alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

সাদিয়া আফরিন

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের ৬৮.৩৪% মানুষ গ্রামে বসবাস করলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি নাজুক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে গ্রামীণ জনগণ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উন্নত সেবা ও সুস্থতার আশায় ছুটে যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, কিন্তু হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। সেবা পাওয়ার জন্য মানুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব, দুর্গন্ধ, পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি, সীমিত শয্যা সংখ্যা এবং ডাক্তারদের সময়মতো না আসা-সবমিলে গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য হাসপাতালই হয়ে উঠেছে রোগ সৃষ্টির কারখানা। যেখানে উন্নত চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে শৃঙ্খলা ও সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে আরও দুর্ভোগে ফেলছে।

তাই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ, ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজেট স্বল্পতা দূর করা, তহবিল ও ঔষধ বিতরণে অনিয়ম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শুধু বেতননির্ভর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে-যেন এই হাসপাতালগুলো দুর্ভোগের কারণ না হয়ে সাধারণ জনগণের সুস্থতার উৎস হয়ে ওঠে।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা : গ্রামীণ রোগীর পাশে আছে কি?

সাদিয়া আফরিন

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের ৬৮.৩৪% মানুষ গ্রামে বসবাস করলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি নাজুক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে গ্রামীণ জনগণ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উন্নত সেবা ও সুস্থতার আশায় ছুটে যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, কিন্তু হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। সেবা পাওয়ার জন্য মানুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব, দুর্গন্ধ, পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি, সীমিত শয্যা সংখ্যা এবং ডাক্তারদের সময়মতো না আসা-সবমিলে গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য হাসপাতালই হয়ে উঠেছে রোগ সৃষ্টির কারখানা। যেখানে উন্নত চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে শৃঙ্খলা ও সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে আরও দুর্ভোগে ফেলছে।

তাই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ, ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজেট স্বল্পতা দূর করা, তহবিল ও ঔষধ বিতরণে অনিয়ম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শুধু বেতননির্ভর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে-যেন এই হাসপাতালগুলো দুর্ভোগের কারণ না হয়ে সাধারণ জনগণের সুস্থতার উৎস হয়ে ওঠে।

back to top