মিহির কুমার রায়
ডেঙ্গু হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ। অর্থাৎ এটি মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের রোগ। যারা বাসস্থানের ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাদের মধ্যে রোগটির বিস্তার বেশি ঘটে। মশা-মাছির জন্য যে পরিবেশ অনুকূল, মানুষের জন্য তা অনুপযুক্ত। এর অর্থ পরিবেশ দূষণ, পানির অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনা ও পয়ঃপ্রণালির জটিলতা আমাদের নগরায়ণের নিত্যসঙ্গী। দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বর্জ্য ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। ফলে এই ঘাটতি দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে এডিস মশা নিরবচ্ছিন্নভাবে জীবাণু বহন ও ছড়িয়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় দেড় গুণ এবং আক্রান্ত প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাস ২১ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২৫, যেখানে ২০২৫ সালের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। একই সময়ে গত বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২৩ হাজার ১০৮ জন, আর এ বছর ভর্তি হয়েছে ৪১ হাজার ৮৩১ জনÑযা দ্বিগুণের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৫ ও মৃত্যু ১৪। ২০২৫ সালের একই মাসে আক্রান্ত ছিল ১ হাজার ১৬১ এবং মৃত্যু ১০। ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরেই মৃত্যু সমান (৩ জন), তবে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। মার্চে ২০২৪ সালে ৫ জন মারা গেলেও ২০২৫ সালে কেউ মারা যায়নি। এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ স্পষ্টভাবে বাড়তে থাকে। ওই মাসে ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ৫০৪ জন, আর ২০২৫ সালে ৭০১ জন; মৃত্যুও বেড়ে দাঁড়ায় সাতজনে, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণের বেশি। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ হলেও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। জুন ও জুলাইয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয়ই গত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। আগস্টে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৫ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সামান্য বেড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞর বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ যে আগের তুলনায় বাড়বে, তা আগেই বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। জানুয়ারিতে কীটতত্ত্ববিদদের সমীক্ষায় দেখা যায়, এডিস মশার ঘনত্ব অন্য বছরের তুলনায় বেশি। অথচ প্রতিরোধমূলক কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালের মহামারির অভিজ্ঞতার পরও প্রতিরোধে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ না করা দুঃখজনক। অভিযোগ রয়েছে, এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস, কার্যকর মশানাশক প্রয়োগ, তরুণদের টিকা প্রদান ও গ্রামে বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থাÑকোনোটিই বাস্তবায়ন করা হয়নি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত নিষ্ক্রিয় থেকেছে।
রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, এডিস মশা তার আচরণ পরিবর্তন করছে এবং ডেঙ্গুর উপসর্গেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোয় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার হাসপাতালগুলোয় পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়, তবে সম্প্রতি উত্তর সিটিতেও আক্রান্ত বেড়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। ডাক্তার-নার্সরা চরম চাপের মধ্যে কাজ করছেন, বেড না থাকায় ওয়ার্ডের বাইরেও অতিরিক্ত বেড বসানো হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, বর্তমানে শয্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছে।
মশকনিধনে কীটনাশকের ব্যবহার জরুরি হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, সঠিক মাত্রা ও সময়ে প্রয়োগ করা হলে মশার ঘনত্ব কমানো সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ব্যবহৃত কীটনাশক আসলেই কার্যকর কি না। অনেক সময় অকার্যকর, মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা কাক্সিক্ষত উপাদানবিহীন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা শুধু ব্যর্থই নয়, বরং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে উপকারী কীটপতঙ্গ মারা যাচ্ছে, ক্ষতিকর পতঙ্গের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রয়ের সময় সরবরাহকৃত নমুনা ও মাঠে ব্যবহৃত কীটনাশকের কার্যকারিতার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকতে পারে। তাই কীটনাশকের কার্যকরী উপাদানের পরীক্ষার জন্য অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবে নমুনা যাচাই অপরিহার্য।
বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। অথচ প্রতিটি জীবনই অমূল্য। প্রতিরোধযোগ্য কোনো রোগে যদি একটি জীবনও ঝরে যায়, সেটি পুরো সমাজের জন্য অনাকাক্সিক্ষত। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিটি পক্ষের জবাবদিহি জরুরি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিজ্ঞানসম্মত ও স্বচ্ছ নীতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিকল্প নেই।
[লেখক: সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি]
মিহির কুমার রায়
