alt

opinion » post-editorial

চাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের পরিবেশ

মিথুশিলাক মুরমু

: শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দিন কয়েক আগে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেছেনÑ “নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে নয়, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে সবাই স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে।” নিঃসন্দেহে তিনি সত্য কথাটিই বলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতির মধ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ধর্ম হলো বিশ্বাসের বিষয়, যুক্তির নয়। তাই কারো বিশ্বাসকে অবদমন করা যায় না। কারো পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুশাসন পালিত হতে পারে না। পূজো-অর্চনা আমরা মান্য নাও করতে পারি, কিন্তু তাকে পদদলিত করতে পারি না।

বিগত কয়েক দশক ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা আদিবাসীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পোশাকধারী বা সাদা পোশাকের সদস্যদের উপস্থিতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সমাজে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে প্রতিবেশী ধর্মকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার জায়গা ক্রমেই ক্ষয় হচ্ছে। উগ্রবাদের প্রসার আমাদের উদারতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ফলে সম্প্রদায়িকতার বীজ শিকড় গেড়ে বসছে, যার কারণেই নিরাপত্তার অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

অতীতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা স্বপ্ন দেখেছিলেনÑ তারা সর্বত্র স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করবেন, সন্তানদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবেন এবং মুক্ত বাতাসে ধর্ম পালন করবেন। একে অপরের ধর্মকে সম্মান জানালে ব্যক্তি যেমন সম্মানিত হন, তেমনি রাষ্ট্রও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়। একজন নাগরিক হিসেবে যোগ্য সম্মান প্রত্যাশা বাড়তি কিছু নয়; এটি সরকারের দৈনন্দিন দায়িত্বেরই অংশ।

রাষ্ট্রের সংবিধান প্রতিটি ধর্মকে সমান মর্যাদা ও অধিকার দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। তাই রাষ্ট্র কর্তৃক ধর্মীয় পালনের স্বাধীনতায় বিঘœ ঘটানো সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। ধর্ম পালনের স্বাধীনতা মানে হলোÑ কেউ বিগ্রহ ভাঙবে না, মন্দির নিয়ে কটূক্তি করবে না, আবার মসজিদের আজানের প্রাক্কালে ঢাক বাজিয়ে পূজার ব্যাঘাত ঘটাবে না। এটি কেবল সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক ভালোবাসার মাধ্যমে সম্ভব।

কেউ গাছের নিচে সিঁদুর-ধূপ দিয়ে পূজা করবেÑ সেটিও তার অধিকার। চার্চ নির্মাণে বাধা দেওয়া ধর্মীয় অধিকার সংকোচনের নামান্তর। সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের পছন্দমতো ধর্ম গ্রহণ ও পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যারা ধর্ম পালনে উদ্যোগী হন, তাদেরই নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এমনকি মৃত্যুর হুমকির শিকারও হতে হয়। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এভাবে হাস্যকর করে তোলা উচিত নয়।

বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় জাতি ও ধর্মের সমাহার। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এ ভূখ-ে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রতিকূল সময়ে একে অপরের পাশে থেকেছে। ধর্মের পার্থক্য মানবিক দায়বদ্ধতাকে কখনো উপেক্ষা করেনি। এ ঐতিহ্য মানবতাবোধ, হৃদয়ের উদারতা এবং প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে বিকশিত হয়েছিল। আজ সেই ঐতিহ্য উগ্রবাদীদের হাতে কলুষিত হলে তা কারোর কাম্য নয়।

আমাদের সামাজিক দর্শন হলোÑ “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুরো জাতি একটি পরিবার। মতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারে ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু পরিবার অটুট। আমরা যেন জাতি হিসেবে এই অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি, সেটাই লক্ষ্য।”

