alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

আরমীন আমীন ঐশী

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

প্রবাসী শ্রমিকরা নিজেদের জীবনকে কষ্টে নিমজ্জিত রেখে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। পরিবার থেকে দূরে থেকে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে, নানা অবমাননা সহ্য করেও তারা দেশে টাকা পাঠান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে, উন্নয়ন প্রকল্পে জোগান দেয় এবং অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। অথচ দেশে ফিরে তারা প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা পান না। তাদের অবদান অমূল্য হলেও সামাজিক বাস্তবতায় তারা হয়ে ওঠেন অবহেলিত।

বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নের বড় উৎস রেমিট্যান্স। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৬৫ শতাংশই এসেছে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘামঝরা উপার্জন থেকে। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ শ্রমিক বিদেশে গেলেও তাদের মধ্যে বহুজন প্রতারণা ও শোষণের শিকার হন। চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, কাজের পরিবেশ অমানবিক হওয়া, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। অনেক সময় দূতাবাস থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা মিলছে না। দেশে ফিরে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর কোনো সুযোগ তৈরি হয় না, বরং তারা বেকারত্ব ও সামাজিক অবহেলার শিকার হন। শ্রমিকরা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের কারিগর। তাদের রেমিট্যান্স শুধু অর্থ নয়, তাতে থাকে তাদের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও অগণিত বেদনার গল্প। তাদের প্রতি অবহেলা মানে উন্নয়নের মূল ভিত্তিকে অস্বীকার করা। তাই এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর। প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই নয়, মানবতার দাবিতেও জরুরি।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা জরুরি

আরমীন আমীন ঐশী

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

প্রবাসী শ্রমিকরা নিজেদের জীবনকে কষ্টে নিমজ্জিত রেখে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন। পরিবার থেকে দূরে থেকে, দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে, নানা অবমাননা সহ্য করেও তারা দেশে টাকা পাঠান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে, উন্নয়ন প্রকল্পে জোগান দেয় এবং অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। অথচ দেশে ফিরে তারা প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা পান না। তাদের অবদান অমূল্য হলেও সামাজিক বাস্তবতায় তারা হয়ে ওঠেন অবহেলিত।

বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ। এই উন্নয়নের বড় উৎস রেমিট্যান্স। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৬৫ শতাংশই এসেছে প্রবাসী শ্রমিকদের ঘামঝরা উপার্জন থেকে। প্রতিবছর ১০-১২ লাখ শ্রমিক বিদেশে গেলেও তাদের মধ্যে বহুজন প্রতারণা ও শোষণের শিকার হন। চুক্তি অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, কাজের পরিবেশ অমানবিক হওয়া, এমনকি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। অনেক সময় দূতাবাস থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা মিলছে না। দেশে ফিরে তাদের দক্ষতা কাজে লাগানোর কোনো সুযোগ তৈরি হয় না, বরং তারা বেকারত্ব ও সামাজিক অবহেলার শিকার হন। শ্রমিকরা দেশের প্রকৃত উন্নয়নের কারিগর। তাদের রেমিট্যান্স শুধু অর্থ নয়, তাতে থাকে তাদের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও অগণিত বেদনার গল্প। তাদের প্রতি অবহেলা মানে উন্নয়নের মূল ভিত্তিকে অস্বীকার করা। তাই এখন সময় এসেছে রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর। প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই নয়, মানবতার দাবিতেও জরুরি।

back to top