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গু হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ। অর্থাৎ এটি মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের রোগ। যারা বাসস্থানের ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তাদের মধ্যে রোগটির বিস্তার বেশি ঘটে। মশা-মাছির জন্য যে পরিবেশ অনুকূল, মানুষের জন্য তা অনুপযুক্ত। এর অর্থ পরিবেশ দূষণ, পানির অস্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনা ও পয়ঃপ্রণালির জটিলতা আমাদের নগরায়ণের নিত্যসঙ্গী। দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বর্জ্য ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই। ফলে এই ঘাটতি দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে এডিস মশা নিরবচ্ছিন্নভাবে জীবাণু বহন ও ছড়িয়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় দেড় গুণ এবং আক্রান্ত প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ মাস ২১ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২৫, যেখানে ২০২৫ সালের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। একই সময়ে গত বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২৩ হাজার ১০৮ জন, আর এ বছর ভর্তি হয়েছে ৪১ হাজার ৮৩১ জনÑযা দ্বিগুণের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৫ ও মৃত্যু ১৪। ২০২৫ সালের একই মাসে আক্রান্ত ছিল ১ হাজার ১৬১ এবং মৃত্যু ১০। ফেব্রুয়ারিতে দুই বছরেই মৃত্যু সমান (৩ জন), তবে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। মার্চে ২০২৪ সালে ৫ জন মারা গেলেও ২০২৫ সালে কেউ মারা যায়নি। এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ স্পষ্টভাবে বাড়তে থাকে। ওই মাসে ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ৫০৪ জন, আর ২০২৫ সালে ৭০১ জন; মৃত্যুও বেড়ে দাঁড়ায় সাতজনে, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণের বেশি। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ হলেও মৃত্যু কিছুটা কমেছে। জুন ও জুলাইয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয়ই গত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। আগস্টে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৫ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সামান্য বেড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞর বলছেন, এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ যে আগের তুলনায় বাড়বে, তা আগেই বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। জানুয়ারিতে কীটতত্ত্ববিদদের সমীক্ষায় দেখা যায়, এডিস মশার ঘনত্ব অন্য বছরের তুলনায় বেশি। অথচ প্রতিরোধমূলক কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালের মহামারির অভিজ্ঞতার পরও প্রতিরোধে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ না করা দুঃখজনক। অভিযোগ রয়েছে, এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস, কার্যকর মশানাশক প্রয়োগ, তরুণদের টিকা প্রদান ও গ্রামে বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থাÑকোনোটিই বাস্তবায়ন করা হয়নি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত নিষ্ক্রিয় থেকেছে।
রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ, এডিস মশা তার আচরণ পরিবর্তন করছে এবং ডেঙ্গুর উপসর্গেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোয় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার হাসপাতালগুলোয় পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়, তবে সম্প্রতি উত্তর সিটিতেও আক্রান্ত বেড়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে শতাধিক রোগী ভর্তি ছিল। ডাক্তার-নার্সরা চরম চাপের মধ্যে কাজ করছেন, বেড না থাকায় ওয়ার্ডের বাইরেও অতিরিক্ত বেড বসানো হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, বর্তমানে শয্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছে।
মশকনিধনে কীটনাশকের ব্যবহার জরুরি হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, সঠিক মাত্রা ও সময়ে প্রয়োগ করা হলে মশার ঘনত্ব কমানো সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ব্যবহৃত কীটনাশক আসলেই কার্যকর কি না। অনেক সময় অকার্যকর, মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা কাক্সিক্ষত উপাদানবিহীন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা শুধু ব্যর্থই নয়, বরং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে উপকারী কীটপতঙ্গ মারা যাচ্ছে, ক্ষতিকর পতঙ্গের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রয়ের সময় সরবরাহকৃত নমুনা ও মাঠে ব্যবহৃত কীটনাশকের কার্যকারিতার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকতে পারে। তাই কীটনাশকের কার্যকরী উপাদানের পরীক্ষার জন্য অ্যাক্রিডেটেড ল্যাবে নমুনা যাচাই অপরিহার্য।
বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে জনস্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। অথচ প্রতিটি জীবনই অমূল্য। প্রতিরোধযোগ্য কোনো রোগে যদি একটি জীবনও ঝরে যায়, সেটি পুরো সমাজের জন্য অনাকাক্সিক্ষত। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিটি পক্ষের জবাবদিহি জরুরি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিজ্ঞানসম্মত ও স্বচ্ছ নীতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিকল্প নেই।
[লেখক: সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি]