সাদিয়া আফরিন
বাংলাদেশের ৬৮.৩৪% মানুষ গ্রামে বসবাস করলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি নাজুক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে গ্রামীণ জনগণ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উন্নত সেবা ও সুস্থতার আশায় ছুটে যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, কিন্তু হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। সেবা পাওয়ার জন্য মানুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব, দুর্গন্ধ, পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি, সীমিত শয্যা সংখ্যা এবং ডাক্তারদের সময়মতো না আসা-সবমিলে গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য হাসপাতালই হয়ে উঠেছে রোগ সৃষ্টির কারখানা। যেখানে উন্নত চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে শৃঙ্খলা ও সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে আরও দুর্ভোগে ফেলছে।
তাই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ, ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজেট স্বল্পতা দূর করা, তহবিল ও ঔষধ বিতরণে অনিয়ম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শুধু বেতননির্ভর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে-যেন এই হাসপাতালগুলো দুর্ভোগের কারণ না হয়ে সাধারণ জনগণের সুস্থতার উৎস হয়ে ওঠে।
সাদিয়া আফরিন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের ৬৮.৩৪% মানুষ গ্রামে বসবাস করলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি নাজুক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবের কারণে গ্রামীণ জনগণ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উন্নত সেবা ও সুস্থতার আশায় ছুটে যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে, কিন্তু হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। সেবা পাওয়ার জন্য মানুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব, দুর্গন্ধ, পর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি, সীমিত শয্যা সংখ্যা এবং ডাক্তারদের সময়মতো না আসা-সবমিলে গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য হাসপাতালই হয়ে উঠেছে রোগ সৃষ্টির কারখানা। যেখানে উন্নত চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেখানে শৃঙ্খলা ও সচেতনতার অভাব জনসাধারণকে আরও দুর্ভোগে ফেলছে।
তাই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ, ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজেট স্বল্পতা দূর করা, তহবিল ও ঔষধ বিতরণে অনিয়ম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের শুধু বেতননির্ভর মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সেবামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে-যেন এই হাসপাতালগুলো দুর্ভোগের কারণ না হয়ে সাধারণ জনগণের সুস্থতার উৎস হয়ে ওঠে।