তরিকুল ইসলাম
সঠিক আইনের অভাব বা দুর্বল বাস্তবায়নের কারণে পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা শেষ হচ্ছে না। এতে দেশের সড়কগুলো দিন দিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রতি বছর হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩ হাজার ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজার ৯৪৩ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর দেশে ৫ হাজার ৮৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিআরটিএ-এর তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জন সড়কে নিহত হচ্ছেন। তবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
এই প্রেক্ষাপটে আজ পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য- “মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি”। প্রতি বছর ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে দেশে জাতীয়ভাবে নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হলেও কমানো যাচ্ছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল কমাতে প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বিআরটিএর হিসাবে প্রতিবছর দেশে গড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় আহত বা পঙ্গুত্ব বরণ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩’-এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ হাজার ৩১৬ জনের। কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে সে বছর মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৭৬ জন। একইভাবে ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৯৪৪ জনের, অথচ পুলিশের হিসাবে সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৫ জন। ২০২১ সালের রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৬ সালে প্রতি লাখে মৃত্যুহার ছিল ১৫.৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রতি লাখে ১৯ জনের মতো।
প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। কোনোভাবেই থামছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, সড়কের সাইন, মার্কিং ও জেব্রা ক্রসিং না মানার প্রবণতা-এসবই সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ। এছাড়া যথাস্থানে ফুট ওভারব্রিজ না থাকা বা ব্যবহারোপযোগী না থাকা, হাঁটার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, হেডফোনে গান শোনা বা চ্যাট করা, সড়ক ঘেঁষে বসতবাড়ি নির্মাণ ও সড়কের ওপর হাটবাজার বসার মতো কারণেও পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।
বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ মূলত পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের আইন ও বিধিমালা। সাম্প্রতিক সংশোধনীতে গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ও সিটবেল্টের মতো কিছু বিষয় সংযোজন করা হলেও তা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও বড় আঘাত প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়। এই আইনে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। তাই সড়কে প্রাণহানি কমাতে এখনই প্রয়োজন পৃথক ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
ওয়ার্ল্ড হেলথ র্যাঙ্কিং অনুসারে, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার সঠিক প্রয়োগ ব্যতীত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। সঠিক আইন ও তার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমেই এই সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, ২০২০–২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে জাতিসংঘ পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়কে (রিস্ক ফ্যাক্টর) চিহ্নিত করেছে: সিটবেল্ট, অতিরিক্ত গতি, মানসম্পন্ন হেলমেট, ড্রিংক ড্রাইভিং ও শিশু আসন। এছাড়া পাঁচটি পিলারও নির্ধারণ করেছে- সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনাপরবর্তী করণীয়। বাংলাদেশে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। আর সে জন্যই প্রয়োজন একটি কার্যকর ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকল পক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর সাথে একযোগে কাজ করলে ‘সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’-এর আলোকে নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব। এটি করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনও বাস্তবসম্মত হবে।
সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’-এর আলোকে পৃথক নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে।
আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো সড়কের বিশৃঙ্খলা। রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে; বিশেষ করে দুই ও তিন চাকার গাড়ির আধিক্যে দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়ক পরিবহন আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। নিরাপদ সড়ক যতটা না অবকাঠামোগত বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর। সরকারের আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সড়কে নিয়ম মানা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হলে তবেই নিরাপদ হবে সবার সড়ক।
[লেখক : অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন), স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন]
তরিকুল ইসলাম
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সঠিক আইনের অভাব বা দুর্বল বাস্তবায়নের কারণে পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা শেষ হচ্ছে না। এতে দেশের সড়কগুলো দিন দিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রতি বছর হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩ হাজার ৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজার ৯৪৩ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর দেশে ৫ হাজার ৮৫৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিআরটিএ-এর তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জন সড়কে নিহত হচ্ছেন। তবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
এই প্রেক্ষাপটে আজ পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য- “মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি”। প্রতি বছর ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে দেশে জাতীয়ভাবে নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হলেও কমানো যাচ্ছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল কমাতে প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বিআরটিএর হিসাবে প্রতিবছর দেশে গড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ১০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন মাত্রায় আহত বা পঙ্গুত্ব বরণ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩’-এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২১ হাজার ৩১৬ জনের। কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে সে বছর মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৭৬ জন। একইভাবে ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৯৪৪ জনের, অথচ পুলিশের হিসাবে সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৫ জন। ২০২১ সালের রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৬ সালে প্রতি লাখে মৃত্যুহার ছিল ১৫.৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রতি লাখে ১৯ জনের মতো।
প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। কোনোভাবেই থামছে না সড়কে মৃত্যুর মিছিল। যানবাহনের অতিরিক্ত গতি, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, সড়কের সাইন, মার্কিং ও জেব্রা ক্রসিং না মানার প্রবণতা-এসবই সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ। এছাড়া যথাস্থানে ফুট ওভারব্রিজ না থাকা বা ব্যবহারোপযোগী না থাকা, হাঁটার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা, হেডফোনে গান শোনা বা চ্যাট করা, সড়ক ঘেঁষে বসতবাড়ি নির্মাণ ও সড়কের ওপর হাটবাজার বসার মতো কারণেও পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।
বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ মূলত পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের আইন ও বিধিমালা। সাম্প্রতিক সংশোধনীতে গতি নিয়ন্ত্রণ, হেলমেট ও সিটবেল্টের মতো কিছু বিষয় সংযোজন করা হলেও তা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও বড় আঘাত প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট নয়। এই আইনে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। তাই সড়কে প্রাণহানি কমাতে এখনই প্রয়োজন পৃথক ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
ওয়ার্ল্ড হেলথ র্যাঙ্কিং অনুসারে, সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার সঠিক প্রয়োগ ব্যতীত দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। সঠিক আইন ও তার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমেই এই সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, ২০২০–২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে জাতিসংঘ পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়কে (রিস্ক ফ্যাক্টর) চিহ্নিত করেছে: সিটবেল্ট, অতিরিক্ত গতি, মানসম্পন্ন হেলমেট, ড্রিংক ড্রাইভিং ও শিশু আসন। এছাড়া পাঁচটি পিলারও নির্ধারণ করেছে- সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনাপরবর্তী করণীয়। বাংলাদেশে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়নে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। আর সে জন্যই প্রয়োজন একটি কার্যকর ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সকল পক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে। একই সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর সাথে একযোগে কাজ করলে ‘সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’-এর আলোকে নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলা সম্ভব। এটি করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনও বাস্তবসম্মত হবে।
সড়কে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’-এর আলোকে পৃথক নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে।
আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো সড়কের বিশৃঙ্খলা। রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে; বিশেষ করে দুই ও তিন চাকার গাড়ির আধিক্যে দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়ক পরিবহন আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব। নিরাপদ সড়ক যতটা না অবকাঠামোগত বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর। সরকারের আইন প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সড়কে নিয়ম মানা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হলে তবেই নিরাপদ হবে সবার সড়ক।
[লেখক : অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন), স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন]