alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রিশাদ আহমেদ

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
image

মানুষ যখন প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল, তখন তা তাকে আলো ও উষ্ণতা দিয়েছিল, আবার অসাবধানতায় বসতি পুড়িয়েও ছারখার করেছিল। জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আজ অনেকটা সেই আগুনের মতো-একদিকে সুবিধা, অন্যদিকে ভয়াবহ ঝুঁকি। এআই এখন গবেষণাগার ছাড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনের অংশ। অফিসের রিপোর্ট, চিকিৎসকের রোগ নির্ণয়, ছবি-ভিডিও সম্পাদনা, এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে। লেখালিখি, প্রোগ্রামিং, কণ্ঠস্বর অনুকরণ-এসব সৃজনশীল কাজও সহজ হয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে এটি অসৎ মানুষের হাতে পড়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্রে রূপ নিতে পারে।

সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এই ভয়কে বাস্তব করেছে। চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মে একবার তথ্য ফাঁস হয়েছিল, যেখানে ব্যবহারকারীর নাম, ই-মেইল, এমনকি চ্যাট ইতিহাসও বাইরে চলে আসে। আরেকটি ঘটনা শ্যাডোলিক-যেখানে কোনো ক্লিক ছাড়াই এআই ব্যবহারকারীর জিমেইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ছোট আকারের পরিষেবাতেও দুর্বলতা দেখা গেছে; যেমন রিপেয়ারআইটি অ্যাপে নিরাপত্তাহীন ক্লাউড স্টোরেজের কারণে ব্যক্তিগত ছবি ও কোড ফাঁস হয়। ওপেন সোর্স চ্যাটবটের ভুল কনফিগারেশনেও ব্যবহারকারীর আলাপ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্যই কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। যেমন গুগলের জেমিনি ক্ষতিকর সফটওয়্যার তৈরির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এখানেও বিতর্ক রয়েছে, কারণ ব্যবহারকারীর চ্যাট ইতিহাস তিন বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়, যা গোপনীয়তার প্রশ্ন তোলে।

সমাধানের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছ নীতি, নিয়মিত নিরাপত্তা পরীক্ষা, বাগ শিকার কর্মসূচি, এবং সীমিত তথ্য সংরক্ষণ। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মীদের সাইবার প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং সংবেদনশীল কাজে এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হতে হবে-ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়া, নীতিমালা পড়ে নেওয়া এবং ভুয়া কনটেন্ট চেনার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। অবশেষে, এআই আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গী। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এটিকে আলো আর উন্নতির হাতিয়ার করব, নাকি অসাবধানতায় অগ্নিকাণ্ডে পরিণত হতে দেব। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া ভবিষ্যৎ আলো নয়, অন্ধকারেই ঢাকা পড়বে।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

এআই যুগে নিরাপত্তার সংকট : প্রযুক্তির অন্ধকার দিক

রিশাদ আহমেদ

image

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানুষ যখন প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল, তখন তা তাকে আলো ও উষ্ণতা দিয়েছিল, আবার অসাবধানতায় বসতি পুড়িয়েও ছারখার করেছিল। জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আজ অনেকটা সেই আগুনের মতো-একদিকে সুবিধা, অন্যদিকে ভয়াবহ ঝুঁকি। এআই এখন গবেষণাগার ছাড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনের অংশ। অফিসের রিপোর্ট, চিকিৎসকের রোগ নির্ণয়, ছবি-ভিডিও সম্পাদনা, এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে। লেখালিখি, প্রোগ্রামিং, কণ্ঠস্বর অনুকরণ-এসব সৃজনশীল কাজও সহজ হয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে এটি অসৎ মানুষের হাতে পড়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্রে রূপ নিতে পারে।

সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এই ভয়কে বাস্তব করেছে। চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মে একবার তথ্য ফাঁস হয়েছিল, যেখানে ব্যবহারকারীর নাম, ই-মেইল, এমনকি চ্যাট ইতিহাসও বাইরে চলে আসে। আরেকটি ঘটনা শ্যাডোলিক-যেখানে কোনো ক্লিক ছাড়াই এআই ব্যবহারকারীর জিমেইল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। ছোট আকারের পরিষেবাতেও দুর্বলতা দেখা গেছে; যেমন রিপেয়ারআইটি অ্যাপে নিরাপত্তাহীন ক্লাউড স্টোরেজের কারণে ব্যক্তিগত ছবি ও কোড ফাঁস হয়। ওপেন সোর্স চ্যাটবটের ভুল কনফিগারেশনেও ব্যবহারকারীর আলাপ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশ্যই কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। যেমন গুগলের জেমিনি ক্ষতিকর সফটওয়্যার তৈরির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এখানেও বিতর্ক রয়েছে, কারণ ব্যবহারকারীর চ্যাট ইতিহাস তিন বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হয়, যা গোপনীয়তার প্রশ্ন তোলে।

সমাধানের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছ নীতি, নিয়মিত নিরাপত্তা পরীক্ষা, বাগ শিকার কর্মসূচি, এবং সীমিত তথ্য সংরক্ষণ। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মীদের সাইবার প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং সংবেদনশীল কাজে এআই ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হতে হবে-ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়া, নীতিমালা পড়ে নেওয়া এবং ভুয়া কনটেন্ট চেনার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। অবশেষে, এআই আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গী। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এটিকে আলো আর উন্নতির হাতিয়ার করব, নাকি অসাবধানতায় অগ্নিকাণ্ডে পরিণত হতে দেব। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া ভবিষ্যৎ আলো নয়, অন্ধকারেই ঢাকা পড়বে।

back to top