একবিংশ শতাব্দীতেও ধর্ম পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার জন্য সরকারপ্রধানকে সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে হচ্ছেÑ এটি আমাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা আদিবাসীদের নিজস্ব ধর্ম পালনে তাদের প্রার্থনায় রাষ্ট্রের কল্যাণ কামনা অন্তর্ভুক্ত থাকে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক যেন ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

বাংলার চারণকবি আব্দুল করিম গেয়েছিলেনÑ

“গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান/ মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম/ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।”

এটিই হোক আমাদের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও জাতীয় দর্শন।

[লেখক: কলামিস্ট]

দায়িত্বশীল আচরণে গড়ে উঠুক দেশের পর্যটন খাত

এশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সমীকরণ

বাংলাদেশের গিগ অর্থনীতি: উন্নয়নের হাতিয়ার নাকি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ?

জলাতঙ্ক: প্রতিরোধযোগ্য তবু প্রাণঘাতী

বেড়ে চলা বৈষম্যের দেওয়াল

নৃশংসতার ভিডিও, নীরব দর্শক আর হারিয়ে যাওয়া মানবতা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

জেন জি’র অস্থির অভিযাত্রা

রম্যগদ্য: রবার্ট ব্রুস ও মাকড়শা

জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সম্মেলন

বিশ্ব ফুসফুস দিবস: সুস্থ শ্বাসের অঙ্গীকার

সংখ্যার আড়ালে অর্থনীতির অদেখা বাস্তবতা

সঙ্গীত চর্চা ও ধর্ম শিক্ষা: তর্ক-বিতর্কের জায়গাটি কোথায়?

অপুষ্টি ও মাটির অবক্ষয় রোধে সবুজ সার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহাল বিতর্ক

আইসিইউ সেবার সংকট

পরশ্রীকাতরতা: সামাজিক ব্যাধির অদৃশ্য শেকল

চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি সহিংসতাকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানাচ্ছেন?

যুব বেকারত্ব: অর্থনৈতিক সংকট থেকে সামাজিক বিপর্যয়

সার সংকট, ভর্তুকি ও সিন্ডিকেট

দ. কোরিয়ার শ্রমবাজার : কোটা পূরণে ব্যর্থ বাংলাদেশ

ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বনাম আমেরিকার শুল্ক কূটনীতি

সংবিধান কাটাছেঁড়ার সুযোগ আছে কি?

সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব

চা-জনগোষ্ঠীর দণ্ডপূজা ও উপেক্ষিত অধিকার

মেরিটোক্রেসি: সমাজ ও রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা

রম্যগদ্য: হাতের মুঠোয় বিশ্ব

শারদীয় পূজার দিনলিপি

ঋণের জন্য আত্মহত্যা, ঋণ নিয়েই চল্লিশা

জাকসু নির্বাচন ও হট্টগোল: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী?

নরসুন্দর পেশার গুরুত্ব ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন

বিভাগভিত্তিক এমপিআর নির্বাচন পদ্ধতি

প্ল্যাটফর্ম সমাজে বাংলাদেশ: জ্ঞানের ভবিষ্যৎ কার হাতে?

আনন্দবেদনার হাসপাতাল: সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবতা

ছবি

ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, ভিন্ন ধরনের ফল

বেসরকারি খাতে সিআইবি’র যাত্রা: ঋণ ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত

tab

opinion » post-editorial

চাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের পরিবেশ

মিথুশিলাক মুরমু

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দিন কয়েক আগে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেছেনÑ “নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনীর মধ্যে নয়, আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে সবাই স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে।” নিঃসন্দেহে তিনি সত্য কথাটিই বলেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতির মধ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ধর্ম হলো বিশ্বাসের বিষয়, যুক্তির নয়। তাই কারো বিশ্বাসকে অবদমন করা যায় না। কারো পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুশাসন পালিত হতে পারে না। পূজো-অর্চনা আমরা মান্য নাও করতে পারি, কিন্তু তাকে পদদলিত করতে পারি না।

