মো. ওবায়দুল্লাহ
বাংলাদেশ পুনরায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনের চেষ্টা শুরু করেছে। তবে এই প্রচেষ্টা নতুন নয়। ঢাকার এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে আবেদনের মাধ্যমে। তবে ২০২৫ সালে এসে বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা এবং রাজনীতিবিদ নুরুল ইজ্জাহর সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাতে পরিষ্কারভাবে বলেনÑ “আমরা আসিয়ানের অংশ হতে চাই এবং এজন্য আপনার সহায়তা প্রয়োজন।”
এই আবেদনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বাস্তবতা, অর্থনৈতিক প্রণোদনা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার আকাক্সক্ষা। তবে এই যাত্রা কেবল ইচ্ছা বা উচ্চারণে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা নির্ভর করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির স্থিতিশীলতা, প্রশাসনিক সক্ষমতা, আঞ্চলিক আস্থা অর্জন এবং একটি জটিল বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সফল ব্যবস্থাপনার ওপর।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বৈধতার প্রশ্ন:
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসে একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই প্রশাসন রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে সামাল দিয়ে দেশের কূটনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনার চেষ্টা করছে। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে। জনগণের অনেক আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান সরকার। আসিয়ান এমন একটি জোট যা কেবল অর্থনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, এবং অ-হস্তক্ষেপ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ যদি একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রোডম্যাপ এবং নীতি ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে সদস্যপদের প্রাথমিক আলোচনা থেকে পূর্ণ সদস্যপদে উত্তরণ দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সংকট: প্রধান প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো মিয়ানমারের বিরোধিতা। রোহিঙ্গা সংকট এই সম্পর্ককে বহু বছর ধরে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বর্তমানে কক্সবাজারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার বিষয়ে মিয়ানমার সামান্যই অগ্রগতি দেখিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার, যেটি নিজেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত, হয়তো আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদ ঠেকাতে রোহিঙ্গা ইস্যু ব্যবহার করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নৈতিক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, আসিয়ানের ‘ঐক্যমত্যভিত্তিক’ গঠনতন্ত্রের কারণে মিয়ানমারের মতবিরোধ বাংলাদেশের পুরো প্রক্রিয়াকে থমকে দিতে পারে। অর্থনৈতিক লাভ ও আঞ্চলিক সংযুক্তির সম্ভাবনা যদি বাংলাদেশের সদস্যপদ কোনোভাবে বাস্তবে রূপ নেয়, তবে তা শুধু কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও একটি বড় অর্জন হবে। আসিয়ানের বর্তমান অর্থনীতির পরিমাণ প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বাজারের দুয়ার খুলে দিতে পারে।
অন্যদিকে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও উত্তর আমেরিকায় রপ্তানি ৭–১৪ শতাংশ কমে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আসিয়ান হতে
পারে একটি কৌশলগত বিকল্প, যেখানে বাংলাদেশ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ পেতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি কাঠামো
এবং উন্নত উৎপাদন খাত, যেমন- ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ ও হাই-টেক উৎপাদনে সংযুক্তি, আসিয়ানের শ্রমবাজারে নতুন জীবন দিতে পারে। একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করতে পারে, যার মাধ্যমে বিকল্প বাণিজ্যপথ তৈরি হবে। কূটনৈতিক ভারসাম্য ও চীনা-ভারত নির্ভরতা কমানোর সুযোগ বাংলাদেশের আসিয়ানে সংযুক্তি ঢাকার কূটনৈতিক প্রোফাইলকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ বাদ দিলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কৌশলের ওপর নির্ভরশীল। আসিয়ানের মাধ্যমে তৃতীয় একটি কৌশলগত পরিসর তৈরি হতে পারে, যা দেশটিকে বেশি কৌশলগত স্বাধীনতা দিতে সক্ষম। এছাড়া আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা, ডিজিটাল সংযুক্তি, স্বাস্থ্য কূটনীতি এবং জলবায়ু অভিযোজনেও অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি হবে, যা একবিংশ শতকের জিও-ইকোনমিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। সুতরাং এ কথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদের আকাক্সক্ষা ন্যায্য ও কৌশলগতভাবে সময়োচিত। তবে তা বাস্তবায়ন করতে হলে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নির্বাচনের প্রতি অঙ্গীকার, আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জন এবং আসিয়ানের মূল্যবোধের প্রতি অনুগত্য দেখাতে হবে। মালয়েশিয়ার ২০২৫ সালের সভাপতিত্ব হয়তো বাংলাদেশের জন্য এক ‘কূটনৈতিক দুয়ার’ খুলে দিয়েছে, কিন্তু দরজা খোলা থাকলেই সবসময় সেটা পার হওয়া যায় না। সঠিক প্রস্তুতি, কৌশল ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এই সুযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
[লেখক : ভিজিটিং স্কলার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা]
মো. ওবায়দুল্লাহ
