোকানপাট এমনভাবে স্থায়ী হয়ে যাচ্ছে যে তাদের উচ্ছেদ করতে গেলেও অনেক সময় প্রশাসনকে জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।
ঢাকার প্রায় সব সড়ক ও ফুটপাতের একাংশ চলে গেছে হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের দখলে। সড়কের জায়গা দখল করে প্রতিনিয়ত ভাড়া আদায় করছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় রাজনীতিবিদ, এমনকি কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছেন ফুটপাত থেকে। ঢাকার প্রবেশপথগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী। এখানে ফ্লাইওভারের নিচে সকাল থেকে প্রায় সারাদিনই বসে মাছের বাজার। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকা থেকে বের হতে ও প্রবেশ করতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি রুখতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এক জোট হয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ মাধ্যমে অবশ্যই ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব। ফুটপাথ ও সড়ক দখলমুক্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, সড়ক ও মহাসড়কগুলোর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল হতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যানজট কতটা ভয়াবহ হতে পারে ঢাকাবাসী তা দেখেছে। রাস্তা দখলের কারণে যেন যান চলাচল ব্যাহত না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।
রাসেল হোসাইন