alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

শাকিলা খাতুন

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

একসময় গ্রামের আকাশে শকুনের ঝাঁক ছিল এক পরিচিত দৃশ্য। মাঠে কিংবা সড়কের ধারে কোনো পশুর মৃত্যু হলে মুহূর্তেই শকুন এসে ভিড় জমাত এবং মৃতদেহ মুহূর্তে সরিয়ে নিত। প্রকৃতির এই নিখুঁত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে সাত প্রজাতির শকুন ছিল, এর মধ্যে সাদা পিঠ শকুন আমাদের নিজস্ব প্রজাতি। অথচ আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের তথ্যমতে, ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে শকুনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ-যেখানে আগে লাখের মতো শকুন ছিল, এখন অবশিষ্ট মাত্র কয়েকশো।

সমাধান হিসেবে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক অংশগ্রহণ। শকুন সম্পর্কে কুসংস্কার ভাঙতে গণমাধ্যম ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে শকুন সংরক্ষণের গুরুত্ব অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বাজার থেকে ডাইক্লোফেনাক চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিটি নিরাপদ এলাকায় ফিডিং স্টেশন বাড়ানো এবং স্থানীয় জনগণকে প্রণোদনা দিয়ে মৃত গবাদিপশুর দেহ জমা দিতে উৎসাহিত করা দরকার।

শকুন বিলুপ্ত হলে আমাদের সমাজকে বিকল্প ব্যবস্থায় মৃতদেহ সরাতে বিপুল খরচ বহন করতে হবে। তাই শকুন সংরক্ষণ কেবল একটি পাখি বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়, বরং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার সংগ্রাম। প্রকৃতি যদি রক্ষাকারীকে হারায়, তবে আমরাও নিরাপদ থাকব না।

নির্বাচনী মাঠে জামায়াতী হেকমত

শিক্ষা ব্যবস্থায় গভীর বৈষম্য ও জাতির অগ্রযাত্রাধ

উপমহাদেশে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

শকুন বাঁচানো মানে ভবিষ্যৎ বাঁচানো

শাকিলা খাতুন

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

একসময় গ্রামের আকাশে শকুনের ঝাঁক ছিল এক পরিচিত দৃশ্য। মাঠে কিংবা সড়কের ধারে কোনো পশুর মৃত্যু হলে মুহূর্তেই শকুন এসে ভিড় জমাত এবং মৃতদেহ মুহূর্তে সরিয়ে নিত। প্রকৃতির এই নিখুঁত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে সাত প্রজাতির শকুন ছিল, এর মধ্যে সাদা পিঠ শকুন আমাদের নিজস্ব প্রজাতি। অথচ আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের তথ্যমতে, ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে শকুনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ-যেখানে আগে লাখের মতো শকুন ছিল, এখন অবশিষ্ট মাত্র কয়েকশো।

সমাধান হিসেবে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক অংশগ্রহণ। শকুন সম্পর্কে কুসংস্কার ভাঙতে গণমাধ্যম ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে শকুন সংরক্ষণের গুরুত্ব অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বাজার থেকে ডাইক্লোফেনাক চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রতিটি নিরাপদ এলাকায় ফিডিং স্টেশন বাড়ানো এবং স্থানীয় জনগণকে প্রণোদনা দিয়ে মৃত গবাদিপশুর দেহ জমা দিতে উৎসাহিত করা দরকার।

শকুন বিলুপ্ত হলে আমাদের সমাজকে বিকল্প ব্যবস্থায় মৃতদেহ সরাতে বিপুল খরচ বহন করতে হবে। তাই শকুন সংরক্ষণ কেবল একটি পাখি বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়, বরং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার সংগ্রাম। প্রকৃতি যদি রক্ষাকারীকে হারায়, তবে আমরাও নিরাপদ থাকব না।

back to top