বিগত কয়েক দশক ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা আদিবাসীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পোশাকধারী বা সাদা পোশাকের সদস্যদের উপস্থিতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। সমাজে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে প্রতিবেশী ধর্মকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতার জায়গা ক্রমেই ক্ষয় হচ্ছে। উগ্রবাদের প্রসার আমাদের উদারতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। ফলে সম্প্রদায়িকতার বীজ শিকড় গেড়ে বসছে, যার কারণেই নিরাপত্তার অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

অতীতে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা স্বপ্ন দেখেছিলেনÑ তারা সর্বত্র স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করবেন, সন্তানদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবেন এবং মুক্ত বাতাসে ধর্ম পালন করবেন। একে অপরের ধর্মকে সম্মান জানালে ব্যক্তি যেমন সম্মানিত হন, তেমনি রাষ্ট্রও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়। একজন নাগরিক হিসেবে যোগ্য সম্মান প্রত্যাশা বাড়তি কিছু নয়; এটি সরকারের দৈনন্দিন দায়িত্বেরই অংশ।

রাষ্ট্রের সংবিধান প্রতিটি ধর্মকে সমান মর্যাদা ও অধিকার দেওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। তাই রাষ্ট্র কর্তৃক ধর্মীয় পালনের স্বাধীনতায় বিঘœ ঘটানো সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। ধর্ম পালনের স্বাধীনতা মানে হলোÑ কেউ বিগ্রহ ভাঙবে না, মন্দির নিয়ে কটূক্তি করবে না, আবার মসজিদের আজানের প্রাক্কালে ঢাক বাজিয়ে পূজার ব্যাঘাত ঘটাবে না। এটি কেবল সম্প্রীতি, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক ভালোবাসার মাধ্যমে সম্ভব।

কেউ গাছের নিচে সিঁদুর-ধূপ দিয়ে পূজা করবেÑ সেটিও তার অধিকার। চার্চ নির্মাণে বাধা দেওয়া ধর্মীয় অধিকার সংকোচনের নামান্তর। সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের পছন্দমতো ধর্ম গ্রহণ ও পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যারা ধর্ম পালনে উদ্যোগী হন, তাদেরই নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এমনকি মৃত্যুর হুমকির শিকারও হতে হয়। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এভাবে হাস্যকর করে তোলা উচিত নয়।

বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় জাতি ও ধর্মের সমাহার। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এ ভূখ-ে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রতিকূল সময়ে একে অপরের পাশে থেকেছে। ধর্মের পার্থক্য মানবিক দায়বদ্ধতাকে কখনো উপেক্ষা করেনি। এ ঐতিহ্য মানবতাবোধ, হৃদয়ের উদারতা এবং প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে বিকশিত হয়েছিল। আজ সেই ঐতিহ্য উগ্রবাদীদের হাতে কলুষিত হলে তা কারোর কাম্য নয়।

আমাদের সামাজিক দর্শন হলোÑ “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুরো জাতি একটি পরিবার। মতভেদ থাকতে পারে, ব্যবহারে ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু পরিবার অটুট। আমরা যেন জাতি হিসেবে এই অটুট পরিবার হয়ে দাঁড়াতে পারি, সেটাই লক্ষ্য।”

একবিংশ শতাব্দীতেও ধর্ম পালনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার জন্য সরকারপ্রধানকে সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে হচ্ছেÑ এটি আমাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা আদিবাসীদের নিজস্ব ধর্ম পালনে তাদের প্রার্থনায় রাষ্ট্রের কল্যাণ কামনা অন্তর্ভুক্ত থাকে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক যেন ধর্মীয় অধিকার নিয়ে নিরাপদে বাঁচতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

বাংলার চারণকবি আব্দুল করিম গেয়েছিলেনÑ

“গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান/ মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম/ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।”

এটিই হোক আমাদের প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও জাতীয় দর্শন।

[লেখক: কলামিস্ট]

back to top