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশ পুনরায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনের চেষ্টা শুরু করেছে। তবে এই প্রচেষ্টা নতুন নয়। ঢাকার এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে আবেদনের মাধ্যমে। তবে ২০২৫ সালে এসে বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা এবং রাজনীতিবিদ নুরুল ইজ্জাহর সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাতে পরিষ্কারভাবে বলেনÑ “আমরা আসিয়ানের অংশ হতে চাই এবং এজন্য আপনার সহায়তা প্রয়োজন।”
এই আবেদনের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক বাস্তবতা, অর্থনৈতিক প্রণোদনা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার আকাক্সক্ষা। তবে এই যাত্রা কেবল ইচ্ছা বা উচ্চারণে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা নির্ভর করছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির স্থিতিশীলতা, প্রশাসনিক সক্ষমতা, আঞ্চলিক আস্থা অর্জন এবং একটি জটিল বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সফল ব্যবস্থাপনার ওপর।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বৈধতার প্রশ্ন:
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসে একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই প্রশাসন রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে সামাল দিয়ে দেশের কূটনৈতিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনার চেষ্টা করছে। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে। জনগণের অনেক আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান সরকার। আসিয়ান এমন একটি জোট যা কেবল অর্থনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে নয়, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, এবং অ-হস্তক্ষেপ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ যদি একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রোডম্যাপ এবং নীতি ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে না পারে, তবে সদস্যপদের প্রাথমিক আলোচনা থেকে পূর্ণ সদস্যপদে উত্তরণ দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে যেতে পারে।
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সংকট: প্রধান প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো মিয়ানমারের বিরোধিতা। রোহিঙ্গা সংকট এই সম্পর্ককে বহু বছর ধরে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বর্তমানে কক্সবাজারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার বিষয়ে মিয়ানমার সামান্যই অগ্রগতি দেখিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার, যেটি নিজেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত, হয়তো আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদ ঠেকাতে রোহিঙ্গা ইস্যু ব্যবহার করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নৈতিক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, আসিয়ানের ‘ঐক্যমত্যভিত্তিক’ গঠনতন্ত্রের কারণে মিয়ানমারের মতবিরোধ বাংলাদেশের পুরো প্রক্রিয়াকে থমকে দিতে পারে। অর্থনৈতিক লাভ ও আঞ্চলিক সংযুক্তির সম্ভাবনা যদি বাংলাদেশের সদস্যপদ কোনোভাবে বাস্তবে রূপ নেয়, তবে তা শুধু কূটনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও একটি বড় অর্জন হবে। আসিয়ানের বর্তমান অর্থনীতির পরিমাণ প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বাজারের দুয়ার খুলে দিতে পারে।
অন্যদিকে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও উত্তর আমেরিকায় রপ্তানি ৭–১৪ শতাংশ কমে যেতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আসিয়ান হতে
পারে একটি কৌশলগত বিকল্প, যেখানে বাংলাদেশ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ পেতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি, প্রতিযোগিতামূলক মজুরি কাঠামো
এবং উন্নত উৎপাদন খাত, যেমন- ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ ও হাই-টেক উৎপাদনে সংযুক্তি, আসিয়ানের শ্রমবাজারে নতুন জীবন দিতে পারে। একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করতে পারে, যার মাধ্যমে বিকল্প বাণিজ্যপথ তৈরি হবে। কূটনৈতিক ভারসাম্য ও চীনা-ভারত নির্ভরতা কমানোর সুযোগ বাংলাদেশের আসিয়ানে সংযুক্তি ঢাকার কূটনৈতিক প্রোফাইলকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ বাদ দিলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কৌশলের ওপর নির্ভরশীল। আসিয়ানের মাধ্যমে তৃতীয় একটি কৌশলগত পরিসর তৈরি হতে পারে, যা দেশটিকে বেশি কৌশলগত স্বাধীনতা দিতে সক্ষম। এছাড়া আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা, ডিজিটাল সংযুক্তি, স্বাস্থ্য কূটনীতি এবং জলবায়ু অভিযোজনেও অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি হবে, যা একবিংশ শতকের জিও-ইকোনমিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে। সুতরাং এ কথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদের আকাক্সক্ষা ন্যায্য ও কৌশলগতভাবে সময়োচিত। তবে তা বাস্তবায়ন করতে হলে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নির্বাচনের প্রতি অঙ্গীকার, আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জন এবং আসিয়ানের মূল্যবোধের প্রতি অনুগত্য দেখাতে হবে। মালয়েশিয়ার ২০২৫ সালের সভাপতিত্ব হয়তো বাংলাদেশের জন্য এক ‘কূটনৈতিক দুয়ার’ খুলে দিয়েছে, কিন্তু দরজা খোলা থাকলেই সবসময় সেটা পার হওয়া যায় না। সঠিক প্রস্তুতি, কৌশল ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে এই সুযোগ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
[লেখক : ভিজিটিং স্কলার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা]